সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসছে জলরাশি। সফেদ জলধারা লেপ্টে আছে সবুজ পাহাড়ের গায়। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি। জল-পাহাড়ের এই মায়াময় দৃশ্য সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার পাংথুমাইয়ে। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা এই ঝর্ণাধারাটি স্থানীয়ভাবে মায়ামতি ও ফাটাছড়া ঝর্ণা হিসেবে পরিচিত।
আর পর্যটকদের কাছে জলপ্রপাতটির পরিচিতি 'পাংথুমাই ঝর্ণা' নামে। জলপ্রপাতের সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিন সেখানে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক।
মেঘালয় পাহাড়ের হাজার ফুট উচ্চতা থেকে এঁকে-বেঁকে নেমে এসেছে ঝর্ণাধারাটি। জলপ্রপাতের পানি প্রবাহের স্থান দিয়ে তৈরি হয়েছে লেক। এই লেক গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই গ্রামের পাশ দিয়ে পিয়াইন নদীতে গিয়ে মিশেছে।
এই লেকটি আলাদা আকর্ষণ তৈরি করেছে জলপ্রপাতের। জলপ্রপাতের নিচ পর্যন্ত যাওয়া না গেলেও ৫০০ গজ দূর থেকে সহজেই পর্যটকরা অবলোকন করতে পারেন নান্দনিক দৃশ্য। চাইলেই জলপ্রপাত দিয়ে নেমে আসা লেকের পানিতে গা ভিজিয়ে নিতে পারেন যে কেউ। আবার চাইলেই চড়তে পারেন ডিঙি নৌকায়। তাছাড়া পাংথুমাই যাওয়ার পথে সবুজে ঢাকা রাস্তা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাংথুমাই খাসিয়া শব্দ। এ এলাকায় একসময় ছিল খাসিয়াদের বসবাস। এখনো গ্রামের একটি অংশজুড়ে রয়েছে খাসিয়া বস্তি। পাংথুমাইর খাসিয়া সম্প্রদায়ের জীবন-যাপন এ এলাকার সৌন্দর্যকে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, পাংথুমাই জলপ্রপাতটি পর্যটকদের কাছে এতদিন এতো পরিচিত ছিল না।
অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় জলপ্রপাতের এই সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছ থেকে আড়ালেই ছিল। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় প্রতিদিনই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
যেভাবে যেতে হবে : সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে যাওয়া যাবে পাংথুমাই পর্যন্ত। গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এ জলপ্রপাত এলাকায় মাইক্রোবাসের ভাড়া (যাওয়া ও আসা) পড়বে ২০০০ টাকা। পাংথুমাইয়ে যাওয়া যায় দুটি রাস্তায়।
একটি হচ্ছে গোয়াইনঘাটের সালুটিকর হয়ে আর অন্যটি জৈন্তাপুরের সারিঘাট হয়ে। উভয় রাস্তায় দূরত্ব ও ভাড়া সমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।