আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
নদী দখল ও পরিবেশ সুরক্ষাঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের ৯০ ভাগ পানির ব্যবহার নাই। দীর্ঘদিন নদ-নদীগুলো ড্রেজিং করা হয় না। আর তাই নদ-নদীগুলোর নাব্যতা নাই। আর নদীগুলো আর মানুষের ব্যবহারযোগ্য নাই।
পড়েছে দখল ও দূষণের কবলে। একদিন যে নদীকে ঘিরে ঢাকা মহানগর গড়ে উঠেছিল, সেই নদীকেই মেরে ফেলেছে অপরিকল্পিত কথিত উন্নয়ন, শিল্পবিকাশ ও নাগরিক সভ্যতা।
শিল্প বর্জ্য দূষণ এখন নদীর প্রাণহরণের বড় কারণ। ঢাকার চারপাশে ঘিরে থাকা বৃত্তাকার পথের পাঁচ নদী তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরীর মৃতদশা প্রমাণ করে রাষ্ট্রাচার কি বৈকল্যমান দুর্বৃত্তায়নকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।
বড় বড় দুর্বৃত্তরা বড় বড় নদী দখল করেছে।
নদীর মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। 'ঢাকার নদী দখল ও দূষণ' মডেল হিসেবে দেখা দিয়েছে সারা দেশে। বাংলাদেশের সব নদী এখন এই দখল ও দূষণের শিকার।
হালে সেই দখল দূষণের বিরুদ্ধে মিডিয়া সোচ্চার হয়েছে। পরিবেশবাদীরা লড়ছে প্রথম থেকেই।
খোদ প্রধানমন্ত্রী এখন কঠোর হয়েছেন। সরকারের উচ্চমহল থেকে শোনা যাচ্ছে, নদীকে বাঁচাতে যা যা করণীয় তাই করা হবে।
সরকারের বর্তমান সদিচ্ছা এবং উদ্যোগকে সাধুবাদ দিতেই হয়। সাধুবাদ জানাতে হয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকেও। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে 'নদী বাঁচাও, ঢাকা বাঁচাও' অনুষ্ঠানে এসে তিনি বক্তব্য রেখেছেন জোরালো, সুদৃঢ়।
নদী ও পরিবেশ রক্ষার এই লড়াই শুধু সরকারের একার নয়। জনগণেরও। তবে সরকারি উদ্যোগ কার্যকর থাকলে জনগণকেও পাশে পাবে সরকার। জনগণ এবং সরকারের যৌথ লড়াইয়ে নদী দখল ও দূষণ বন্ধ হলে বাঁচবে ঢাকা, বাঁচবে দেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।