আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে দলে আশরাফুলের মত গাধা,রুবেলের মত ছাগল খেলে সেই দলের কাছে আমরা কেন আশা করি???

সাদ আহাম্মেদ

আসেন আয়ারল্যান্ডের দিকে তাকাই। ওইখানে কারা খেলে জানেন?? একজন আছে ইলেক্ট্রিশিয়ান,কয়েকজন আছে কৃ্ষক,ডাকপিয়্নও শুনেছি আছে। কিন্তু কেন তারা বারবার জিতে যায় জানেন?কারণ তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে,তারা জিততে চায়। মনে পড়ে আপনার ,যখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ওদের সাথে খেলেছিলো,তখন ওরা কি করে কষ্ট করে রান সংগ্রহ করেছিলো??আমাদের রফিক সাহেব একবার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সাথে খেলায় গেইলের এক ওভারে(যা কিনা ম্যাচের শেষ ওভারও ছিলো) মাত্র একটি রান নেয়। কেন?তার আশা ছিলো একটা না একটা বলে আমি তো ছক্কা মারবোই।

রানের সুযোগ পেয়েও সে তাই রান নেয়নি....আমরা সেই ম্যাচে মাত্র এক উইকেটে হেরে যাই,শেষ ওভারে যতদূর মনে পড়ে। আর ৩টি বা ৪টি রান হলেই হয়তো জিতে যেতাম। কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা যখন ফাইনালে হারি তখন মনে পড়ে কি হয়েছিলো?মুরালী আমাদের রুবেলকে মেরে ছাতু বানায় দেয় এক ওভারে,তারপরো ওকে আবার বল করতে দেয়া হয় এবং ওই ছাগল ১১ রান বা ১২ রান দেয়। অথচ সে নাকি দেশের পেস প্রতিভা ক্যাম্প থেকে ডাক পাওয়া অসাধারণ এক আবিষ্কার। আজকেও কি চমৎকার খেলাই না দেখালো! আসেন আশারাফুলের কথায়।

আমি বুঝিনা কোন সে কারণ যে জন্য তাকে বারবার খেলানো হয়,তাও আবার অধিনায়ক করে। কি খেলে সে?যার ওয়ানডে গড় ১৮র মত,টি২০ এর থেকেও খারাপ কেন তাকে বারবার খেলানো হয়?ওই বিখ্যাত ছাগলা আজকে একবার যে শট খেলে আউট হওয়া থেকে বেচে যায় আবার ওই শট খেলে কি করে বুঝিনা! রকিবুলের মত ব্যাটসম্যান যার স্ট্রোক খেলার ক্ষমতা নাই কি সুন্দর তাকে প্রতি ম্যাচে খেলানো হচ্ছে। মুশফিকের মত প্লেয়ার যে একটা বল ঠিকমত কিপিং করতে পারেনা তাকে কেন নেয়া হয় দলে বারবার?? হায় আমি লজ্জিত যখন শুনি অলক কাপালীর মত ক্রিকেটার বলে,আকরাম ভোটকা ঘরোয়া খেলায় ১০০ করে শুনেও তাকে বলে তার পারফর্ম্যান্স নাকি ভালো না,আরো খেলো। চিন্তা করুন এমন কথা শুনে তাও আবার বাংলাদেশের কলঙ্কিত এক খেলোয়াড়ের মুখে কেমন লাগতে পারে কাপালীর! আমি লজ্জা পাই যখন দেখি সিডন্স,আমাদের কোচ বলেন,"ওকে না করছি বল করতে,কিন্তু ও তো কথা শুনেনা। ও বল করা দলের জন্য মোটেও ভালো নয়।

"ও টা হলো আমাদের আশারাফুল। সে আবার এই কথা শুনে রাগ করে,তাই কোচকে যেয়ে মন ভাঙ্গাতে হয় তার। হায়! আমার দেশ!হায়! আমার ক্রিকেটার। আরো লজ্জা পাই যখন শুনি আমাদের দেশের এই বলদ্গুলাকে আবার লাখ টাকা বেতন দেয়া হয় মাসে। আমাদের দেশের অর্ধেক মানুষ দুবেলা খেতে পায়না,তাও তারা হাসিখুশী থেকে দেশকে সুখী দেশের তালিকায় রেখে দিছে।

আর এই ছাগলগুলা শপিং করে,২০ বছরে বিবাহ করে আনন্দ ফুর্তি করে বেড়ায় আর সারা বিশ্বের সামনে আমাদের নাক কেটে দেয়। এরাই আমার দেশের ক্রিকেটার! মাশরাফীকে নিয়ে অনেক গর্ব করেন সবাই। ভালো প্লেয়ার আপনারা বলেন। কিন্তু আমি বুঝিনা সে কিভাবে অধিনায়ককে অনুরোধ করে তাকে যেনো শেষের দিকের ওভার না দেয়া হয়। সে আবার বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক।

মজার কথা বলি এখন। আমি যেখানে থাকি সেখানে প্রায়দিন আমি দেখি মাশরাফীকে। ভুড়ি বার করে বসে বসে মুড়ি খাচ্ছে। মাঝে মাঝে লুডুও খেলে। পল্লবীর ওই এলাকায় একদিন তাকে দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।

কারণ তার পরের দিন বাংলাদেশের একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিলো। অস্ট্রেলিয়ান প্লেয়াররা শুনেছি দিনে ১৬ ঘন্টা নাকি অনুশীলন আর ক্রিকেট খেলে কাটায়। আর ম্যাচের আগে তো বলতেই হয়না। অথচ আমাদের আলু পত্রিকার শুভ্র ভাই উনাকে এবং আরো ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে স্তুতি দিয়ে ভরে দেয়,কিন্তু একটা এমন প্রতিবেদন লিখেনা সে,"ম্যাচের আগের দিন প্লেয়ার বিশ্রাম নিয়ে লুডু খেলছে"! অনেক আগে শুনেছি লিখা হয়েছে যে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মনোভাব হলো ম্যাচে খেলতে পারার জন্য যতটুকু দরকার অতটুকু করেই নাকি তারা সুখী। তাদের দরকার আসলে টাকা।

একটা ফিক্সড ইনকামের রাস্তা। এই খেলোয়াড়দের ব্যাপারে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক বলেছিলেন,"ওরা তো দুষ্টুমি করে খেলে,সিরিয়াস না"। খেলাটা একটা টেস্ট ছিলো। আমি এই সব লিখে নিজেই এখন লজ্জা পাচ্ছি। এই সব ক্রিকেটাররা নাকি আমাদের গর্ব।

আমরা সব বাদ দিয়ে টিভির সামনে বসে থাকি এদের খেলা দেখতে। বুঝতে পারছিনা আমরাই কি এজন্য নির্লজ্জ নই যে এদের মত মানুষকে নিয়ে বারবার আশা করি। ১৫ কোটি মানুষের দেশের মান ইজ্জত ডুবায় দিয়ে যখন এরা আয়ারল্যান্ডের মত দলের সাথে হেরে যায় তখন ঘিন্না লাগে ওদের নিয়ে আশা করেছি বলে। আমি আজকে ভীষণ রকম লজ্জিত!লজ্জা যে পাচ্ছি ওদের জন্য,সেই জন্যও লজ্জিত। কথা হলো কেন এইসব প্লেয়ারদেরকে এত অর্থ দিয়ে খেলানো হয় যখন এরা পরাজিত দেশের তালিকায় আমাদের নাম বারবার তুলে দেয়?? এই লিখাটা লিখলাম তাও লজ্জিত।

আসলে কি মুখ দিয়ে গালি আসছে,তাও কিভাবে যেন ভালো ভাষায়,ভদ্র ভাষায় এমন একটা লিখা লিখে ফেললাম। শেষ প্রশ্ন আমরা কি ওদের জন্য দেশের বারবার এমন লজ্জা পাওয়া দেখেও কিছুই করতে পারবোনা?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।