মাঝে মাঝে মন নিয়ন্ত্রনহীন হতে চায়; কিন্তু...............
প্রসঙ্গ পিলখানা: গভীর ষড়যন্ত্র বনাম কঠিন বাস্তবতা
বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও একের পর এক যে সব ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে কোন যে মনে রাখার মত আর কোনটা যে মনে রাখার মত নয় তা বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হচ্ছে। অর্থাৎ কোন এক ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করার আগেই তার চেয়ে আর এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে; পত্রিকায় বেশ কভারেজ পাচ্ছে। এক দিকে এ সব ঘটনা দুর্ঘটনা অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আর্তনাদ। শেষোক্তটা যেন উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে বারবার। কারণ এটাও শাসক শ্রেণীর আর একটা চরিত্র যে শোষণের রুপ ও মাত্রকে আড়াল করতে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরান।
আবার কোন ঘটনার মূল বিষয়বস্তুকে আড়াল করার জন্যও থাকে পাল্টা প্রচারণা। সম্প্রতি পিলখানা বিদ্রহের পরবর্তি এখন পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটছে তাতে তাই প্রমাণিত হচ্ছে। বিদ্রহের দিন বা তার পরের দিন পর্যন্ত যারা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন তাদের মনে থাকার কথা যে বিদ্রহের মূর কারণ বিডিআরের দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নিতি এবং অধস্তনদের বঞ্চনা থেকে জন্মনেয়া পুঞ্জিভুত ক্ষোভের মহাবিস্ফরন। মিডিযার মধ্যমেই যতটুকু কারণ আমরা জেনেছি তা আমরা এভবে বলতে পারি..
১। বেতন বৈষম্য
২।
আবাসন যানবাহনের সুবিধা না থাকা
৩। মানসিক-শারিরীক নির্যাতন
৪। ‘নেয্য মূল্যের(!!!) দোকানের’ লাভের ভাগ না পাওয়া
৫। নির্বচনের সময় দায়িত্ব পালনের ভাতা না পাওয়া ইত্যাদি।
যাই হোক এর ফলে যাদেরকে জীবন দিতে হল তামোটেই কাম্য হতে পারে না।
কিন্তু আমরা দেখলাম ঘটনার মূল কারণকে পাশ কাটিয়ে একে ‘বিডিআর বনাম সেনাবাহিনী যুদ্ধে’ পরিণত করা হল। তদন্তের নামে ইন্ধন দাতাদের জোর প্রচেষ্টা চলছে; কখনও বিরোধী দল কখনও বা জেএমবি। তবে এটা ঠিক ঘটনার নৃশংসতা দেখে মনে হয় যে এর জন্য অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে বা অন্য কারও হাত থাকতে পারে সেটা অবস্যই বের করা দরকার। কিন্তু এটা তো মূল কারণ নয়! মূল কারণ হচ্ছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নিতি যেটাকে কৌশলে আড়াল করা হচ্ছে। এটাই স্বভবিক, এটাই শাসকদের চরিত্র।
কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই গভীরভাবে কিছু বিষয়ে ভাবতে হবে......
১। সেনাবাহিনী কি সরকারের অধীন না সরকার সেনাবাহিনীর অধীন?
২। সেনাবাহিনী এবং বিডিআরের অভন্তরে যে দুর্নীতি তার বিচার কে করবে?
৩। তত্বাবধায়ক সরকারের সময় শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীদের মুনাফা লুটার সুযোগ করে দিতে ৫৬ টাকার সোয়াবিন তেল ১১০ টাকায় কথিত ‘নেয্য মূল্যের(!!!) দোকানে’ বিক্রি করে যে সরকার প্রধান ও সেনা প্রধান জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করল, জনগণের পকেট থেকে শতশত কেটি টাকা লুটকরে যে নৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করল তার বিচার কিহবে? এই কারণে আমরা কি তাদেরকে পিলখনা হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনি হিসাবে সাব্যস্ত করতে পারি না?
৪। সেনাবাহিনী ও বিডিআর এমন এক বাহিনী যারা দেশের মানুষের জন্য দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তত।
তাই জনগন না খেয়ে তাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। কিন্তু গত ৩৮ বছরে যারা এদেরকে দেশ রক্ষার মাহান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এনে বিভিন্ন সময় জনগনের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড় করিয়েছে তাদের চরিত্র ধ্বংশ করেছে তাদের বিচার কে করবে?
৫। বর্তমানের নীতি ভ্রষ্ট এই বাহিনীর কাছে আমরা কি আশা কনতে পারি যে তারা জীবন দিয়ে হলেও দেশ রক্ষা করবে? না কি তার বদলে তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে পালাতে ব্যস্ত থাকবে; যেমন টি দেখাগেল ২৬/০২ এ?
বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও একের পর এক যে সব ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে কোন যে মনে রাখার মত আর কোনটা যে মনে রাখার মত নয় তা বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হচ্ছে। অর্থাৎ কোন এক ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করার আগেই তার চেয়ে আর এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে; পত্রিকায় বেশ কভারেজ পাচ্ছে। এক দিকে এ সব ঘটনা দুর্ঘটনা অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আর্তনাদ।
শেষোক্তটা যেন উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে বারবার। কারণ এটাও শাসক শ্রেণীর আর একটা চরিত্র যে শোষণের রুপ ও মাত্রকে আড়াল করতে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরান। আবার কোন ঘটনার মূল বিষয়বস্তুকে আড়াল করার জন্যও থাকে পাল্টা প্রচারণা। সম্প্রতি পিলখানা বিদ্রহের পরবর্তি এখন পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটছে তাতে তাই প্রমাণিত হচ্ছে। বিদ্রহের দিন বা তার পরের দিন পর্যন্ত যারা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন তাদের মনে থাকার কথা যে বিদ্রহের মূর কারণ বিডিআরের দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নিতি এবং অধস্তনদের বঞ্চনা থেকে জন্মনেয়া পুঞ্জিভুত ক্ষোভের মহাবিস্ফরন।
মিডিযার মধ্যমেই যতটুকু কারণ আমরা জেনেছি তা আমরা এভবে বলতে পারি..
১। বেতন বৈষম্য
২। আবাসন যানবাহনের সুবিধা না থাকা
৩। মানসিক-শারিরীক নির্যাতন
৪। ‘নেয্য মূল্যের(!!!) দোকানের’ লাভের ভাগ না পাওয়া
৫।
নির্বচনের সময় দায়িত্ব পালনের ভাতা না পাওয়া ইত্যাদি।
যাই হোক এর ফলে যাদেরকে জীবন দিতে হল তামোটেই কাম্য হতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখলাম ঘটনার মূল কারণকে পাশ কাটিয়ে একে ‘বিডিআর বনাম সেনাবাহিনী যুদ্ধে’ পরিণত করা হল। তদন্তের নামে ইন্ধন দাতাদের জোর প্রচেষ্টা চলছে; কখনও বিরোধী দল কখনও বা জেএমবি। তবে এটা ঠিক ঘটনার নৃশংসতা দেখে মনে হয় যে এর জন্য অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে বা অন্য কারও হাত থাকতে পারে সেটা অবস্যই বের করা দরকার।
কিন্তু এটা তো মূল কারণ নয়! মূল কারণ হচ্ছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নিতি যেটাকে কৌশলে আড়াল করা হচ্ছে। এটাই স্বভবিক, এটাই শাসকদের চরিত্র। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই গভীরভাবে কিছু বিষয়ে ভাবতে হবে......
১। সেনাবাহিনী কি সরকারের অধীন না সরকার সেনাবাহিনীর অধীন?
২। সেনাবাহিনী এবং বিডিআরের অভন্তরে যে দুর্নীতি তার বিচার কে করবে?
৩।
তত্বাবধায়ক সরকারের সময় শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীদের মুনাফা লুটার সুযোগ করে দিতে ৫৬ টাকার সোয়াবিন তেল ১১০ টাকায় কথিত ‘নেয্য মূল্যের(!!!) দোকানে’ বিক্রি করে যে সরকার প্রধান ও সেনা প্রধান জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করল, জনগণের পকেট থেকে শতশত কেটি টাকা লুটকরে যে নৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করল তার বিচার কিহবে? এই কারণে আমরা কি তাদেরকে পিলখনা হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনি হিসাবে সাব্যস্ত করতে পারি না?
৪। সেনাবাহিনী ও বিডিআর এমন এক বাহিনী যারা দেশের মানুষের জন্য দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তত। তাই জনগন না খেয়ে তাদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। কিন্তু গত ৩৮ বছরে যারা এদেরকে দেশ রক্ষার মাহান দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এনে বিভিন্ন সময় জনগনের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড় করিয়েছে তাদের চরিত্র ধ্বংশ করেছে তাদের বিচার কে করবে?
৫। বর্তমানের নীতি ভ্রষ্ট এই বাহিনীর কাছে আমরা কি আশা কনতে পারি যে তারা জীবন দিয়ে হলেও দেশ রক্ষা করবে? না কি তার বদলে তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে পালাতে ব্যস্ত থাকবে; যেমন টি দেখাগেল ২৬/০২ এ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।