আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অটো ছাতা



হায়রে প্রবাস জীবন! ৪৬ ডিগ্রি তাপমাএায় রাস্তা পরিস্কার করা কত যে কষ্ট তাহা একমাএ যে করে সে বুঝে। এ বছর বাংলাদেশে সর্বচ্চ তাপমাএা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সিলসিয়াস এই তাপমাএায় প্রতি ঘরে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে ২/৩ জন করে বা তার ও বেশী । ৪০ বছরে ও এই গরম পড়ে নাই। আর যারা মধ্যেপ্রাচ্যর ৪৮ডিগ্রি তাপমাএায় এভাবে রাস্তায় কাজ করে তাদের কি অবস্থা ?একবার কি ভেবে দেখবেন? আমার একবন্ধু দেশে যাবে তার থেকে কিছু মালপএ দিব গিন্নির জন্য আর বাচ্চার জন্য। তাই পচন্দের মার্কেটে গেলাম।

মার্কেটের নাম “রিয়াদ মোল” অত্যাধনিক জিনিস পএ পাওয়া যাই। তাই সেখানে গেলাম। মার্কেটে ঢুকতেই দেখি মাথার মাঝে ছাতা লাগা এক লোক এই রৌদ্রের মাঝে রাস্তা পরিষ্কার করছে। এখানে আর্কশনীয় হলো তার একহাতে ঝাড়ু আর একহাতে বালতি সে ছাতি ধরল কি ভাবে? আমি ভালো করে লক্ষ করলাম ব্যাপারটা। দেখলাম ছোট একটা ছাতা মাথার সাথে রাবার দিয়ে পেছানো।

ছাতাটার ওজন হবে ২০০ গ্রামের মতো। যে জায়গায় আমরা হাত দিয়ে ধরি সেখানে গোল প্লাষ্টিক দিয়ে বাধানো। সেটা মাথার সাথে বেধে দেয়। শুধু রৌদ্রের তাপ থেকে বাচার জন্য। এই ছাতাকে আবার পকেটের মাঝে ও রাখা যাই।

ছাতাটা আমার পচন্দ হয়েছে। তাকে বললাম ভাই এটা কোথায় পাওয়া যাবে সে আমাকে বলল যে ভাই এটা আমাদের কোম্পানী দিয়েছে। আমি জানি না। তার নাম আনিছ দেশের বাড়ী খুলনা। ৯ বছর যাবত এই কাজ করে।

তিনবার দেশে গিয়াছে। বেতন তার ৭০০রিয়াল। ৮ ঘন্টা ডিউটি। ডিউটি শেষে বাহিরে ২টা পারটাইম জব করে পাই ৮০০ রিয়াল। মোট ১৫০০রিয়াল পাই মাসে।

খুব ভালো আছে বলল। অথচ দেশে যাওয়ার পর আমাদের চলাফেরা কত সুন্দর। পারফিউমের গন্ধে মানুষ মাতাল হয়ে যাই। দু হাতে টাকা খরচ করি। মাথার ঘাম পায়ে পেলে যে টাকা আয় করি সেটা আমাদের খেয়ালই থাকে না।

আত্নীয় স্বজনেরা আসে উপহার নেয়ার জন্য না দিতে পারলে মন খারাপ। আসলে প্রবাস জীবনটাই খুব কষ্টের। এখানে সুখ নেই। আছে দু:খ আর দু:খ । যারা প্রবাসে আসবেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ বিদেশ আসার আগে ভেবে চিন্তে ।

কি কাজ, কত ঘন্টা ডিউটি সব জেনে আসবেন। যে দেশে যাবেন সে দেশের সর্ম্পকে আগে জেনে নিবেন। তাহলে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না। একটা প্রবাদ আছে “ভাবিয়া করি ও কাজ ,করিয়া ভাবি ও না”।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।