গণমাধ্যমকর্মী, চেয়ারম্যান - উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান, সদস্য সচিব - সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলন।
তারা পতিতা হলে আমরা কি? এই প্রশ্নর জবাব কি আছে? আমরা সমাজের সভ্য লোক যারা তাদের ব্যবহার করি, ব্যবহার শেষে পতিতা হিসেবে অভিহিত করি। তদের কি বলবেন? ভাষা কি আছে।
একবারও কি ভেবেছি কেন তারা আজ পতিতা, যৌনকর্মী বা দেহ ব্যবসায়ী। পুরুষের প্রয়োজনেই তাদের কাছে টানে পরে সেই হয় ‘পতিতা’ ।
আমাদের দেশে বা সমাজে কেউ স্বেচ্ছায় কোন নারী পতিতাবৃত্তি বেছে নেয় না। প্রেমিকের প্রতারণা, নারী পাচারকারী, দালাল ও এক শ্রেনীর নারী যারা মাসী হিসাবে পরিচিত -তারাই মুলতঃ এই পেশার উদ্যোক্তা। উৎসাহীত করে। শুধু কি তাই উদ্যোক্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে যোগ হয়েছে শিক্ষক নামের কিছু কুলাঙ্গার। তারা প্রেম করে দৈহিক চাহিদা পূরণ করে পরে ছুড়ে পেলে পতিতালয়ে।
তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জে। [বিস্তারিত]
আমাদের দেশে শিশু মেয়েরা অনেকেই নিজ ঘরেই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। এটা তসলিমা নাসরিন ও লিখেছিলেন কিন্তু বিশ্বাস হয়নি। বিশ্বাস হয়েছে বিসিসি বাংলার রিপোর্টটি পড়ে। রিপোর্টটি ছিল ঠিক এমন-“নিজ ঘরেই যৌন নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশের শিশু মেয়েরা” ।
আর পথশিশুদের কথা নাই বা বললাম। তাদের তো কোন কথাই নেই প্রতিনিয়তই যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
শুধু কি তাই এদেশের খোদ রাজধানীতেই চলছে কিশোরী মেয়েদের বেচাকেনার হাট । এটা কি প্রশাসন বন্ধ করতে পেরেছে। না পারিনি।
পারবেই বা কিভাবে। কারণ বড় অংকের মাসোহারা নিচ্ছে তারা। অথচ তারাই আবার মানুষ পাচার রোধে বড় বড় কথা বলে।
এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যের কারণে ব্ল্যাকমেইলিং শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রথমে প্রেম পরবর্তীতে কাছে আসা।
ঘনিষ্ট হওয়া। নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি বা ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং চলছে দেদারছে। কোন ভিকটিম যদি এমন কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় যায় তাহলে তো কথাই নেই। উল্টো তাকেই নাজাহাল হতে হয় । এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সাংবাদিকরাও।
এমন অভিযোগে এক সাংবাদিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
যারা পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে , তাদের অধিকাংশের আয় একজন গার্মেন্টস কর্মী কিংবা গৃহ পরিচারিকার চাইতেও কম। [উচ্চবিত্তের দেহব্যবসায়ী ছাড়া (উচ্চবিত্ত বলতে এখানে বিভিন্ন ইউনিভাসিটি বা কলেজের বকে যাও মাদকাসক্তদের বুঝাতে চেয়েছি। )] আর তাইতো অভাবে পল্লী ছেড়ে পালাচ্ছে পতিতালয়ের বাসিন্ধারা ?
দেশে প্রাইভেট হাসপাতাল এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর নারী কর্মী প্রয়োজন ।
অন্যদিকে যারা পতিতালয় উচ্ছেদে প্রতিবাদ করেছেন কিংবা সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, তারা সামান্য উদ্যোগী হলে অনেক নারী এই পেশা থেকে নিবৃতি পেত।
মুসলিম প্রধান এই দেশে পেশা হিসাবে বেছে নিতে অনেকে নিরুৎসাহিত হত ।
ফিরে আসতো এই পেশা থেকে।
বাংলাদেশেও যে এই মানুষিকতার কেউ নেই, সেটা হলফ করে বলা যায় না । তবে যারা পতিতালয় সৃষ্টিতে আগ্রহী কিংবা পৃষ্ঠপোষক, তারা সহৃদয় হলে, বাধ্য হয়ে এই পেশা বেছে নেয়ার সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি হবে এটা আমি হলফ করেই বলতে পারি।
[বি.দ্র: লেখাটির সাথে অনেকগুলো লিংক দিলাম।
যদি বিরক্তির কারণ হয় তবে ক্ষমা করবেন। কারণ এই আমাদের সমাজ এই নিয়েই বেঁচে আছি। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।