maanush84@yahoo.co.uk কি আর বলব। মাথার মধ্যে অনেক কিছু আলোড়ন তুলছে। একাত্তুর দেখি নাই। নব্বই বুঝি নাই। আর এই দুই হাজার তেরোতে এসে পড়ে আছি পরদেশে, এইটাও মিস করলাম।
যা কিছু দেখছি শুনছি সব ইন্টারনেটে। যা কিছু চিৎকার সব ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর, জানি ওরা সফল হবেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা প্রাপ্তি তাই বা কম কিসে?
আমার এক বন্ধু আছে যে এক সময় অনলাইনে ব্লগারদের রাজাকারের বিচার নিয়ে ক্রমাগত পোষ্ট দেওয়া দেখে বিরক্ত হয়ে বলত, এখানে এইসব করে কি হবে, মাঠে নেমে দেখা। সে এখন শাহবাগে বসে শ্লোগান দেয়।
আর এক বন্ধু বলত এই বিয়াল্লিশ বছর পরে ৯০ বছরের বুড়াদের সাজা দিলেই কি আর না দিলেই কি। সেও শেষ পর্যন্ত জামাতিদের স্পর্ধা সহ্য করতে না পেরে শাহবাগে বসে শ্লোগান দেয়। ফেসবুকে এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে জানলাম ঐখানে সবাই নাকি সব কিছু ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। সেও নাকি এক জনের আধ খাওয়া বিস্কুট খেয়ে ফেলেছে। শুনে আমার বড় আফসোস হয়, আমারও ইচ্ছা হয় আধ খাওয়া বিস্কুটের ভাগ নিতে।
ভিডিওতে অচেনা কোন এক লাকি আক্তারের নেতৃত্বে গম গম করে ওঠা শ্লোগানের শব্দে আমারও গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে।
বিয়োগাত্মক খবরও পাই ছাগুদের কল্যাণে। ওরা বলে ওখানে যারা আছে তারা নাকি সব গাঁজাখোর, ওখানে বসে থাকা মেয়েগুলো নাকি পতিতা। ওরা বলে এই ওখানে যারা বসে আছে তারা নাকি সব ছাত্রলীগ, বামপন্থী নাস্তিক।
বিশ্বাস করেন, আপনি গাঁজাখোর হন, পতিতা হন, বামপন্থী নাস্তিক বা ছাত্রলীগ হন, বিএনপি সমর্থক হন, আপনি যা খুশী তাই হন আমার তাতে কিচ্ছু এসে যায় না।
যতক্ষণ রাজাকারদের ফাঁসীর দাবিতে এই চত্বরে বসে আপনি চিৎকার করে যাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আমার ভাই, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আমার বোন। ওখানে যদি যেতে পারতাম খোদার কসম আপনার পাশে মাটিতে বসে পড়তে আমার এতটুকু দ্বিধা হত না, আপনার আধ খাওয়া বিস্কুটে কামড় বসাতে এতটুকু ঘেন্না লাগত না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।