আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মইন উ'র বিচার চাওয়ার সময় কি এসেছে?

ছায়া ছায়ায় পথ হেটে চলি--ছায়া আমার সামনে ও পিছে।

২৩ আগস্ট ২০০৭। যে দিনটির কথা আমার মতো অনেকেই ভুলতে পারেনা। স্মৃতিতে একটা ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে। মনে আছে? মনে আছে, মেনে নেইনি।

মানতে পারিনি। সেনা বাহিনীর এক সিপাহীর জন্য পুরো দেশজুড়ে তাদের তাণ্ডবলীলা অসহায়ের মতো আমাদের সহ্য করতে হয়েছে। ওদের আছে লাইসেন্স করা মরণাস্ত্র, মানুষ মারার লাইসেন্স। আমাদের কি আছে? আত্মসম্মানবোধ। আদর্শ।

আর আছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার নির্বুদ্ধিতা! নির্বুদ্ধিতাই তো। আমরা নির্বোধ। তাইতো মার খেলাম আর সহ্য করলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র, সাংবাদিক, রিকশাওযালা, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ কেউই রেহায় পাননি তাদের লীলাখেলা থেকে। আমিও তাদেরই একজন।

তথাকথিত সাংবাদিক! মূল্যহীন জীবনের অহংকার নিয়ে আদর্শকে আঁকড়ে থাকি। তাইতো সাংবাদিক পরিচয় আর কুকুরের মতো গলায় ঝুলিয়ে রাখা পরিচয়পত্র আর কারফিউ পাস দেখেও ওরা বলে- সো হোয়াট? এমনই একজন আমি। প্রায় দুটি বছর হয়ে গেল- এলো নতুন রাজনৈতিক সরকার। অথচ সেইদিনের সেই ঘটনাগুলোর জন্য কেউ একটিবারের জন্য বিচার চাইলেন না। আমরা ভয় পাই।

ভয়ের কাছে আমাদের আদর্শ পরাজিত হয়ে গেছে। আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তায় ফেলে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের খবর সম্পাদনা করেছি। অবশ্য সেই সংবাদ আলোর মুখ দেখেনি, আলোর মুখ দেখেনি অতিশক্তিধর কারো নির্দেশে। কার নির্দেশে? কার টাকায় ওরা এতো ক্ষমতাধর? আজ ১৫ জুন ২০০৯। জেনারেল মইন উ সেনাপ্রধান থেকে সাবেক হযে গেলেন।

অন্যসব বাদ দিলাম শুধু ওই দিনগুলোর ঘটনার জন্য আমরা কি তার বিচার চাইতে পারি না। এটি কি অন্যায় হবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।