আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাস চালকের অবহেলার কারনে দুই শিশুর করুণ মৃত্যু, কিন্ডার গার্টেনে পড়ুয়া বাচ্চাদের মা-বাবার‍া সচেতন হোন, সজাগ থাকুন প্লিজ

C:\Documents and Settings\user\Deskto
আইমান জিশান অতীশ আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু দাবীতে থাকি। গত এক বছরে এখানে কিন্ডার গার্টেনে পড়া দুই শিশুর করুণ মৃত্যু এখানকার সবাইকে মর্মাহত করেছে। এই দুই শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী, বাস চালকের সামান্য অবহেলা। প্রথমটা গত বছরের এপ্রিলে, অতীশ না‍মে কেজি গ্রেড ওয়ানের এক ভারতীয় স্কুল ছাত্র বাসে ঘুমিয়ে পড়লে ড্রাইভার অসাবধানতাবশত বাসের দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়, দরজা বন্ধ মানে দরজা জান‍ালা সব বন্ধ এবং বাসের এসি ও বন্ধ, ভেতরে দম বন্ধ পরিবেশ। পরে দুপুরে স্কুল ছুটি হওয়ার সময় অনেক খোজাখুজির পর বাচ্চাকে বাসের ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিস্তারিত পড়ুন Click This Link প্রায় একই ঘটনার পুনর‍াবৃত্তি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার, প্রাইভেট বাসে করে স্কুলে আসা যাওয়া করত সাড়ে চার বছরের আইমান জিশান নামে পাকিস্তানি শিশু। মেয়েটির বাবা দুপুরে স্কুল ছুটির সময় তার মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়যে, আপনার মেয়ে তো স্কুলে আসেনি উত্তরে মেয়ের বাবা জানায় যে, তার তো সকাল ৭.৪৫ এ স্কুলে উপস্থিত থাকার কথা। পরে অনেক খোজাখুজির পর পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফুটফুটে বাচ্চাটার মৃতদেহ পাওয়া যায়। বাচ্চাটা গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ার কারনে গাড়ি থেকে নামতে পারেনি। বিস্তারিত পড়ুন Click This Link এই দুটো শিশুর করুণ মৃতু্র জন্য সবাই যে কারণ গুলো বলছেন তা হলো: ১) গাড়ি চালকের অবহেলা, ২) স্কুলের সময় সূচী (এখানে সকাল ৭.৪৫ এ স্কুল শুরু হয় ) ৩) খুবই অল্প বয়সে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর প্রবণতা ( আমার এক সহর্কমীর ৩ বছরের বাচ্চা এখন প্রি-নার্সারীতে পড়ে ) ৪) অভিভাবকদের কর্মব্যস্ততা।

আমি চাই না আমার দেশে কোনদিন এইরকম করুণ ঘটনা ঘটুক। তাই মা-বাবা, স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ সবাইকে ছোট ছোট সোনামনিদের ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। এটা সম্পাদিত রি-পোষ্ট
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।