আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডে-লাইট-সেভিংস জোক [হাহাপগে নাকি ? ]

I realized it doesn't really matter whether I exist or not.

ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে নেয়া বাংলাদেশের জন্য নতুন হলেও বিশ্বের কাছে নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে এই প্রথম ডে-লাইট সেভিংস পদ্ধতি চালু করা হলো। এই নিয়ে অতি-সাধারণ মানুষদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। এখনও অনেকে আগের সময়ের হিসেব করেন। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রাকেও যে এক ঘণ্টা এগোতে হবে, সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না।

একেবারে অশিক্ষিত শ্রেণীর মানুষদের কথা শুনলে হাসবো না মেজাজ খারাপ করবো বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকতে হয়। আমাদের বাসার এক ভাড়াটের কথা শুনুনঃ সেদিন সন্ধ্যায় উনি খুব মেজাজ দেখিয়ে বলছেন, শালার সরকারের সাহস কম না। ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে নেয়। কত্তবড় সাহস! যেই লোক ঘড়ি আবিষ্কার করেছে, সেই লোক যদি আজ বেঁচে থাকতো, তাহলে দেশে হরতাল-আন্দোলন শুরু করে দিতো। পাশের আরেকজন তাকে জিজ্ঞেস করলো, কেন ঘড়ির আবিষ্কারক কি বেঁচে নেই? উনার রাগান্বিত উত্তরঃ নাহ! বেঁচে থাকলে কি আর সরকার ঘড়ির কাঁটা এগোনোর সাহস করে! [তথ্যঃ ঐ ব্যাটা তার ঘড়ি একঘণ্টা এগোয়নি।

উনি নাকি মানেন না এই নিয়ম। অবশ্য উনার মতো বহু মানুষ আছে যারা একই কাজ করছেন। ] কে বোঝাবে ঐ লোককে যে ঘড়ির কাঁটা [সময়] সারাবিশ্বে এক নয়? কে বলবে ডে-লাইট সেভিংসের কারণ ও যৌক্তিকতা? কে জানাবে যে উন্নত বিশ্ব বহু বছর আগে থেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে? এতো মূর্খ মানুষও আছে! পরামর্শ চাইঃ হাসবো না মেজাজ খারাপ করবো?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।