আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এত দাওত কৈ রাখি?- উদাসী মন্তব্য!অখন তাপমাত্রা ৪০!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

মোবাইলে দুইটা মিসড কল। দেখলাম যেহেতু খালি নম্বরটা চাইয়া আছে তাই ধইরা নিলাম নিশ্চয়ই আগের জায়গার কুনো এলিট কাস্টমার ইন্টানেট নিয়া ফাও প্যাচাল পারবে। গেলাম টয়লেটে একটু হিসাব নিকাশ ছাড়তে, আইসা দেখি ৭ টা মিসড কল। নিজেরে মনে হইলো প্রধান মন্ত্রী মাগার কোন দেশ সেইডা কইতে পারলাম না।

যাই হোউক, একটা আলগা ভাব লইয়া হ্যালো কইতেই ঐ সাইড থিকা শুরু হইলো ভাঙ্গা টেনডিস্টার! : হ্যালো রনি, আমি বাপ্পী! ফোন ধরিস না কেন? বাপ্পী নামটা শুনলেই মনের ভিতর দমকলের আগুন জ্বলন শুরু করে, মন চায় ঐ আগুনে ডিমের জায়গায় ওরে রাইখা পুরা টার্কি কইরা খাই। স্কুলের দুস্ত মাস ছয়েক হইছে বিয়া করছে। বিয়ায় সবাইরে দাওয়াত দিছে, আর আমারে বিয়ার অনুষ্ঠানের দুই দিন পর কয়," তুই আসলি না কেন?" আমি ওর উল্টা ফাপড় শুইনা কইছিলাম," ধনেশ শোন, দাওয়াত দেস নাই ভালো কথা, মাগার ফের যদি ফোন করছস, তাইলে তোর বৌয়ের নম্বর যোগাড় কইরা তর কুটিকালের সব গোমড় ফাস কইরা দিমু। " এইটা সেই যে ফোন রাখছি, ব্যাটা ৬ মাস পর আবার সাহস করলো। : কিরে এতদিন পর? : দুস্ত আমি জানি তুমি আমার মাইন্ড করছো, কিন্তু খোদার কসম আমি তুমার বাসায় আমার ইনভাইটেশন কার্ড মেইল করছিলাম, কিন্তু ঠিকানায় ঢাকা লেখতে গিয়া ভোলা লেইখা ফেলাইছিলাম।

: বিটলামী রাখ, কি জন্য ফোন করছোস এইডা বল! : দুস্ত একটা সমস্যায় পইড়া ফোন করছি, বিয়া কইরা ফাইসা গেছি। : ক্যান, ভাবী কি আরেক জায়গায় লাইন মারতাছে? : সেইডা হইলে তো ভালই হইতো মাগার কাহিনী অন্য। প্রতি মাসে একটা না একটা লাইগাই রইছে। এই মাসের পয়লা সপ্তাহে ওর বড় ভাইয়ের ছোট পোলার জন্মদিন, মাঝের সপ্তাহে ওর চাচাতো ভাইয়ের বিয়া, এই সপ্তাহে ওর সেজো ভাইয়ের পোলার খৎনা। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান।

অখন ভাত খামু নাকি প্রেজেন্টেশন কিনমু? : তাইলে আমি কি করতে পারুম? আমারে ফুন দিছস কেন? : আরে সুখ দুঃখের কথা কইলাম, তা দুস্ত তুমি বিয়া শাদী করছো? : না করি নাই। : কেনো কর নাই, বয়স কম হয় নাই, তাল গাছের সমান বয়স মনে হয় হইয়া গেলো! : তাতে তোর সমস্যা কি? : না আমার কিছু না। তা দুস্ত আমার শালীটা নর্থ সাউথ থিকা বিবিএ করছে। এখন বিয়ার জন্য ওর বাবা মা পাত্র দেখতাছে। তা দুস্ত আসো একদিন বাসায়।

: (মন চাইলো পায়ের স্যান্ডেলডা এসএমএস কইরা ওর মুখে মারি) দুস্ত আমার টাইম নাই, বিয়া করনের ইচ্ছা নাই। পারলে এমুন একজনরে খুইজা দাও যে বিয়া ছাড়া একখান সন্তান দিবার পারবো। আর নাইলে আমারে ফুন দিও না, আমি তুমার নম্বর ব্লক করলাম। সাথে সাথে আমাদের জন্য সদ্য কল ব্লকিং সার্ভিস টা রেজিস্টার করিয়ে ব্যাটারে ব্লক করলাম। মানুষের স্ক্রু ঢিলা হইলে কি কইতে কি জন্য ফুন করে সেইডা বুঝি না।

যাই হোউক, শুভ্র ফোন দিলো আবার। : তুমি কৈ? : কামরুখ কামাখ্যা। : বাইর হও, কথা আছে। গেলাম মিরপুর ১। বাসা থিকা যখন বাইর হইলাম তখন মনে হইলো লু হাওয়া আমার গাও জ্বালায় দিলো।

একটা কুড়কা কিন্যা মশলা পাতী দিয়া দড়ি দিয়া রোইদে দিলে পুরাই কেএফসির ফ্রাইড চিকেন হইয়া যাইবো। ঘামতে ঘামতে গিয়া শুভ্ররে কইলাম," কি হইছে?" : ব্যাপার কি, ইদানিং তুমারে ডাকলে ছ্যান ছ্যান করো কেন এতো? বিয়া হইলেতো তুমার কাছে কেউ আইতে চাইবো না, তুমার বৌ পলাইবো! : মর জ্বালা, ইদানিং দেখি পুলাপানের বিয়া ছাড়া কতা নাই, কি জন্য ডাকছো এই ফ্রাইড চিকেন রোইদে কও! : আর কইও না, পকেটে টাকা নাই, আবার দুস্তের জন্মদিন। কি দেওন যায় কও তো। মাথায় একটা বুদ্ধি খেইলা গেলো। আমি কইলাম," ৫০ টা টাকা হইবো?" : (৫০ টা টাকা বাড়িয়ে) লও।

: আমি আইতাছি ৫ মিনিট। আমি একটা প্যাকেট নিয়া আসলাম ৩০ মিনিট পর। ও প্যাকেট দেইখা কইলো," কি আছে?" : জব্বর জিনিস, কম দামী, তয় খুশী সবাই! আমিও ওর সাথে গেলাম জন্মদিন খাইতে। গিয়া দেখি ওর বুড়া বসের জন্মদিন। সবাই ভাবছিলাম তার পুলার।

এমুন তাজ্জুব হমু বুঝতে পারি নাই। খাওন দাওনের পর গিফট দিয়া বাসায় আসনের সময় জিগাইলো শুভ্র," রনি, প্যাকেটে কি দিছো কও তো?" : ভালা জিনিস সস্তায়, দুইটা বসুন্ধরার টিস্যু পেপার ২৪ টাকা, কান খুচানীর প্যাকেট ২০ টাকা আর ৫ টাকার র‌্যাপিং পেপার। ও শুইনা কিছু ক্ষন আমার দিকে তাকাই রইলো। তারপর কইলো," রনি, কালকা যদি আমার চাকরি যায়, তাইলে সুইডেন যাওনের আগ পর্যন্ত আমার বেতনের টাকা আমি তুমার কাছ থিকা উঠামু!" আমি একটা ঢোক গিল্লাম! আসেন একটা পুরান লেখা শেয়ার করি: ঘুমের মজা বালিশ, ফিউজ বাত্তী ফিলিপস! আসেন ফিউজ লাইট ব্যাবহার করি আর বিদ্যুৎ বাচাই! পিচকি কানতাছে! পাশের বাড়ীর মজনু চাচার দিল এ্যান্টার্কটিকার বরফের মতো গইলা বুড়িগঙ্গা হইয়া গেলো। আহারে! -কান্দোছ কেন, চান্দু? -আমার দাদা এক নম্বরের শয়তান।

বুড়া হইছে মাগার মরনের খবর নাই! -ছিঃ গেন্দু, মুরুব্বিদের নিয়া এহেন কুকথা বলা মোটেও সমীচিন হইতাছে না। যদিও শুনি উনি নাকি বিবাহের চাইরখান শরীয়তি কোঠা পূর্ন করিয়া সফলতার সহিত তাহাদের পরপারে পাঠাইয়া পন্ঞ্চ ঘাটে পানি খাইবার পায়তারা করতাছে, চোখে না দেখলেও লাঠি দিয়া এলাকার যারে তারে ঠেঙ্গানীর দায়িত্ব সে ভালো ভাবেই পালন করতাছে বোনাস হিসাবে। এই জন্য অবশ্য সবাই ঠেকায় পইড়া ভালোই পামপট্টি মাইরা চলে! -হেইডা বলুক, তাতে সমস্যা নাই। গত সকাল বেলা আমারে বগলে নিয়া একটা মুরগী জবাই দিলো । তারপর চামড়া ছুটাইয়া শেষ মেষ আমার শখের কুত্তা টমিরে ঐ কুড়কা মনে কইরা গরম পানিতে সিদ্ধ দিয়া দিলো।

এখন বলেনতো পাশের বাড়ীতে কই রোজ রোজ মিস্টি লুকায়, এইডার খবর কে দিবো? মজনু মিয়ার কান গরম হইয়া বিনা ভাইরাস জ্বরে ঠ্যাং কাপানি শুরু হইয়া গেলো। - গুরু আপনের নাম কি? - ধনেশ লাল খোনকার। -কও কি? তোমার তো দেখি দাদা সুরি লাল খোনকার আমাগো স্কুলের সেই পল্টিবাজ হেডমাস্টার আছিলো! তুমি তাহার নাতী? বলে কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।