এই ব্লগের সব লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ঘরের কোনে রাখা কংকালটিতে হাত বুলাতেই এক মৃত মানুষের গায়ের শিউরে ওঠা ঠান্ডা পরশ বুলিয়ে গেল একমূহুর্তে ...... সেই সাথে গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো যেন অন্যরকম অদ্ভুত শীতল এক অনুভূতি ... রক্ত মাংস চামড়া বিহীন মানুষটাকে কয়েকবার জীবিত কল্পনা করতে গিয়েও কোথায় যেন এক ছেড়া তারের বেসুরো মুর্ছনা বেজে উঠছে বার বার ... চুলবিহীন মাথার খুলির অংশগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে ছুয়ে দেখলে অবাক হতে হয় ... এই সেই যায়গা, যেখান থেকে এ শরীরটির প্রতিটি অংশকে সুনিপুনভাবে নিয়ন্ত্রন করেছে, মানুষটির এই ছোট্ট অংশটুকু কত লাখো কোটি কাজ করেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই ... চোখের গর্তদুটি দেখলে কেউ কি বলবে এ দুটি অন্ধকার কুঠুরী দিয়েই এই মানুষটির জীবনে একসময়ে জ্বালিয়েছিল উজ্বল আলোর বন্যা ...... বিভৎস হাসিতে মুখরিত দাতগুলোর দিকে তাকালে আজ একে ঢেকে রাখা কোমল দুটি ঠোটকে খুব বেশী প্রয়োজনীয় বলে মনে হয় ... কন্ঠনালী বেয়ে বুকের খাঁচার উপরে হাত রাখতেই যেন শোনা যায় হৃৎপিন্ডের ধুকপুকানী ... মন নাকি এখানেই থাকে ... যা সচল হৃৎপিন্ডের কার্য্যক্ষমতাকে চরমভাবে নিয়ন্ত্রন করে থাকে ... পাজরের হাড়গুলো এর ভিতরের সবকিছুকে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত আগলে রাখলেও মৃত্যুর পরে ওরা সবাই তার থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন , কিন্ত সে আজো নিঃসঙ্গ বুকের প্রহরায় নিজেকে বেধে রেখেছে অটুট বন্ধনীর মাঝে ... কংকালের একটি আংগুলকে স্পর্শ করা মাত্রই যেন দুই শরীর অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরকে আরো কাছে এনে দিল ... এক মুহুর্ত জীবন ঘড়ির উপরে নজর বুলাতেই আজ যেন নিজেকে আশা-নিরাশায় দোদুল্যমান নর কংকাল বলেই মনে হচ্ছে ....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।