যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল ও কারওয়ানবাজারে জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হঠাৎ মিছিল বের করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মতিঝিল এলাকার সিটি টাওয়ারের সামনে ২/৩ হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা। মিছিলটি সিটি টাওয়ার থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের বিচার বানচাল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে এ সহিংসতা করে জামায়াত-শিবির।
এ ব্যাপারে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিভিন্ন গলি থেকে সিটি টাওয়ারের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়।
পরে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে মতিঝিল এলাকার বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় মতিঝিল এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
।
এদিকে, কারওয়ানবাজারের মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখানে ঝটিকা মিছিল শেষে শিবিরের লোকজন গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।