আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাগ চারুকেশী::উৎসর্গ: ইমন জুবায়ের



দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের সংগীতের মূল রাগগুলোর মধ্যে একটি হল রাগ চারুকেশী। আমরা যেটাকে ঠাঁট বলি, সেটা কর্ণাটকীয় ভুবনে সম্পূর্ণা অথবা মেল/মেলা নামে পরিচিত। এগুলো হল জনক রাগ, অর্থাৎ এগুলো থেকে অন্য রাগগুলো জন্ম নেয়। হিন্দুস্তানি ঠাঁট যেখানে ১০ টি, সেখানে কর্ণাটকীয় সম্পূর্ণা হল ৭২ টি। সম্পূর্ণা হল সেইসব রাগ যেগুলো তার আরোহন এবং অবরোহনে সবগুলো স্বর কে ধারণ করে।

রাগ চারুকেশী এরকম একটি সম্পূর্ণা রাগ যা কাত্যপদী সংখ্যা অনুযায়ী ২৬ তম এবং বাণচক্রের অন্তর্ভুক্ত। ৭২টি সম্পূর্ণা ৬টি ৬টি করে রাগ নিয়ে ১২টি চক্র বা গ্রুপে বিভক্ত। রাগ চারুকেশী পঞ্চম চক্র-বাণচক্রে পড়েছে। ভালোবাসার দেবতা মনমদনের পঞ্চবাণ থেকেই এই চক্রটির নামকরণ আর অবস্থান। রাগ চারুকেশীর আরোহন-অবরোহন হল: আরোহন: সা রে গা মা পা দা ণি অবরোহন: র্সা ণি দা পা মা গা রে সা বাদী স্বর: পা সমবাদী স্বর: সা দা, ণি হল কোমল।

উস্তাদ পারভেজের এই কম্পোজিশনটি আমার প্রতিদিন সকালের কাজ শুরু করে কোথায় হারিয়ে যাবার মধ্য দিয়ে। রাগ চারুকেশী বলিউডি সিনেমাগুলোতে রাগ চারুকেশী অনেক ব্যবহার করা হয়েছে, হচ্ছে। যেমন মেরে হাম সাফার ছবির মুকেশ এবং লতার কণ্ঠে "কি সি রাহ মে" , স্বদেশ ছবিটির "আহিস্তা আহিস্তা" গানটি তে রাগ চারুকেশীরই একটি পরিবর্তিত ফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল। উস্তাদ রবিশংকর এবং আল্লারাখার যুগল কম্পোজিশনে রাগ চারুকেশী অনেকটা দরবারি ঘরানার রাগ এটি। আমার খুব প্রিয় রাগগুলোর মধ্যে রাগ চারুকেশী একটি।

বিলাবল থেকে শুরু করে খমজ, আসাভারি হয়ে রাগ ইমন এ এসে মন শান্ত হয় সৌম্যতায়। মাঝে মাঝে ছুঁয়ে যায় চারুকেশী কিংবা ধেনুকার চমক ধ্বনি। মাঝে মাঝেই হারাই আমি কোন সীমানায়, কোন সুদূরে। এই পোস্টটি ইমন জুবায়ের ভাই কে উৎসর্গীকৃত, যার লেখা ব্লগে পড়ে ফিরে গিয়েছি ছায়ানটের সেই দিনগুলোতে। তাই আমার খুব প্রিয় একটি রাগ- চারুকেশী দিয়ে ইমন ভাইকে নৈবেদ্য নিবেদন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।