এক অরন্যে এক গোদা,কালো ভাল্লুক এক পুচকি,সাদা খরগোশকে ধাওয়া করেছে। দুজনেই প্রানপনে ছুটছে।
একসময়ে ছুটতে ছুটতে এক রাস্তার দু'পাশে দুজনেই দাঁড়িয়ে চরম হাঁপাচ্ছে।
আমনসময় কোথাথেকে এক কোলা ব্যাঙ রাস্তার মাঝে এসে বসল।
বসে বলল - "ফালতু কেনো ছুটো-ছুটি করে বনের শান্তি নষ্ট করছ।
আমি তোমাদের দু'জনকেই তিনটে করে বর দিচ্ছি। এসব ঝামেলা না করে বর নিয়ে কেটে পড়। "
ভালুক বলে - "আমি বড়। সুতরাং প্রথম বর আমি চাইব।
ব্যাঙরাজা! আপনি আমায় ছাড়া বনের বাকি সব ভালুককে মেয়ে করে দিন।
"
- "তথাস্তু। "
ভালুকের তো চোখ ছানাবড়া। জিভের ডগায় লালা!
খরগোশ হঠাৎ বলে - "আমায় একটা ভালো বাইক দিন তো, যাতে কখনো তেল ফুরোয় না। "
বলতে না বলতে খরগোশের সামনে বাইক হাজির।
ভালুক তখন আরো লোভী হয়ে পড়েছে।
সে বলে - "এবার আমায় ছাড়া দেশের সমস্ত ভালুককে মেয়ে করে দিন দেখি। "
-"তোমার এই ইচ্ছাও পূরন হলো। "
ভালুকের অবস্থা আরো খারাপ। আর থাকা যায় না আর কী!
খরগোশ তখন বলে - "আমায় বাইক চালানোর সমস্ত গিয়ার দিন। "
বলামাত্র সানগ্লাস,নি-ক্যাপ,হেলমেট-সব হাজির।
খরগোশও ধরাচুড়ো পরতে শুরু করে দিয়েছে।
ব্যাঙ এবার ভালুকের দিকে ঘুরেছে - "বলো। তুমি শেষ কি বর চাও?"
- "স্যার! আমায় ছাড়া দুনিয়ার সমস্ত ভালুককে মেয়ে করে দিন। "
-"হয়ে গেছে!"
ভালুক লাফাতে লাফাতে যাবে,এমন সময়ে খরগোশ তার শেষ বর চাইলো। সে তখন বাইকে স্টার্ট দিয়ে চড়ে বসেছে।
খরগোশ বললো - "রাজা! আপনি এই হতভাগা ভাল্লুকের বাচ্ছাটাকে গে করে দিন!"
বলেই সে বাইক চালিয়ে উধাও।
আর ভালুক হাত কামড়িয়ে উল্টে পড়ার আগে ব্যাঙরাজার কম্বুকন্ঠ শুনতে পেল -
"তথাস্তু!!!!!!"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।