,মানুষ প্রতিদিন বাচে না , প্রতিদিন বেচে যায় , মারা যায় একদিন
উভয় সংকট স্কয়ার দিলাম কারন উভয় সংকট অর্থ হইল দুই দিক দিয়া বিপদ কিন্তু এখন তো দেখি যে চার দিক দিয়া বিপদ .... বাংলা দেশে জন্মাইসি কষ্ঠ তো একটু পেতেই হবে ... কিন্তু তার পরো নিজ জন্মভুমি ... এরকম কথা তো বলা যায় নাহ ... কিন্তু এখন তো আর সহ্য করা যায় নাহ .. আগে দুই একটা কষ্ঠ হইলে চালায়া নিতাম কিন্তু একসাথে কষ্ঠ স্কয়ার ... এইটা ফেয়ার নাহ ... কত কষ্ঠ দিব আমাগর এই নির্মম পৃথীবি ... ভাল লাগে নাহ আর ... যখনি কোন ভাল কাজ করতে যাই তক্ষনি কষ্ঠ স্কয়ার এর এর যেকোন একটা পা দিয়া দেয় .... যেমন এইতো গত কাল আমার পরিক্ষা শেষ হইল ... এর পরেই একটা সফটওয়ার নামাইতাসিলাম .... এমন সময় আমার ভাগ্যের মাঝখানে লাত্থি লাগায় লোডশেডিং ... আরে ভাই গেল তো গেল ... আমার তো মনে হয় হালারা কারেন্ট এর লাইন খুইলা দিয়া ঘুমায়া পরসিলো .... এক মাস আগে একটা পোষ্ঠ করসিলাম ... এই লোডশেডিং নিয়া ... আমার তো মনে হয় বিদ্যুত কতৃপক্ষ ঐ পোষ্ঠ দেখছে ... দেইখা আমার বাসায় নিয়মিত চাইর পাচ বার কইরা ঠাডা ফালায় ... হায়রে আল্লা এখন তো অভ্যাস হয়া গেসে ... এক ঘন্টা পরে পরেই কারেন্ট যায় .. তাই আর চিন্তা নাই .. এক ঘন্টা হবার ৫ মিনিট আগে পিসি অফ কইরা গিয়া ঘুমায়া থাকি ... কমসে কম ঘুমাইলে তো ঐ জাহান্নামের কষ্ঠ টের পামু নাহ ...
গেল এক কষ্ঠ .... এর পর হিসাব করতে গেলেই আসে আমাদের অতি প্রীয় গ্রীষ্ম কালের গরম .. যদিও বৃষ্ঠি তে একটু ঠান্ডা লাগছে .... . অফ কি আনন্দ গ্রীষ্ম কাল আম কাঠাল খামু ... আল্লারে আমার তো আম কাঠাল খাওয়া একবারে হারাম কইরা দিলো এই গরম .. এখন তো আম বানান করাই ভুইলা গেছি গরম এর চোটে ... আম বলতে গেলেও মুখের মদ্ধ্যে আইসা পরে গরমের গ মানে আমের জায়গায় বইলা ফেলি গাম :p হায়রে কষ্ঠ এর চাইতে তো মনে হয় বাত রুমে গিয়া বইসা থাকলে বহুত আরাম ... আসলেই বাথ রুমে গিয়া বইসা থাকলে ভালো আরাম লাগে ... কমসে কম গরম তো ভুইলা থাকা যায় ...
এর পরে হিসাব করতে গেলে আসে আমাদের ওয়াসা ভাইয়ের কাহিনি .. ওফ তারা কি মধুর পানি আমাদের দান করে .. তা মুখে বইলা বুঝানোর মত নাহ ... কিন্তু হাতে দিয়া বুঝানোর মত ... কেননা এই পানি খায়া তো আমার মুখ নষ্ঠ হয়া গেসে ... এই পানি দিয়া গোসল করতে গেলেও মনে হয় যে আমি ড্রেনের পানির মদ্ধ্যে ডুইবা রইসি ... খাবার পানি না হইলে ফিল্টার থিকা .. কিন্ত গোসল করার সময় !!! ... আরে ভাত খায়া যে হাত ধুইতা জাব সেই শান্তিও তো পাই নাহ .. কষ্ঠ কারে কয় তা তো আর শেয়ার করার কেও নাই ... মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে গলা ফাটায়া চিল্লাই .. কিন্তু দেখি আশেপাশের মানুষ জন কেমন কইরা জানি তাকায় .. যাই হোক এই কষ্ঠ শুধু মাত্র বাথরুমে গিয়াই শেয়ার করার মত .....
এর পর ধরতে গেলেই আসে আমাদের সবার প্রিয় মশার কথা ... সররব কালের শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তিত্ত থুক্কু কিটতক্ত ... তার কাছে এমন কেও নাই হার মানে নাহ .. আর রাতের বেলা তো কথাই নাই ... ওগর লগে আড্ডা মারতে মারতেই কোন চিপা দিয়া যে রাইত কাটে আল্লায় যানে ... আর তারা এই আড্ডার বললে রক্ত চায় .. তাদের অফার টা হচ্ছে এরকম .. রক্তের বদলে আড্ডা ফ্রী .. তবে তারা যে ঘুম হারাম করে না তা এক্কেবারে ৫ তারা ... এই রকম ভাবে তো কোন চোর ও ঘুম হারাম করতে পারব নাহ
যাই হোক আপনাদের যদি বাথ রুম থাকে তাহলে কমডের সাথে আপনার কষ্ঠ শেয়ার করেন ... কেননা কমড ছারা এই কষ্ঠ আর কেও বুঝবে নাহ ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।