আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নদী পাড়ের শিশুদের নৌকা-স্মৃতি জমবে না আর!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

নৌকা চালানো যাকে সচরাচর আমরা বলি নৌকা বাওয়া বেশ জটিল কর্ম। নানাবাড়ীর পাশে ছোট্ট একটা খালে নৌকা বাইতে শিখতে গিয়ে পুরা গলধঘর্ম অবস্থা হয়েছিল। বৈঠা মারার নানা সিস্টেম। সামনে থেকে পেছনে পানি ঠেললেই নৌকা সামনে যায় না। বৈঠাকে এ্যাংগেলে ধরে গলুই লাগোয়া টানতে হবে।

তারমধ্যে আবার বৈঠার ব্যালেন্স রাখতে হবে হাতের আন্দাজে, যেন নৌকা না যায় ঘুরে। সেই খাল গিয়ে পড়েছিলো বড় একটা নদীতে। ছোটবেলায় আমরা খালাতো, মামাতো ভাইবোনেরা নৌকা চালিয়ে বড় নদীতে যেতে পারতাম। সমবয়সীরা তখন নৌকা চালাতে রীতিমত ওস্তাদ হয়ে গেছে। ছোট খালে আমি যাও পারতাম, বড় নদীর মোহনায় ভুলেও বৈঠা ধরতাম না।

ফি বৎসর নানাবাড়ী যেতাম। একবার গিয়ে দেখলাম ছোটখালের মুখে বাঁধ পড়েছে। নদীতে নৌকা নিয়ে যাওয়া যায় না। দেখে আমার খুশী আর কে দেখে। খালের পানি তখন নিস্তরঙ্গ, যেমন ইচ্ছে নৌকা চালাতে কোন অসুবিধা হয়নি আমার।

কিন্তু খালের মুখে যে বাঁধ পড়েছিলো তার ফলে খালটি ক্রমশ মরে গেলো। কয়েক বছর পড়ে গিয়ে দেখলাম অনেক চুপসে গেছে। জোয়ারভাটায় একদা খরস্রোতা খালটির এমন করুন দশা দেখে পরে আর খুশী হতে পারি নি। ভাবতাম, ঐ বড় নদীও যদি কেউ বাঁধ দিয়ে ফেলে! আমাদের নদীগুলোতে এখন সত্যি সত্যি বাঁধ পড়ছে। নদীর পাড়ে শিশুদের আর নৌকা-স্মৃতি জমবে না হয়তো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।