১১ জুলাই। চাঁদের মাটিতে পড়ল মানুষের প্রথম পদচিহ্ন। অ্যাপলো-১১ এর খণ্ডিত অংশ চন্দ্রতরী ঈগল নেমে এলো চাঁদের মাটিতে। খানিকটা দ্বিধা আর অভূতপূর্ব অবাক চাহনী নিয়ে চাঁদে নেমে এলেন নীল আর্মস্ট্রং। তিনি সেখানে হাঁটলেন।
হাঁটার চেষ্টা করলেন বলাই ভাল। ছবি তুললেন। মার্কিনীদের পতাকা উড়িয়ে দিলেন। কিছু স্পেসিমেন সংগ্রহ করলেন।
আওড়ালেন তার সেই বিখ্যাত উক্তি, 'এ স্মল স্টেপ অফ এ ম্যান অন দ্য মুন গিভস এ বিগ লিপ টু দ্য ম্যানকাইন্ড।
'
কয়েক কোটি পৃথিবীবাসী অবলোকন করছিল তার এই পদচারণা, কর্মকান্ড আর কথাগুলো। পৃথিবীবাসী তখন লাইভ দেখতে পায়নি। লাইভ দেখতে পাচ্ছিল কেবল নাসাতে তার সহকর্মীরা।
ঘুরে চলে তারপর হঠাৎ কী মনে পড়তে সামান্য মুচকি হাসলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুচকি হাসিটা আরও বিস্তৃত হল।
আর তিনি বিড় বিড় করে আওড়ালেন, 'গুড লাক মি. গোরস্কি। '
নাসাতে তার সহকর্মীদের মধ্যে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে গেল। এ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন চালান করে দিল নিরবে, কে এই মি. গোরস্কি? কিন্তু কেউ তার কোনও জবাব দিল না। মুহূর্তে ডাটা বেসে টাইপ হতে লাগল, মি. গোরস্কি। ধরেই নেয়া হয়েছিল, মি. গোরস্কি নিশ্চয়ই আর্মস্ট্রংয়ের কোনও রাশান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন।
নাম তো তাই বলে।
কিন্তু ডাটা বেস সন্তোষজনক কোনও তথ্য দিল না। আরও খোঁজা হতে লাগল। বিফল। অতপর অপেক্ষা নীল আর্মস্ট্রং-এর প্রত্যাবর্তনের।
তার মুখ থেকেই শোনা যাবে, ব্যাপারটা কী? এ তো শেখানো পড়ানো কথা নয়? তাহলে?
নীল আর্মস্ট্রং এলেন। সাংবাদিক সম্মেলন হল। নানা কথা হল। প্রযুক্তি, উন্নয়ন, নানা কথা। অবশেষে এলো সেই মুহূর্ত।
এক সাংবাদিক প্রশ্নটা করেই বসলেন। নীল আর্মস্ট্রং কেবল হাসলেন। মুচকি হাসি। উত্তর দিলেন না।
বেশ কয়েক বছর পর কোনও একটা সভায় আবারও বক্তৃতার পর ধরা হল নীল আর্মস্ট্রংকে।
একই প্রশ্ন। একই সাংবাদিক। তিনি এবার আরও নাছোড়বান্দা। আর্মস্ট্রং এবার আর কেবল হেসে পার পেলেন না। তাকে বাধ্য হয়ে বলতে হল, ভাই, ব্যপারটা ব্যক্তিগত।
থাক নাহয়।
প্রায় কুড়ি বছর বাদে আবারও সেই প্রশ্ন। এবার আর্মস্ট্রং আর পালাতে পারলেন না। কে এই মি. গোরস্কি? বলতেই হবে। কী সেই রহস্য? চাঁদে মানুষের পায়ের ছাপ ফেলার সাথে কী সম্পর্ক মি. গোরস্কির?
আর্মস্ট্রং কিছুটা ভাবলেন।
তারপর বললেন, এখন বলা যায়। মি. এন্ড মিসেস গোরস্কি দু'জনেই এখন পরলোকে। এখন বললে আর তারা বিব্রত হবেন না। আর্মস্ট্রং একটু হাসলেন। তারপর বললেন, সেই গল্প।
আমি তখন খুব ছোট। বাড়ির উঠানে বেসবল খেলছিলাম। আমার প্রতিবেশি ছিলেন মি. আর মিসেস গোরস্কি। খেলতে খেলতে বলটা গিয়ে পড়ল গোরস্কিদের ঘরের কাছে। একেবারে তাদের বেডরুমের জানালার নিচে।
আমিই মেরেছিলাম। কাজেই আমাকেই যেতে হল বলটা আনতে। বলটা তুলে উঁচু হতেই চোখ গেল তাদের বেডরুমের ভেতরে। দেখলাম মিসেস গোরস্কি চেঁচাচ্ছেন। মি. গোরস্কি কিছুটা বিব্রত।
মিসেস গোরস্কি বলছেন, 'তুমি ওরাল সেক্স চাচ্ছ? তা তুমি পাবে, পাশের বাড়ির পিচ্ছি যেদিন চাঁদে পা দেবে, সেইদিন তুমি সেটা পাবে। এখন আমাকে বিরক্ত কর না। '
নীল আর্মস্ট্রং আর কিছু বললেন না। গোরস্কিদের স্মরণে তার মনটা কিছুটা স্মৃতিকাতরই হয়ে উঠল বা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।