আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
সকাল বেলা উইঠাই মেজাজ চরম বিলা। টয়লেটে গিয়া হিসাব পুষাইতে যেইনা কমোডে বসা ওমুন সময় মসজিদের মাইকে ঘুষনা আগামী দুইদিন পানি পাওন যাইবো না ওয়াসার। মেজাজ চরম গরম, কারন টয়লেটে পানি নাই এদিকে টয়লেটের কাজ শুরু- আসলেই ডিসগাস্টিং।
আমি দেখতাছি মোবাইলটা বাজতাছে, আর আমি খাটে শুইয়া গালাগালি পারতাছি সকালের ঘুমও ভালো কইরা ঘুমাইতে দিলি না, হোমার!
: কিরে, সাত সকালে আবার কিসের বাঈ?
: ঐ শোন, তাড়াতাড়ি চন্দ্রিমায় আয়!
: (ঘড়ির দিকে চাইয়া দেখি ভোর সকাল ১০ টা) কিরে এই সাত সকালে তোর কি হইলো, ছুটির দিকে এমুন ৬৯ হইয়া আছস কেন?
: তুই আবি না গ্রেনেড মারুম?
: আইতাছি, খাইয়া দাইয়া আইতাছি।
তয় রাইফেল স্কোয়ারে,চন্দ্রিমায় না!
: খাওন লাগবো না। তুই তাইলে হেলভেসিয়ায় আয়!
আমার তড়াক কইরা ঘুম ভাইঙ্গা গেলা। কি ফাস কেলাস দিন আমার, সাত সকালে হেলভেশিয়া, আমার ক্ষুধা গেলো দ্বিগুন বাইড়া। আহারে কতদিন হেলভেশিয়ার মেগা বার্গার মুখে দেই না। মাউন্টেন ডিউ এক চুমুক দিয়া গরম বার্গার খাইতে কত্ত মজা!
দিলাম দৌড়, মাগার বাইর হইয়া দেখি সূর্য্য মামা আমার চামড়া পুরানোতে ব্যাস্ত।
ভাবলাম আর কিছুক্ষণ দাড়াইলে হেলভেশিয়ার বার্গারের গুস্ত জায়গায় হইয়া যামু। কুনোমতে হেলতে দুলতে গেলাম হেলভেশিয়া অব রাইফেল স্কোয়ার। যাইয়া হতাশ, কারন কুনো সুন্দরী তেমুন দেখতাছি না, আর যাও আছে সব ভুটকি ভাটকি বিগত যৌবনা।
দিলাম ফুন মহামতী হোমাররে।
: ধনেশামামু, তুমি কই?
: তুমার পিছে?
পিছনে তাকানের আগেই দড়াম লাথী! কইলো,"হালা এত দেরী কেন?"
: মাইয়া খুজতেছিলাম।
মামু, আজকা তুমি বস, আমারে খাওয়াও আগে। ক্ষুধায় আমার নাড়ীভুড়ি হজম হইয়া গেলো।
: আহো আজকা তুমারই দিন!
খাইলাম দেড়টা বার্গার আর হাফ লিটার মাউন্টেন ডিউ (যদিও ঐটা বাইরে থিকা কিন্যা আনাইছি)।
: তা মামা, সাতসকালে তুমার মাথায় ক্যাড়াবেড়া কেন?
: মামা, আমি আর দেশত থাকুম না!
কওনের সাথে সাথে বুইজা গেলাম বিদেশ যাওনের পুক মাথায় চড়ছে। কইলো সাত সকালে টয়লেটে গিয়া দেখে পানি নাই।
তখন থিকাই ওর মাথা খারাপ।
: তা মামা, মালপানি কেমুন আছে?
: মাল পানি নাই। কিন্তু বৈদেশ যামু, দেশে আর নাই!
: তাইলে একটা কাম করো, শুক্রাবারের প্রথম আলো হাতে লও আর লও কাগজ কলম। এই নাও আমার মোবাইল। কল চার্জ ফ্রী।
যেই কয়ডা পাত্র চাই আছে বিজ্ঞাপনে রাইট ডাউন করো, দেখো কয়ডা বাইরে লইবার চাও। ইন্জ্ঞিনিয়ার মানুষ, মাইয়া পাইতে সমস্যা নাই!
: বুদ্ধি খারাপ না, অহন বিল দাও আমি গেলাম!
আমি হা হইয়া গেলাম।
: বিল দিমু মানে। পকেটে আছে বিশ টাকা, বাড়ি যাওনের লিগা। আর খাওয়াইলা তুমি বিল কেন আমি?
: ভাবছিলাম তুমি আরো ভালো বুদ্ধি দিবা।
যেহেতু আমার লগে ফান করলা, তাই তুমার বিল।
আমি ঢোক গিললাম, ব্রেইন স্টর্ম করলাম। ৩০০ টাকা বাচানোর জন্য এর চেয়ে ভালো ওয়ে নাই।
কিন্তু বিল কি সত্যি ও দেবে?
জাতীর বিবেকের কাছে কুশ্চেন আমিই কে সেই ব্যাক্তি যে হেলভেশিয়ায় গিয়া মাইর খাবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।