ভাগ্য নির্ধারনের রাজনৈতিক দাবা খেলায় কার রাজা, মন্ত্রী কই আছে ; নৌকা, হাতি কোন পজিশনে; কার ঘোড়া কত ভালো লাফাইতেসে এইগুলারই হিসেব নিকেষ হয় বেশী; সবার মনোযোগও ওই দিকে থাকে। বেচারা বড়ের তেমন কোন বেইল তেমন একটা থাকেনা। বড়ে সংখ্যায় সবথেকে বেশী, কিন্তু বেচারারা এক পা এগিয়েই হাঁপিয়ে ওঠে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আমাদের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারনে বড়ে রূপ আমাদের ওইরূপ বেইল কখনও ছিল না। আমরা শুধু ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েই হাঁপিয়ে যেতাম! হুট করেই দাবার চাল গেলো ঘুড়ে, শাহবাগ নামের এক জায়গায়, স্বপ্ন প্রসবিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলের এক চত্বরে, কিছু বড়ে এক পা এক পা এগিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বিপক্ষের একদম সীমানার ধারে, আর এক পা এগুলেই মন্ত্রী! সমস্ত বড়ে গুলার মাঝে যেন এক অবাক জোয়ার ডাকল, এক এক পা এগিয়ে, হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ ঠেকিয়ে, এক অরূপ আলো জ্বেলে তারাই হয়ে গেল খেলার মন্ত্রী!!! আমরা বড়ে বলছি শুনে রাখ, আমাদের পূর্বপুরুষেরা আরও রক্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতেই বাংলাদেশ নামের দাবার বোর্ড কিনেছিলেন। তোমরা পতিত বুড়ো রাজা, রানী, মন্ত্রি, হাতিরা এইবেলা জেনে রাখ, খেলায় তোমাদের বেইল এর দিন শেষ। বাংলাদেশ নামের বোর্ডে এখন এক একটা বড়ে মন্ত্রি হয়ে তোমারদের একে একে খেয়ে ফেলবে! ঘুনাক্ষরেও কেউ ভেবনা, এই শাহবাগ হাইব্রিড বিপ্লবের মত এক সিজনেই ফুটে ঝরে যাবে! রাজাকারদের ফাঁসি তো তবে শুরু, এই বাংলাদেশ কে দুঃখ দিয়েছো যারা, মানুষের ভাতে হামলা করেছো যারা, লোভের রক্ত ঝরিয়েছ যারা, তোমাদের পালাও একে একে আসবে। আমরা বড়েরা এক এক চালে এক এক শত্রুর রক্ত পান করি।আমাদের এখন ওই জানোয়ারদের রক্তের তৃষ্ণা জেগেছে,- যারা আমার মায়ের আঁচল ধরে টান দিয়েছিল, যারা আমার পিতার বুকে বুট চড়িয়েছিল। জন্মের ক্লেদ থেকে এই মাটিকে আগে পবিত্র করতে হবে, হাতে ময়লা নিয়ে আমরা ভাত খাব না, প্লেটের ময়লাও পরিস্কারের পালা আসবে! একটা ছোট্ট ধাঁধা দিয়ে শেষ করছি, যার উত্তর বড়েরা সব জেনে গেছে, তারপরেও সবার মুখ থেকে শুনতে আমাদের সবারই খুব ভালো লাগে, সেটা হল, ১৯৫২-১৯৬৬-১৯৬৯-১৯৭১-১৯৯০- ???? এর পরের সিরিজটা কি হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।