একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে মঙ্গলবার মধ্যরাতে একটি বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায় এক দল সশস্ত্র লোক। তারা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার লোক পরিচয় দিয়ে ৬৯ নম্বর গুলশান এভিনিউর ওই বাড়িতে বসবাসরত বৃদ্ধ দম্পতিকে উৎখাত করতে চেয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছে। তবে আশ-পাশের বাড়ির পাহারাদারদের বাধার মুখে দখলের ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
কূটনৈতিক পাড়ার ওই বাড়ি দখলের চেষ্টা চালানোর ঘটনায় স্থানীয়রা ১১ 'হামলাকারীকে' আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে তৎপর ছিল না।
বাড়ির মালিক আব্দুল কাইয়ুম এ ঘটনায় বুধবার ভোরে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আব্দুল কাইয়ুমের ভাগ্নে রুহুল কাদের ঘটনাস্থলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রাত দেড়টার দিকে শিরীনের (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুমের (মেয়ে) ফোনে আমার ঘুম ভাঙে। সে জানায়, ১০-১৫ জন লোক বাড়িতে ঢুকে পড়েছে ভাংচুর চালাচ্ছে। তাদের হাতে ছোরা ও রড রয়েছে।
"
রুহুল বলেন, "আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসি। ততক্ষণে বাড়ির সামনের দরজা ভেঙে ফেলেছে হামলাকারীরা। বাড়ির সামনে একটি মেরুন রঙের মাইক্রোবাস ছিল, যার নম্বর প্লেট ছিল না।
"তারা আমার খালুকে গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। খালাম্মাকেও ওঠানোর চেষ্টা করছিল।
তাদের মুখ ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা। "
ওই সময় চিৎকার শুনে আশপাশের বাড়ির পাহারাদাররা নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে এসে বাড়ি দখলে বাধা দেয় এবং ১১ জনকে আটক করে।
ওই বাড়ির পাশের বাড়িটি এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর। তার বাড়ির পাহারাদাররা চার হামলাকারীকে আটক করে। বাকিদের কাইয়ুমের বাড়িতেই আটকে রাখা হয়।
পরে তাদের পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।
রুহুল আমিনের অভিযোগ, চার হামলাকারী মাইক্রোবাস নিয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই পালিয়ে যায়।
তিন ঘণ্টার এই ঘটনার পর অশীতিপর আব্দুল কাইয়ুম শুধু এটুকুই বলেন, "এই বাড়ি আমার। ১৯৭০ সাল থেকে এখানে আছি। এখন এ ধরনের কাণ্ড-কারখানা কীভাবে ঘটছে?" পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত মাহবুবা কাইয়ুম (আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী) কোনো কথাই বলতে পারেননি।
ভোর ৫টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চিফ ক্রাইম করসপনডেন্ট লিটন হায়দার দেখেন, কাইয়ুম গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন।
সূত্র জানায়, গুলশান থানায় এটিএন বাংলার পক্ষ থেকেও একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যাতে দাবি করা হয়, বাড়িটির মালিক এটিএন বাংলা কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, "হামলাকারীদের কাছে বিপুল সংখ্যক সাইনবোর্ড ছিল। তাতে লেখা ছিল 'এটিএন বাংলা থ্রিডব্লিউএস(এ)৬৯ এ প্লটটি কিনেছে এবং তারাই এর মালিক'।
"
ঔপনিবেশিক আমলে কর্মজীবন শুরু করে আব্দুল কাইয়ুম বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তার এক প্রতিবেশী বলেন, "গত ৪০ বছর ধরে তিনি এ বাড়িতে রয়েছেন। "
এ হামলায় পুলিশ জড়িত রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী অভিযোগ করেছেন।
কাইয়ুমের এক প্রতিবেশী বলেন, "বাড়ির পাহারাদাররা যে ১১ জনকে আটকে রেখেছিল পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। যখন আমার ছেলে ওসিকে ডাকে তখন তিনি (ওসি) কোনও উত্তরই দেননি।
ওসি এমন ভান করছিল, যেন কোথায় ঘটনাটা ঘটছে তা তিনি জানেনই না। "
অপর এক প্রতিবেশী বলেন, "এটি খুবই অগ্রহণযোগ্য। মাঝরাতে এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? তাও আবার গুলশান এভিনিঊয়ের মতো জায়গায়?"
কাইয়ুমের এক আত্মীয় এই ঘটনাকে 'মাঝরাতে ডাকাতি' বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে এটিএন বাংলার কারও সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।