বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস। সময় শেষ হলেও বসেরা এমন ভাব ধরে, যে কেবলই অফিস শুরু হলো। সব কাজ শেষ করে অফিস শেষে বের হতে চাইলেও বসের মুখ বেজার। ঢাকার ব্যাস্ত রাজপথের সব ট্রাফিক জ্যাম পার হয়ে শত কষ্ট করে বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে যেই না বাসার সিঁড়িতে পা দিলাম তখনই বসের ফোন।
"আপনি কোথায়, এখনি অফিসে আসেন, জরুরী কাজ আছে। আর না হয়, আমার বাসায় আসেন। ল্যাপটপে আমি কাজটা নিয়ে আসছি, ওটা আজকেই শেষ করতে হবে। কুইক, দেরী করবেন না। "
কি আর করা!! অবশেষে বসের বাসায় গমন।
উনি ওন দ্যা ওয়ে। ততক্ষন রাস্তায় হাটাহাটি। আর না হয়, মোড়ের চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে চা আর সিগারেট নিজের টাকায়, যতক্ষন না বস বাসায় পৌঁছে ততক্ষণ।
তারপরে ওনার বাসায় ঘন্টা ৩ কাজ শেষে আবার বাকী অর্ধেক কাজ পেন ড্রাইভে নিয়ে বাসায় রাত পৌনে ১২টায় বাসায় ফেরা। বাসার সিড়িতে পা দিতেই জান চমকে উঠে আবারও যদি বস ফোন দেয়? তারপর আর রাতের খাওয়ার রুচী থাকে না।
পিসিতে বসে কাজ শেষ করে মধ্যরাতে বিছানায় যাওয়া। আহা কি সুখ!!! ভাবতেই ভালো লাগে। শালার চাকুরী।
তারপরও নিররে সহ্য করে যাই সব। মাঝে মাঝে চিন্তা করি যদি সরকারী চাকুরে হইতাম!!! তাহলে তো অন্ততঃ দুপুরে খাওয়ার পরে টেবিলে মাথা রেখে একটা লম্বা ঘুম দিতে পারতাম।
অফিসে সিগনেচার করেই বের হয়ে যেতে পারতাম আর বিকাল চারটা বাজতে না বাজতেই বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করতে পারতাম। বছরে ৪২ দিন ছুটি কাটাতাম, আর না কাটালে সেই টাকাটাও বেতনের সাথে তুলে নিতাম। আর এই বিল সেই বিল করে আরো কিছু টাকা পকেটে আসতো। বসের পায়ে তেল রেগুলার তেল দিয়ে বউ ছেলেপুলে, শালী, শালীর বয়ফ্রেন্ড সহ বিদেশ ভ্রমন করতাম।
আহা কি-ই না ভাল হতো!!
ছবি: দৈনিক যুগান্তর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।