আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিডিআর-বিএসএফ সশস্ত্র অবস্থানে



২দিন ধরে বিডিআর-বিএসএফ সশস্ত্র মুখোমুখি অবস্থানে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীর খালিশা কোটাল সীমান্তে কাঁটাতাঁরের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিডিআর ও বিএসএফ সশস্ত্র মুখোমুখি অবস্থান করায় ২দিন ধরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের বাঁধার মুখে ভারত মেটাল খুটি ব্যবহার না করলেও বাঁশের খুটি পুতে কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দিয়েছে প্রায় ২কিলোমিটার। অপরদিকে পতাকা বৈঠকে সম্মতি দিয়েও নতুন করে কাঁটাতাঁরের বেড়া নির্মাণ করা অংশ অপসারন এবং সীমান্তের দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্তুপ করে রাখা নির্মাণ সামগ্রী বুধবার বিকেল পর্যন্ত সরিয়ে নেয় নি ভারত। ফলে ঐ এলাকায় বিডিআর ও বিএসএফ উভয় পই শক্তি বৃদ্ধি করে সশস্ত্র অবস্থায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বেশ কিছু বিএসএফ-এর সাজোয়া যান টহল দিচ্ছে।

এ অবস্থায় সীমান্তের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিডিআর ও সীমান্তবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার খালিশা কোটাল সীমান্তের ৯৩৪ নং পিলার থেকে ৯৩৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের উল্টোদিকে ভারতে কিশামত করলা এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় গোপনে সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী আনা হয়। পরে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতের বস কোটাল বিওপির বিএসএফ’র উপস্থিতিতে আকস্মিকভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে নোম্যান্স ল্যান্ড’র উপর দিয়ে কাটাতাঁরের বেড়া নির্মাণ শুরু করে ভারত। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশের বালারহাট বিওপ'র বিডিআরের বাঁধা উপো করে বিএসএফ নির্মাণ কাজ চালাতে থাকে। এ সময়ে বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৯৩৪ থেকে সাব পিলার ৫ এস পর্যন্ত বেড়া নির্মাণ শেষ করে।

এঅবস্থায় সকাল ১১টার দিকে বিডিআর লাল পতাকা উত্তোলন করে সশস্ত্র অবস্থান নিলে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় বিএসএফ ও নির্মাণ শ্রমিকরা দ্রুত সটকে পড়ে। এ বিষয়ে কয়েকদফা চিঠি আদানপ্রদানের পর বিডিআর ও বিএসএফ বিওপি কমান্ডার ও কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে দু'দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিডিআর পে শিমুলবাড়ী কোম্পানী কমান্ডার খাদেমুল ইসলাম এবং বিএসএফ পে বস কোটাল কোম্পানী কমান্ডার কে খান নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বিএসএফ প থেকে কাজ বন্ধ রাখার এবং নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার সম্মতি জ্ঞাপন করে প্রতিশ্রতি দিলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিএসএফ নির্মাণ সামগ্রী সড়িয়ে নেয়নি। সীমান্তবাসী আবুল হোসেন, ছকমল, আমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, বিএসএফ নোম্যান্স ল্যান্ডের ১০/১০ গজ দূরে দূরে বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র অবস্থানে আছে।

আমরা ভীষন আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি। অপরদিকে বুধবার সকাল থেকে নোম্যান্স ল্যান্ডে বিএসএফ সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বেশ কিছু বিএসএফ-এর সাজোয়া যান টহল দিচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।