বাংলা ভাষােক ভালবািস প্রদীপের যুগ তো কবেই শেষ। হারিকেন বা হ্যাজাক বাতিও জ্বলবে ততক্ষণ, যতক্ষণ থাকবে এর জ্বালানি। তাই তো জীবনযাপনকে আরো সহজলভ্য করতে বিজ্ঞানীরা সেই উনিশ শতকের শেষভাগেই আবিষ্কার করেছিলেন বৈদ্যুতিক বাতি, যে বাতি ইলেকট্রন-প্রবাহের মাধ্যমে সচল থাকবে। আলো দেবে ফিলামেন্টের স্থায়িত্ব অনুযায়ী। কিন্তু তাই বলে ১৩০ বছর! হ্যাঁ, এডিসনের উদ্ভাবিত একটি বাতি ১৩০ বছর ধরেই আলো দিয়ে যাচ্ছে, যা ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রাচীনতম বাতি হিসেবে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে।
বাতিটির প্রথম মালিক ছিলেন ফ্লোরেন্স ক্রুক। তাঁর মৃত্যুর পর এটি চলে আসে তাঁর ছেলে কেনেথের কাছে। কেনেথও মারা গেছেন; কিন্তু এখনো বাতিটি আগলে রেখেছেন কেনেথের স্ত্রী ৭৯ বছর বয়সী বেথ। রাখবেনই না বা কেন, দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধের ঝড় পেরিয়ে, ইতিহাসের কাল পেরিয়ে বাতিটি এখনো সমান তেজে আলো দিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ১৮৮১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার রাজত্বের ৬৪তম বছর পূর্তিতে এডিসন কম্পানি বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের বৈদ্যুতিক বাতি উৎপাদন শুরু করে।
সে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন। বাতিগুলো ১৮৮৩ সালে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। বেথের কাছে এখন যে বাতিটি আছে তা কম্পানির প্রথম ছাড়া বাতিগুলোরই একটি। এর গায়ে এখনো এডিসন কম্পানির নাম খোদাই করা আছে। আছে উৎপাদনের তারিখ ও প্রোডাক্ট নম্বরও।
ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্যার জোসেফ সোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে টমাস আলভা এডিসন এই বাতিগুলো তৈরি করেছিলেন। সোয়ান তখনকার বাতিগুলোর মধ্যে সামান্য ফাঁকা জায়গা রেখেছিলেন, যেন অল্প পরিমাণ অক্সিজেন ফিলামেন্টের আলোকে আরো উজ্জ্বল ও গরম রাখতে পারে। সে কারণে এখনো অম্লান এডিসন কম্পানির বাতিটি। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।