চেষ্টা করছি
কাজ শেষ ভাবতেই ক্লান্তিগুলো জেকে বসলো। বরিশালের কাজ শেষ,এবার ঢাকায় ফেরার পালা। উহ আবার জার্নি। সাথে সাথে মন বল্লো, কই নাতো কালকে লঞ্চ জার্নিতো মনেই হয়নি জার্নিতে আছি। উঠেই ঘুম।
মনে হলো বাড়িতেই আছি। কেবিনে প্রত্যেক যাত্রির জন্য আলাদা রুম,ঘুমানোর জন্য বেড,সাথে ছোপা,টিভি, ফ্রেস রুম,খাবারের ক্যান্টিন,ডিসপেন্সারী,সেলুণ। নদীর মুক্ত বাতাস আর চাদ মামার অকৃপন স্নেহ মাখা পরশ পাবার জন্য পাশে বসার চেয়ার সাথে চা বা কফি খাওয়া। কি নেই তাতে?। সময় হয়েছে লঞ্চ ছড়ার ।
ক্লান্তি থাকায় উঠেই ঘুম। রাতের খাবার হোষ্টদের বাসা থেকে খাইয়ে তবেই ছেড়েছে। তাই খাবার আর কোন চিন্তা নেই। চিন্তা একটাই তা হলো,খুব সকালে একটা জরুরী কাজ। জানলাম সাড়ে চারটা পাচটাই পৌছবে লঞ্চ।
পৌছার পর কে ডেকে দিবে আমাকে । তাই কেবিন বয় মনসুরকে ডাকলাম, সকালে পৌছার সাথে সাথেই যেন আমাকে ডেকে দেয়। উত্তরে মনসুর-মোর ডাহা লাগবেনা,লঞ্চ বুড়িগঙ্গায় পরলে পানির গোন্দ নাহের মইদ্দে দিয়া পেডে যাইয়া,পেড মোড়াইয়া নিজেই উইট্টা যাইবেন। সাথে সাথে মনে পরলো আসার সময়ের অসহ্য এক দূগন্ধের কথা। বুঝিনি তখন এটা বুড়িগঙ্গার লাশের গন্ধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।