সাহিত্য নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এখনো অনেক কাছের মানুষ। পারিবারিক সূত্রে তিনি একজন জমিদারও বটে। সৌভাগ্যবশতঃ তাঁর এবং তাঁর ভাইদের জমিদারী ছিল আমাদের এই বাংলাদেশে। তিনি ছিলেন কালিগ্রাম পরগণার জমিদার। নওগাঁ জেলার পতিসরের কাচারী বাড়ী থেকে এ জমিদারী পরিচালিত হতো।
জমিদারী দেখাশোনার কাজে তিনি বহুবার তিনি এখানে এসেছেন, থেকেছেন ও উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনা করেছেন। সাহিত্য ছাড়াও মানবকল্যাণ, কৃষি ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে যার সবটা এখনো সকলে জানে না।
অত্র এলাকায় তিনি ৩টি স্কুল স্থাপন করেন। পতিসরে কালিগ্রাম আর এন [রথীন্দ্রনাথ] হাইস্কুল, কামতা এস এন [সত্যেন্দ্রনাথ] জুনিয়ার হাইস্কুল এবং রাতোয়াল আর এন [রবীন্দ্রনাথ] জুনিয়ার হাইস্কুল। শেষোক্ত স্কুলটি এখন রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী হাইস্কুল।
কবিগুরু নিজের নামে উপমহাদেশে এই একটিমাত্র স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজহাতে স্কুলটির উদ্বোধন করেন। সে সময় তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু শফিকপুরের কাসিম সরদার (যিনি ছিলেন কালিগ্রাম আর এন [রথীন্দ্রনাথ] হাইস্কুলের সেক্রেটারী) এবং কফিল উদ্দিন আখন্দ (যিনি ছিলেন রাতোয়াল আর এন [রবীন্দ্রনাথ] জুনিয়ার হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন এবং যিনি বিশিষ্ট গণিতবিদ অধ্যাপক লুৎফুজ্জামানের পিতা) উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও এলাকার জমিকার ও কবিগুরুর বড় প্রজা আকবর আলী আখন্দ, তাঁর [কবিগুরুর] ষ্টেটের নায়েব বছির উদ্দিন সরদার [আমার দাদাভাই ও কাসেম সরদারের মেয়ের জামাই]সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আমার আব্বা মোঃ আবদুস্ ছাত্তার ছোট হলেও তখন সে অনুষ্ঠানে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আড়াই যুগ ধরে এ স্কুলের প্রাইমারী শাখার প্রধান শিক্ষক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
ছবির মতো রাতোয়াল গ্রামে অবস্থিত রবি ঠাকুরের এই স্কুল থেকে পাশ করা অনেক ছাত্র-ছাত্রী এখন উচ্চশিক্ষিত ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এ গ্রামে রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, গ্রামীণ ফোনের টাওয়ার এবং প্রাত্যহিক বাজার। সেই ১৭৫৭ সালে আমাদের পূর্বপুরুষের বসতি স্থাপনের মাধ্যমে যে গ্রামের সূচনা তা এখন এলাকার মধ্যে একটি অত্যন্ত সম্মানিত একটি স্থান।
আমার এই ব্লগ যাঁরা পড়ছেন, তাঁদেরকে কবিগুরুর স্বপ্নের রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী হাইস্কুলকে শান্তিনিকেতনের আদলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সপক্ষে মতামত প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।