শেষ অংশ:
সানচেজের মৃত্যুর খবরে চমকে দিশেহারা হয়ে উঠল ফ্রস্টার। পেড্রোকে নির্দেশ দিল গান ফাইটার যোগার করার। Ranch এ পাহাড়া বসানোর ব্যবস্থা করল। তার স্ত্রী ডেইজির (ফিল এর মা) কাছে ব্যাপারটা ভাল লাগল না। উদ্দিগ্ন হয়ে জানতে চাইল, "কি হয়েছে?" "এক পুরোনো শত্রু আমাকে খুন করার জন্য খুজছে।
যে কোন সময় হামলা চলাতে পারে। তুমি আজ ঘর ছেড়ে বের হবে না। " বলে নিরাপত্তা ব্যাবস্থার তদারকি করতে চলল ফ্রস্টার। মিসেস ফ্রস্টার অবাক হয়ে তার গমন পথে তাকিয়ে রইল। স্বামীকে তার এতটা ভীতু কোন দিনই মনে হয় নি।
'ডবল এফ' Ranch এর সামনে ঘোড়া থেকে নামল ফিল। তখনও পুরোপুরি রাত নামে নাই। আবছা আলোয় তিন গানফাইটারকে এগিয়ে আসতে দেখল। একজনকে চিনতে পারল। পেড্রো, অপর দুজন অচেনা।
যুদ্ধ করে ভিতরে যাবার রাস্তা তৈরি করার চিন্তা বাদ দিল। একজন বনাম তিনজন, সংখ্যাটা একটু বেশি। হালকা শিস দিয়ে ঘোড়াটা ছেড়ে দিয়ে একটা ঝোপের আড়ালে লুকালো। খুব একটা পরিবর্তন হয়নি Ranch এর। মায়ের শোবার ঘর সে চিনতে পারল।
পাহাড়াদারদের ফাকি দিয়ে চলে এল মায়ের ঘরের দড়জায়। ধাক্কা দিতেই দড়জা খুলে গেল। ভীতরে পড়ার টেবিলে Ranch এর হিসাব মেলাচ্ছেন মি: ফ্রস্টার। মিসেস ফ্রস্টার ঘরে নেই। ফিল কে দেখে ভুত দেখার মত চমকে উঠল ফ্রস্টার।
টান দিয়ে ড্রয়ার খুলে বের করতে গেল সিক্সশুটার। ফিল এর হাতের পিস্তলের নল তার দিকে চেয়ে আছে দেখে মাঝ পথেই থেমে গেল তার হাত। হিমশীতল কন্ঠে ফিল বলল, "ও কাজ করতে যেও না ফ্রস্টার। আমি তোমার নোংরা রক্তে আমার হাত রঙাতে চাই না। আমি আমার মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছি।
"
কিচেন থেকে বের হয়েই চমকে গেলেন মিসেস ফ্রস্টার। তার শোবার রুমের দড়জা হাট করে খোলা। অথচ তিনি দড়জা টেনে দিয়ে বের হয়েছিলেন। অজানা আশংকায় ছেয়ে গেল তার মন। দড়জায় ঝুলানো শটগান টেনে নিলেন হাতে।
সতর্ক পায়ে এগিয়ে চললেন শোবার ঘরের দিকে। দড়জায় দাড়িয়ে ভীতরের দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন। নিরস্ত্র স্বামীর দিকে অস্ত্র উচিয়ে আছে এক অচেনা যুবক। দেরী না করে শটগান উঠিয়ে গুলি ছুড়লেন তিনি।
শেষ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।