আমাদের পৃথিবীটা অনেক বেশি সুন্দর !
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রাগ করার প্রবনতা লক্ষ করা যায়। তবে কারো কম,আবার কারো কিছুটা বেশি। রাগ নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা যাদের আছে তারা অবশ্যই বুদ্ধিমান। চট করে রেগে যাওয়া ভয়ানক বিপদের লক্ষন। আর তাতে ঘটে যেতে পারে বড় রকমের দূর্ঘটনা।
যা বয়ে বেড়াতে হতে পারে আজীবন। সাধারনত উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের রাগ বেশি দেখা যায়। এর কারণ হতে পারে শারীরিক শক্তি বা সামর্থ্য। আমার ধারনা যারা অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রকৃতির লোক তারা সাধারনত মনে হয়, অল্পতে রাগেন না। কথায় আছে - বুদ্ধিমান লোকেরা রাগ করে না।
আমি এ কথায় সাথে একমত পোষন করি। কারণ তারা রাগ করার পরিনতি সম্পর্কে জানেন। প্রচন্ড রাগ বা ক্ষোভ মানুষকে বুদ্ধিহীন করে তুলে। তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। আর এ অবস্থায় যে কেউ যে কোন দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
রাগের মাথায় মারামারি কাটাকাটি যা সম্ভব নয়, বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই সে কাজটি সম্ভব। তাহলে অযথা ঝুঁকির মধ্যে যাওয়ার দরকার কি ! এক্ষেত্রে সড়ক দূর্ঘটনার একটি স্লোগান মনে পড়ে - " একটি দূর্ঘটনা, সারা জীবনের কান্না"। এক্ষেত্রেও তাই। আপনি হটাৎ উত্তেজিত হয়ে কাউকে আঘাত করলেন এবং লোকটি আহত হল, অথবা তার চেয়েও ভয়ানক কিছু একটা ঘটে গেল। যার জন্য আপনি কোন সময়ই প্রস্তুত ছিলেন না, তাই হয়ে গেল।
অথবা আপনি যদি তার উল্টোটা ভাবেন তাহলেও একই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। আপনি,আপনার পরিবার,আপনার আত্বীয় স্বজন সবাই বিপদে পড়ে গেল, সবখানে নেমে আসতে পারে বিষাদের কালো ছায়া।
অতএব রাগকে আমাদের নিয়ন্ত্রন করতেই হবে। অন্তত নিজেকে ভাল রাখার জন্য হলেও। রাগের মাথায় আপনি কি করতে চাচ্ছেন এবং তার পরিনতি কি হতে পারে ? সে কথাটি দ্রুত চিন্তা করুন তাহলেই হয়ত রাগ নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
সবাই ভাল থাকুন,সুস্থ্য থাকুন।
ছবি গুগল থেকে নেয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।