আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না ?

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

পত্রিকা পইড়াই মেজাজ খারাপ হয়া গেল। রাজনীতি করলেই এই সব কুর্কীতি করতে হইব ? খবরটা এমন ----- নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড় মলিকা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের কন্যা স্থানীয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। অভিযোগে জানা যায়, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাশিনাথ দাসের ভাতিজা আওয়ামী লীগ সমর্থক নিরঞ্জন দাস ভুলু ও তার সঙ্গীরা গতকাল সকালে সিংড়া বাজার থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখে। পরে বিবস্ত্র করে ছবি তুলতে থাকলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা হইলেই যদি যা খুশি তা করা যায় ? থানা পুলিশ সব ঘুমায়া থাকে ? তবে আর এত এত স্বপ্ন দেখাইয়া লাভ কী ? এর আগেও অনেক কুর্কীতির কথা শুনছি। বিম্পি ও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গাইয়া কত লোক কত আকাম করে। পরে তারা বুক ফুলাইয়া ঘুইরা বেড়ায়। না কোন আইনী ব্যবস্থা হয়, না কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা। আমি নিশ্চিত এই নিরঞ্জন দাস ভুলু ও তার সঙ্গীরা কেউ আওয়ামী লীগের না।

তারপরও তার কাকার পরিচয়ে এরা পার পেয়ে যাবে। ক্ষমতাসীন দলের দুর্গন্ধ গায়ে লাগাইলে যদি কোন আইন ও বিচার তার টিকিটিও ছুঁতে না পারে তবে ক্রিমিনালরা সেই সুযোগটা নেবে না কেন ? এই রকম ঘটনা আর কত কাল আমরা দেখব ? সাংগঠনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না ? এক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব -------- ০১) যদি কোন ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলে নাম ভাঙ্গাইয়া কোন কুকর্ম করে, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের মানহানি করার জন্য দলের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হউক। ০২) স্থানীয় কোন রাজনৈতিক নেতার কথায় পুলিশ জী হুজুর ভাবভঙ্গি করে কোন কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হউক। ০৩) এই সব কুর্কীতি কোন সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার নামে মানুষকে সমাজে হেয় করা বন্ধ হউক। বিশেষত গ্রামে গ্রামে নিরীহ মেয়েদের সামাজিভাবে হেয় করা বন্ধ করা হোক।

এই সব সালিশ বৈঠক আইন করে নিষিদ্ধ করা হউক। সালিশ বৈঠকের সাথে কোন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সংস্পর্শ নিষিদ্ধ করা হউক। ০৪) নারী নির্যাতনের সাথে বা নারীদের সম্মানহানি করে এমন কোন কুর্কীতির সাথে কোন রাজনৈতিক নেতা জড়িত থাকলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হউক। এমন কি তার নাম ভাঙ্গাইয়া তার ভাই, ভাতিজারা আকাম কুকাম কইরা বেড়াইলে তার কৈফিয়তও সাংগঠনিকভাবে নেয়া হউক। নারী নির্যাতনের সাথে কোন রাজনৈতিক নেতা জড়িত থাকলে একজন নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ছাড় না দেয়ার মনোভাব থাকা দরকার ছিল বহু আগে থেকেই।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সেই চেহারা আমরা কোনকালেই দেখি নাই। যে দেশে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী দিনের পর দিন ২ জন মহিলা সেই দেশে আজও নারীদের নিগৃহীত হতে হয় তাদের দলের লোক বা সমর্থক বা চামচা দ্বারা, এর চেয়ে দুঃখের আর কি হতে পারে ? বিস্তারিত সংবাদটি এখানে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।