.................।
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূ'ণ দেশ। টপচা'টে বাংলাদেশের অবস্থান শী'ষ ৮ এ। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য অথবা স্লোগান অন্য আরেকটি। আমি আমার ছোটবেলা থেকে দেখি বিটিভি এবং সরকারী প্রোগ্রামে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্প'কে স্লোগান - "ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানেই যথেস্ট।
" আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে স্লোগান পরিব'তনের এখন শুধু শ্লোগান না নিয়ম করা উচিত-"একটি সন্তান তার বেশি আর নয়"।
বাংলাদেশের উপরে ডেনসিটি টপচা'টে যারা আছে তারা আয়তনে অনেক ছোট(সবো'চ্চ আয়তন বাহরাইনের-৭২০ব'গ কিমি) এবং দেশগুলো ন্যাচারাল রিসো'স ভরপুর অথবা দেশটি ভালো অ'থনৈতিক জোনে পড়েছে। আমাদের দেশে একমাত্র উব'র জমি এবং অনেক বেশি নদী-নালা ছাড়া বলার মত কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই যা আমরা মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর মত রপ্তানি করতে পারি।
যখন সকাল বেলায় রাস্তায় বাহির হই তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা অফিসগামী নারী-পুরুষের যানবহনজনিত কস্ট দেখে খুব খারাপ লাগে। যেহেতু চিকিৎসা বিঞ্জানের অগ্রগতি হয়েছে তাই মৃত্যহার অনেক কমে এসেছে, তাই আমরা যদি দুই সন্তাননীতি কে স্লোগান হিসেবে চিন্তা করি তাহলে জনসংখ্যা বাড়বে বই কমবে না।
আমার মনে হয় আমাদের যারা নীতিনিধা'রক তারা এখনই চায়নার মত এক সন্তান নীতি নিয়ে চিন্তা করতে পারেন এবং শুধু চিন্তা করলেই হবে না, তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্লোগান হিসেবে ধারণ করতে হবে এবং তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে আমাদের এই প্রজন্ম না হোক আমাদের পরের প্রজন্ম হয়ত সুবিধা পাবে না কিন্তু তার ও পরের প্রজন্ম অথবা তারো ও আরো পরের প্রজন্ম এই সুবিধাটুকু পাবে।
চীন এই নীতি ধারণ করেছে ১৯৭৯ সাল থেকে,তারা শুধু ধারণ করে নাই ব্যবহারিক প্রয়োগ ও করে যাচ্ছে। আমাদের
যারা পলিসি মেকিং করেন তারা চায়নার নীতি স্টাডি করতে পারেন ইচ্ছে করলেই এবং সেই নীতি আমাদের দেশে কিভাবে প্রয়োগ করবেন তা বাহির করতে পারেন। যেহেতু চায়না এবং আমাদের দেশের কালচার ডিফারেন্ট তাই ১০০% চায়না নীতি দিয়ে হয়ত আমরা সাফল্য নাও পেতে পারি বাট চায়না নীতি কে বেস ধরে আমরা অগ্রসর হতে পারি।
আমার এই বিষয়ে তেমন পড়াশুনা নেই কিংবা আমার এটা সেক্টর ও না। কিন্তু খুব সাধারণ কিছু প্রস্তাব ইচ্ছে করলেই যে কেউ করতে পারে কিভাবে একসন্তান নীতি আমরা ফিল্ড লেভেলে প্রয়োগ করব।
আমার প্রস্তাবঃ
১। সন্তান নেওয়ার পু'বে স্থানীয় ইঊনিয়ন পরিষদের/কমিশনারের নিবা'চিত ক'মাক'তা থেকে অণুমতি নিতে হবে। যদি কেঊ অণুমতি ছাড়া সন্তান নেয় তাহলে তার ক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়া হবে।
২। একসন্তান হলে সেই ফ্যামিলির সন্তানকে প্রাইমারি থেকে ভা'সিটি প'যন্ত সম্পু'ণ বিনা বেতনে পড়ানো হবে। আমাদের দেশে যেহেতু ভা'সিটি কম তাই সেই সন্তানকে সরকারি ভা'সিটিতে টিকতে হবে। আর বেসরকারি ভা'সিটিতে এক সন্তানরা যে রেটে পড়বে অন্যরা ডাবল টাকা দিবে।
৩।
একসন্তান ফ্যামিলি কে ট্যাক্স এবং আরো কিছু যেমন কৃষকের জন্য কৃষক লেভেলে চিন্তা করতে হবে। হতে পারে বিনামুল্য বীজ অথবা সেই রিলেটেড কিছু। মোট কথা এক সন্তান ফ্যামিলি হলে সেই ফ্যামিলির পিতা-মাতারা কিছু সুবিধা পাবে।
৪। যেসব ফ্যামিলিতে একসন্তান নেই সেসব ছেলে মেয়ে প্রাইমারি থেকে ভা'সিটিতে উচ্চ বেতনে পড়বে এমনকি সেটা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে ও উচ্চ বেতন আরোপিত হবে।
খারাপ দিকঃ
তবে পৃথিবীতে কোন কিছুই ১০০% ভালো নাই। অনেক ভালো জিনিসের কিছু হলেও খারাপ দিক থাকবে। যেমনঃ-
১। যেহেতু এক সন্তান নীতি হলে সেই শিশুর কোন কাজিন থাকবে না তাই তার সোশ্যাল জীবন হয়তোবা একটু অন্যরকম-রোবটিক টাইপ হতে পারে।
২।
৪-২-১ একটা বেপার আছে। ধরুন আমি আমার বাবা-মার একমাত্র সন্তান, আমার বাবা এবং মাও একমাত্র সন্তান আমার দাদা,দাদী,নানা এবং নানীর। যেহেত মৃত্যহার কমে গিয়েছে তাই একটা প'যায়ে এসে আমার ঊপর ৪+২=৬ জন ডিপেন্ড হবে। এই জিনিসটা সরকারের মাথায় রাখা উচিত।
আমি মানছি যে ২০/৩০ বছরেই এই নীতি আমাদের জনসংখ্যা কমিয়ে দিবে না এবং আমাদের অ'থনীতি কিংবা অন্য প্রবলেম সমাধান করে দিবে না।
কিন্তু হয়তো আজ থেকে ২/৩ পরের প্রজন্ম এটার সুবিধাটুকু পাবে। আমরা কি পারি না আমাদের নাতি কিংবা তারো পরের প্রজন্মের জন্য কোলাহল মুক্ত একটি বাসযোগ্য জায়গা রেখে যেতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।