আই লাভ মাইসেল্ফ
শুরু অধ্যায় : গুরু আমার ধর্মকর্ম যায়গো বিফলে... হুঅহ্
আড্ডাটা প্রায় প্রতিদিনই বসে- সাহিত্যের আড্ডা।
মাঝে মাঝে আড্ডায় আমিও ঢুঁ মারি- শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই কিংবা এরকম আরও দুএকজন প্রিয় মানুষের কথা অমান্য করেই ঢুঁ মারি!
আড্ডায় শুধু যে অপ্রয়োজনীয় কথা হয় তাইনা। আমার ধারণা বেশ কিছু দরকারী কথাও এখানে উঠে আসে।
মান্ধাতার আমলের সাহিত্যিক থেকে শুরু করে পঞ্চাশ, ষাট, সত্তর, আশি, নব্বই পর্যন্ত; এমনকি চলতি শূন্য দশক এর উদীয়মান কবি, লেখক জুয়েল মুর্শেদ, রুদ্র আরিফ, লায়লা ফেরদৌস ইতু, সঞ্জীব পুরোহিত, সামন্ত সাবুল, মালিহা জেরিন, জাবেদ ভূঁইয়া, রুহুল রুহিন, শাফি সমুদ্র, কামরুল রিফাত... বেশ কিছু নাম উঠে আসে অনায়াসে, অতি সহজে, হয়তো সাবলীলভাবে।
তাদের নিয়ে আলাপ চলতে চলতে, ব্যাঙ্গবিদ্রুপ, প্রশংসা আর নানা হাবিজাবি কথার মাঝে উঠে আসে লিটলম্যাগেরা।
সেখানে অপরিণামদর্শি বাজে ম্যাগ থেকে শুরু করে অভীপ্সা, দাঁড়কাক, লেখাবিল, ত্রিবেণী, সুতিয়া, স্রোতচিহ্ন, রূপম, নতুন দিগন্ত, কোমলগান্ধার, পোস্টার, কর্ষণ, চারবাক, গুহাচিত্র, মানুষ, হড়পা-এর মতো প্রথম সারির ম্যাগসহ আরো আরো ম্যাগের কথা নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে...
আলোচনাগুলো একেবারে ফেলে দেয়ার মতো, তা কিন্তু না।
তারপর লেখকের কর্মকথার শেষ পর্যায়ে চলে আসে লেখকের ব্যক্তিগত জীবন। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটগল্প হৈমন্তী যে নিজের জীবন নিয়ে লিখেছেন তা অতি সহজেই বাংলা স্যারের রেফারেন্সে বলে বসেন এক উদীয়মান কবি, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একমাত্র ছাত্র। যে আলোচনায় উঠে আসে রবি বাবু নিজের তিন মেয়ের বিয়ে দিয়ে ছিলেন যৌতুক দিয়েই। মেয়েরা যৌতুকের জন্য স্বামী নির্যাতিত হয়ে মারাও গিয়েছিলো!
তো এতো বড় তথ্য যেখান থেকে উঠে আসে সেখানের আড্ডা একেবারে অপ্রয়োজনীয় সেকথা বলা অসাধ্য আমার।
অথবা হাল আমলের আর এক কবির কথা, যে সপ্তাহে দুইতিনদিন নারী সঙ্গ ছাড়া থাকতে পারেনা, সেকথাও উঠে আসে।
কিংবা তার নিজের ভাষায় বলা, পতিতালয়ের নারী উপভোগের রগরগে কাহিনী বর্ণনাও কম আনন্দ বা শেখার নয়।
যেখানে বলা হয়, প্রস্টিটিউট যখন তার নিজের পেনিসে কনডম পড়িয়ে দেয় সেই মুহূর্তটাই হলো সবচে আনন্দ বা উপভোগের।
আমরা এগুলো শিখি। প্রস্টিটিউটের কাছে যাবার কথা কল্পনা করি।
হয়তো আমাদের কেউ কেউ যাইও!
তারই মাঝে চলে বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই খালি গলায় গাওয়া কুড়কুড়ানি গান-
আমার যমুনার জল দেখতে কালো, স্নান করিতে লাগে ভালো
যৌবন মিশিয়া গেলো জলে....
অথবা বাংলা ব্যান্ডের সেই জনপ্রিয় গান-
একজনে ছবি আঁকে একমনে ওহু ওমন
আরেকজনে বসে বসে রঙ মাখে...
কিংবা আড্ডার শেষ পর্যায়ে, যখন আড্ডায় অতি ঘনিষ্ঠজন ছাড়া তেমন কেউ আর থাকেনা তখনই কেউ একজন পূঁথি পাঠে মনোযোগ দেয়-
তেলেসমাতি নিভলো বাতি হইলো অন্ধকার
জামার নিচে হাত দিয়া দেখি উচু দুই পাহাড়
যেনো ময়দার বস্তা...
অথবা
কুদ্দুসের বয়স কুড়ি বেচে মুড়ি অভাবে দিন যায়
ঝরিনার কথা ভাইবা ভাইবা পেনিসটা শুকায়
ঝরিনার বয়স ষোল...। ...
এরকমভাবে আরো উঠে আসে কবিদের লুইচ্চামির কথা। যেখানে আমরা জানতে পারি, কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে হুইস্কি আর গাঁজার টাকা শোধ দেয়ার কথা।
সংগঠনে চাকরির নামে লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ।
অথবা, প্রস্টিটিউটের কাছে না গিয়ে কবিতা লিখতে নাপারাসহ আরও অনেক কথা।
কিংবা, প্রেমের কথা বলে নারীর হাইমেন ছেঁড়ার কথা।
অথবা জানতে পারি, রবি ঠাকুর ভাবীর সাথে প্রেম করেছিলেন সে কথা। আর সেকথা জানা জানি হলে ভাবীর আত্মহত্যার কথা।
আল মাহমুদ-এর নারী সংসর্গের কথাও উঠে আসে অতি সহজেই।
কিংবা ব্যবসা সফল দুএকটা সাহিত্য সংগঠনের কথা।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে কাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে তার কথা। কে কত টাকা দিয়ে সংবর্ধনা নিয়ে গর্ভবতি [গর্বিত নয়] হয়েছেন সে কথা। কিংবা নতুন কেউ আর সংবর্ধনা নেবে কিনা সেকথা। সে কথাও উঠে আসে যে, ইদানিং সংবর্ধনা অতি সহজলভ্য হয়ে গেছে- পাঁচ হাজার টাকার রেট কমে নেমে এসেছে দুহাজার টাকায়। এখন দুহাজার টাকা কোনো সাহিত্য সংগঠনকে দিলেই দাতাকে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।
কখনো আমার দুএকটা প্রিয় বিষয়ও উঠে আসে। হয়তো আমার পীড়াপিড়ি অথবা কারও অতি উৎসাহে- আরজ আলী মাতুব্বর। তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে আলাপ চলতে চলতে যখন এ কথা উঠে আসে যে, তিনি বাল ও হাতের নখ দিয়ে একটি স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করে রেখে গেছেন তখন কিছুটা খারাপ লাগে বৈকি। অবশ্য এ সামান্য ব্যাপার নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকার মতো আমি নই। আমি হাসতে হাসতে বলি, ওটা দেখার বড়ো ইচ্ছে ভাই।
ভালোবাসা অধ্যায় : সবাই তোরা থাকিস্ ভালো, আমি আছি তেমন
ম্যাগটির প্রস্তুতিলগ্নে অনেকের কাছেই লেখা চেয়েছি। তাদের কেউ দেবেন বলে দেননি [তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়]। কেউ দিতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন [তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে অবসিয়ে রাখার জন্য]। কেউ অপমান করেছেন সরাসরি, কেউ একটু প্যাঁচ ঘুরিয়ে। অবশ্য আমি হতাশ হইনি।
কারণ কেউ কেউ আমায় এমনভাবে ধরেছেন যে, আমি সামনে আগানোর সাহস পেয়েছি।
আমাদের এই উঠতি বয়সে আমরা অনেক কিছুই করতে চাই। অনেক কিছুটা ভালো কিংবা খারাপ দুইই হতে পারে। কখনো আমরা বুঝে করি, কখনো অবুঝে করি। তবে সৃষ্টির প্রতি আমাদের যে প্রকট একটা আকর্ষণ সেটা কেউই অস্বীকার যাবেননা।
কিংবা বলা যায় যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। কারণ এই বয়সটা হলো স্রষ্টা হওয়ার বয়স, সৃষ্টি করার বয়স। কিন্তু কি সৃষ্টি করবো আর কী করবো না তা যখন আমরা বুঝতে পারি তখনই আমাদের কাছ থেকে কেউ কিছু আশা করতে পারে। অন্যথায় অবশ্যই বোধহয় নয়। আমরা যখন মনে করি নারীর গতর চেটেপুটে এসলেই একটা চমৎকার কবিতা হয়ে যায়, কবিতার উপমা, উৎপ্রেক্ষা, রূপকতা চমৎকার হয় তখনই অকবির দুঃখ থেকে যায় অনেক।
নারীচাটা কবিরা কি তা বুঝতে পারে? নিকোটিনের পুটকি যখন মুখে পুরে গলগলিয়ে বিষাক্ত বিষ ছাড়ি তখনই নাকি কবিতার থিম মাথায় গিজগিজ করে! ভাবতে অচমৎকার লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তবতার পেট ছমাসি থেকে নমাসি অতঃপর বীজ বের হলেও কেউ মাথা উঠায় না। যেনো এটাই বাস্তবতার বাস্তবতা! হায় ঈশ্বর! এও কি কবিতারই কথা? নাকি কবির? কবি যখন সময়কে ধর্ষণ করে, নারী কি একাকীত্ব বোধ করেনা? কিংবা ভাবেনা সব পুরুষই উজবুক অথবা নপুংসক? হায় ঈশ্বর! ওহ গড!! নাকি কবির চিন্তা- সময়কে ধর্ষণ না করলে সৃষ্টি হয়না; কিংবা সৃষ্টি টিকেনা, স্রষ্টা হওয়া যায়না?
ঘৃনা অধ্যায় : ফর গডস শেক, হোল্ড য়ুর টাঙ এন্ড লেট মি লাভ
যারা সাহিত্যকে ভালোবাসেন, সাহিত্য করেন বা কিছুই করেননা কিন্তু নিজেকে মানুষ বলে ভাবেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, থুহ্ নয়, প্লিজ চুহ্-কেই বেছে নিন।
অচেনা অধ্যায় : আমি চিনিগো চিনি তোমারে ওগো...
মৃনাল চোখ বড় বড় করে বললো, অর্থাৎ তুই মরে গেছিস?
পাভেলের মুখ হাসি হাসি। তোর কি ধারণা আমি মিথ্যে বলছি? তুই আমাকে মিথ্যে বলতে দেখেছিস্ কখনো, যখন বেঁচেছিলাম?
মৃনাল মাথা নাড়লো। সে কখনো দেখেনি।
তাহলে গাধার মতো বলছিস্ কেনো? আমি মরে গেছি এটাই হলো শেষ কথা। আর বিশেষ কথা হলো আমি কেনো মরে গেলাম, সেটা জানা।
হ্যাঁ, তাইতো। পাভেল কেনো মরে গেলো? হ্যাঁ, সেটা জানলেই বুঝতে পারবে আসলেই ও মরেছে কিনা। যদিও মৃনালের এখনো পুরোপুরি ব্যাপারটা সেনসেশনে বোধ হচ্ছেনা।
তুই মরে গেলি কেনো পাভেল?
আরে গাধা, বলবো বলবো। অতো তাড়াহুড়ো কেনো? মজার ঘটনা তো কিছুই বললামনা।
পাভেল মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। যেনো মরে যাওয়াটা খুব মজার একটা বিষয়।
২.
বাংলাদেশের মানুষ সবাই এক একজন শ্রেষ্ঠ কবি।
এ কথা বিদগ্ধজন বিশ্বাস না করলেও আমি করি। আশা করি আমার দলের লোক সংখ্যা বেশি না হলেও নেহায়েৎ অবেশি নয়। আমার দলের লোকদের দিকে তাকিয়ে যারা মুচকি মুচকি হাসছেন তাদের বলছি, কথাটার সত্যতা বের করার চেয়ে কিভাবে সবাই কবি হলাম সেটা জানাই হলো বিশেষ কথা। বিশেষ কথাটা জানার জন্য খুব বেশি দূরে যাবার প্রয়োজন হবেনা। আপনার আশেপাশে তাকালেই বেশ অনুভব করতে পারবেন আশা করি।
খুন করা খুব একটা মহৎ শিল্প না হলেও এটাকে আজকাল অনেক নিবেদিত প্রাণ মহানজনেরা শিল্প পর্যায়ে এনে দাঁড়া করিয়েছেন। মানুষের গলা কেটে ফেললে গলগল করে রক্ত বের হয়। সেই রক্ত বের হওয়া শেষ হলে গরম হাওয়া [আদি মাতা হাওয়া নয়, বাতাস] বের হয় এ তথ্য জানা যায় শিল্পগুণসম্পন্ন বিদগ্ধজনদের কাছ থেকেই। এইসব মহানজনেরা আরও অনেক কিছুকে শিল্পপর্যায়ে এনে দাঁড়া করিয়েছেন। ধর্ষণ যেমন একটি শিল্প তেমনি যৌনতাও একটি শিল্প।
প্রশ্ন হতে পারে পাতা অর্ধেক পানিতে আর অর্ধেক ডাঙায় পড়ার মতই- ধর্ষণে কি যৌনতা নেই?
আমরা সবাই কবি। আর কবি মানে হলো, এক একজন শিল্পগুণসম্পন্ন মানুষ। আর যাদের শিল্পগুণ আছে তারাই হলেন মহান ব্যক্তি; নাকি মহানজন? না, তারা মহান ব্যক্তি। যারা কবিতা সৃষ্টির নামে ভ্রুণও সৃষ্টি করেন!
৩.
আমার কষ্ট, আমার বেদনা, আমার সুখ, আমার মমতা, আমার... আমার সবই সবার জন্য। দিস ইজ দ্য টোন অব ফরটিন ক্রোর পিওপল অব দ্য বাংলাদেশ।
সাহিত্যিক সাহিত্য নিজের জন্য করেননা, করেন সবার জন্য।
দহন অধ্যায় : যা কিছু বাজাও না, জগতেরে শোনাও না, বাজাইও না বন্ধু বেদনা, করুণা...
লিটলম্যাগ করা কতোটা আনন্দদায়ক [?] কাজ সেটা একমাত্র ম্যাগের সম্পাদকরাই ভালো জানেন। এ নিয়ে নতুন করে বলা অন্যায়। তাই এর যথার্থ মূল্যায়নও তারা করতে জানেন। তাই বলে যারা লেখক তাদেরও কি ব্যাপারটা সেনসেশনে নেয়া উচিৎ নয় বা তারাও নিতে পারেননা? সেই আশায় এবারের প্রত্যাশা...
দর্শন অধ্যায় : আপনারাতো গেছেন ভুলে, শয়ন করি পাঠে
মৈথুন চলতি সংখ্যাটি অনেক আগে প্রকাশ করার সাধ থাকলেও সাধ্য ছিলোনা।
আমাদের হাতে প্রচুর লেখা এসেছে। কিন্তু মানসম্মত লেখার অভাব প্রতিনিয়ত।
পাঠক এবার বোধ করছি এ সংখ্যার লেখা নিয়ে কিছু ফিরিস্তি বয়ান করার। বাধন অধিকারীর লেখাটি আপনারা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন বলে আমার বিশ্বাস। শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদকে একই প্রশ্ন করে তাদের মতামত জানতে চাওয়াটাও বেশ কিছু ভাবুক প্রতিফলনই মনে করবেন আপনারা মানে পাঠকরা।
আরও আছে দুটি প্রতিষ্ঠিত দৈনিকের সাহিত্য পাতার সম্পাদকের কথা। বলেছেন একই সুরের দুটি তান। দুটি তান এক কিনা সেটাও ভাবার বিষয়।
মৈথুন সব সময় নতুনদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাই নতুনদের আমন্ত্রণ।
পরবর্তী সংখ্যার জন্য লিখুন সংকোচহীনচিত্তে কিংবা বিবেকের তাড়নায়। কারণ বিবেকের তাড়নায় সৃষ্টি হবে প্রতি সংখ্যা মৈথুন।
মৈথুন লিটলম্যাগ নাকি সাহিত্য পত্রিকা তা বিচারের ভার পাঠকের। তবে আমরা এমন কিছু লেখা এখানে দাঁড় করিয়েছি যা দৈনিক বা সাহিত্য পত্রিকা ছাপবেনা। দৈনিক বা সাহিত্য পত্রিকা যা ছাপার সাহস রাখেনা তাই ছাপে লিটলম্যাগ।
পাঠক, আপনাদের মঙ্গল কামনা করে পরবর্তী সংখ্যা সৃষ্টি প্রত্যাশায়...
বি: দ্র: লিটলম্যাগটির নাম মৈথুন ঠিক করা হয়েছিলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।