সরি একটু শুনতে খারাপ লাগবে কিন্তু তাও বলতে হবে “বালতো লম্বা হল কিন্তু বালের গোরায় পানি দিল কে” ? জি হ্যা বাল যদি লম্বা হওয়ার পর নিজ শরীর না চিনে তাহলে তো মহাবিপদ। তাই না?
মানুষের কৃতজ্ঞতাবোধ যদি না থাকে তাহলে যা হয় আর কি , তখন ভুলে যায় তার অতীত। পয়সা যখন পকেটে আসে তখন ভুলে যায় তার পিতাকেও আর এই ব্লগ তো বড়ই মামুলি একটি জিনিস।
আজকের যেই ব্লগার আর অনলাইন এক্তিভিস্ট দেখতে পাচ্ছি, এই মানুষগুলিকে তৈরি করেছে কে ? এই সামহয়ার ইন । আজকের এই সজাগ যুব সমাজ তৈরিতে এই ব্লগটির যেই কৃতিত্বটা মোটেও কম নয় বৈকি সবার চেয়ে বেশী।
ব্লগটির বিশিষ্ট কিছু বৈশিস্ট আছে কিন্তু সবচেয়ে যেটি গুরত্তপূর্ণ সেটি হল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। দেখুন আমাদের দেশের যেই সার্বিক অবস্থান বৃহৎ রাজনৈতিক ঠিক সেটির বহিরপ্রকাশই আমরা এইখানে দেখতে পাই। মানে এখন ও এই দেশে গনতন্ত্র আছে ঠিক যেমনটা আছে এই ব্লগটিতে।
আর সেই যায়গাটি সৃষ্টি করেছে বহু বছরে। আর ওই স্বাধীন জায়গাটিতে অন্য ব্লগের আচরন স্বৈরাচারী এবং মানের দিক থেকে এর সামুর আসে পাসেও টিকবে না।
আচ্ছা ধরেন আপনি আওয়ামীলীগের ব্লগে নাম নিব না সেখানে আওয়ামীলীগের বিপক্ষে কিছু লিখতে পারবেন ? কিংবা জামাতের ব্লগ এ যুদ্ধ অপরাধীদের ? না কিন্তু এইখানে আপনি দুইটাই লিখতে পারবেন। আবার এইখানে আস্তিকতা আবার নাস্তিকতা দুইটাই আছে সো বেলেন্সড আছে দুইদিকেই।
শুনুন এখনো যুদ্ধঅপরাধির বিচার ও এর প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় আছে, আছে সন্দেহ কিন্তু সেটি টিকতে পারছে না বা আমরা দেখতে পারছিনা আমাদের আন্দোলনের তোপের কারনে। কিন্তু যখন স্বাভাবিক ছিল তখন ব্লগারদের অনেকেই এর বিপক্ষে বলেছেন তেমনি আমরা তাদের দিফেন্ড করছি।
সো এটাই নিয়ম এইখানেই তো সবাই মত দিবে সুতরাং এটি যদি মত বন্ধ করার জায়গা হয়ে উঠে তাহলে তো বিপদ।
আর সেটি হতে দেয়া যাবে না । এইখানেই সামু অবিনশ্বর।
যাই হোক কিছু পেইড ব্লগার যারা প্রোমোশনের আগে এইখানেই ছিলেন,এই ব্লগে। সহযোদ্ধা বলে এগিয়ে নিয়ে যাবার যেই ওয়াদা ছিল সেটা প্রথমে এখন সেইটা চলে গেছে নিজদের বানানো ব্লগে আর নিজেদের ফেইসবুকে আর এখন কিছু টক শো তে এই সিজনে।
এরাই এখন বলছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সামু তাহলে আমার প্রস্ন হল বিএনপির আমলের আপনার পোস্টগুলিও কি দেশ বিরোধী ছিল না কেননা তখনতো সেটি তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ছিল? তাই না?
শুনুন শেষ কথা হল এই দেশে ধর্ম আর ধর্মহীনতা, স্বাধীনতা আর যুদ্ধ অপরাধ এইগুলা সারা জীবনই দেখা বারনিং ইস্যু এগুলান লিখলে আবার নাকি টাকা পয়সাও দেয়।
আসে হল জার্মানি,নরওয়ে,ভারত,পাকিস্তান আর মধ্যপ্রাচ্চে থেকে । বাই দ্যা ওয়ে ভাল যেই ভাবে আমাদের পেইড ব্লগার( ব্লগার না অন লাইন এক্তিভিস্ট) বাড়ছে তাতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর সমস্যা থাকার কথা নয় ।
শেষ কথা বলছি আপনাকে অমি রহমান পিয়াল নিজের সম্মান এর জায়গাটি ধরে রাখুন দুই দিন পর কিন্তু টেলিভিশনের যুদ্ধ অপরাধীর ইস্যু ঠাণ্ডা হয়ে যাবে তখন কিন্তু শেষ ভরসা এই সামু আর আমুর ব্লগাররাই তা ভুলে যাবেন না। বাংলা নিউজের রিপোর্ট এবং আমি রহমান পিয়ালের মন্তব্বের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।