যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
সৃষ্টির প্রাচীন প্রবাদ হলো, জন্ম হলে মৃত্যু অবধারিত৷ যত বড় জ্ঞানী এবং গুণী কিংবা ধনী ব্যক্তি মানুষ হোক না কেন কেউ অমর নন৷ প্রকৃতির এই নিয়মকে বহাল রেখে চলে গেলেন সাড়া জাগানো বলিউড অভিনেতা ফিরোজ খান৷
ফিরোজ খান ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র সম্পাদক৷ দীর্ঘ দিন যাবৎ মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি৷ ২৭শে এপ্রিল রাতে নিজ খামার বাড়ি ব্যাঙ্গলোরে মারা যান তিনি৷ তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর৷ক্যান্সারে আক্রান্ত ফিরোজ খান অনেকদিন থেকেই মুম্বাইয়ের বিচ ক্যানেডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে লড়তে শেষপর্যন্ত মৃত্যু যুদ্ধে হেরে গেলেন তিনি৷
১৯৬০ সালের দিকে ফিরোজ খান মুম্বাই চলে আসেন৷ ‘দিদি’ নামের একটি ছবিতে পার্শ্ব অভিনেতার চরিত্রে কাজ করেন তিনি৷ এরপর আর চলার গতি থামেনি তাঁর৷ এই গুণগ্রাহী শিল্পী যেমন অভিনয় করেছেন প্রধান অভিনেতা চরিত্রে, তেমনি পরিচালক হিসেবে বলিউডকে দিয়েছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র৷ ১৯৬৫ সালে তিনি অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন ‘অচেনা লোক’ এবং ‘আরজু’ নামের মিষ্টি গানের প্রেমের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে৷ ১৯৬৯ সালে ফিরোজ খান ‘আদমি অর ইনসান’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি ফ্লিম ফেয়ার এওয়্যার্ড অর্জন করেন৷ হলিউডের ছবি ‘গড ফাদার’ অবলম্বনে তিনি ‘ধর্মাত্মা’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন৷ আফগানিস্তানের মাটিতে তিনি হিন্দীভাষী চলচ্চিত্র ‘ধর্মাত্মা’ নির্মাণ করেন৷ এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দেন তিনি হিন্দীর ছবির দর্শকদের৷ কুরবানী, জাবাজ, দয়াবান ছাড়াও অসংখ্য হিট ছবি নির্মাণ করে একজন শীর্ষ পরিচালক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি৷
প্রসঙ্গত, ফিরোজ খানের বাবা ছিলেন আফগান বংশোদ্ভুত এবং মা ছিলেন ভারতীয়৷ তাঁর দু সন্তানের মধ্যে ছেলে ফারদিন খান তাঁর বাবার পথ অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন৷ কিন্তু বাবার মতো এত বড় হিট এখন পর্যন্ত দিতে পারেননি বলিউডকে৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।