এ বছরে মাত্র চারমাসের মধ্যেই চৌদ্দজন নারী নিখোঁজ হয়েছেন মেক্সিকো সীমান্তে। এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম মেক্সিকো সীমান্তে নারী নিখোঁজের ঘটনা প্রকট আকার ধারন করে। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই কয়েকশত তরুণী নিখোঁজ হয়, যাদের কিছু কিছু লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি লাশের শরীরে মারাত্নক রকম অত্যাচারের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট।
নব্বই’র দশক থেকে শুরু হওয়া এই রহস্যজনক নারী-মৃত্যুর ধারাবাহিকতার শেষ শিকার হয় ১৭ বছর বয়সের এক মেক্সিকান মেয়ে যাকে গত মঙ্গলবার শেষবারের মত এ একা একটি বাসে উঠতে দেখা যায়। মেয়েটি ক্ষীণকায় এবং তার মাথার চুলের রঙ কালো। খবরে প্রকাশ, যতগুলো মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে তাদের প্রায় সবাই ক্ষীণকায় এবং কালো চুলের অধিকারিনী।
উল্লেখ্য, এই রহস্যজনক ধারাবাহিক নারী অপরহণ এবং খুনের উপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে জেনিফার লোপেজ এবং এন্থনিও ব্যান্দারাস অভিনীত একশত মিনিটের হলিউড মুভি ‘বর্ডার টাউন’ রিলিজ হয়। খবরে প্রকাশ, প্রকাশিত মৃত্যু এবং অপরহণ তালিকার চেয়ে অপ্রকাশিত বাস্তব সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি।
বলতে গেলে সবগুলো মৃত্যুর মা্মলাই অমীমাংসিত এবং ফাইলবন্দী। ধারনা করা হচ্ছে, প্রভাবশালী এবং বিকৃত মানসিকতার একটি অপরাধী চক্র আইনের আশ্রয়ে এই নারী অপরহণ, নির্যাতন এবং অবশেষে খুনের ধারাবাহিক অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে।
আন্ত-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস’র মতে, এই ধারাবাহিক অপরাধের শিকার প্রত্যেকেই তরুনী, যাদের বয়স ১২ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারীর রিপোর্টে জানায়, এ পর্যন্ত আটশ’রও অধিক তরুনীর লাশ পাওয়া গিয়েছে। তিনহাজারেরও বেশী সংখ্যক তরুণী এখনো নিখোঁজ।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিক জঘন্য অপরাধের ঘটনা অনবরত ঘটে চলার পরও স্থানীয় সরকার ২০০৬ সালে এসব মামলার ফাইল বন্ধ করে দেয়। প্রথম ছবিতে ঘটনার স্বীকার তরুণীদের পরিবারের কয়েকজন যথাযথ তদন্তের দাবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দ্বিতীয় ছবিটি মেক্সিকান সিটি ওয়ারেজ’র, মূলত যে শহরকে কেন্দ্র করে এই বর্বর অপরাধ ঘটেই চলছে দিনের পর দিন।
সূত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।