আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারকোড-একটি পণ্যের পরিচিতি

ভালো আছি

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন- বই, সাবান, শ্যাম্পু, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বা অন্য জিসিপত্রের গায়ে লম্বা সমান্তরাল কালো দাগের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের সিল দেখা যায়। আমারা হয়তো অনেকেই জানি না এই জিনিসটি কি বা এর দ্বারা কি বোঝানো হয়। এই সিলকে বলা হয় বারকোড। একটি জিনিসের বারকোডের সঙ্গে আরেকটি জিনিসের বারকোডের কোন মিল নেই। কারন সব জিনিস তো আর এক নয়, কিংবা সে সবের মান, উৎপাদনকাল এবং দামও এক নয়।

তবে পার্থক্য খুব স্পষ্ট নয়, বরং খুবই সূক্ষ্ম, যা এক রকম ধরাই যায় না। বিভিন্ন প্রকার বারকোড ছাপানোর উদ্দেশ্য হলো ওই সব পণ্য সম্পর্কিত তথ্য ক্রেতাদের জানানো। যেমন দাম, সংখ্যা, উৎপাদনের তারিখ, ব্যবহারের সময়কাল, গুণগত মান ইত্যাদি। এ সংকেত দেখে সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি পণ্যের উপরিউক্ত তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে না। শুধু মাত্র কম্পিউটারাইজড স্ক্যানার-এ তথ্য বা সংকেত পড়তে পারে।

দোকানে গিয়ে কোন জিনিস কিনবার পর ক্যাশিয়ার তার স্ক্যানারের সেন্সর ওই বারকোডের উপর দিয়ে শুধু একবার টেনে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই পণ্যের যাবতীয় তথ্য কম্পিউটার রের্কড করে নেয় এবং সে সব তথ্য কম্পিউটারের স্ক্রিনের উপর ভেসে ওঠে। উন্নত বিশ্বে দোকানিরা এভাবেই পণ্য বিক্রি করে থাকে। আজ থেকে প্রায় দু’দশক আগে বারকোডের প্রচলন শুরু হয়েছে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বারকোডেরও প্রসার ঘটছে দ্রুতগতিতে।

এক কথায় বলা যায় যে দৃশ্যত বারকোড হলো পণ্যের পরিচিতিপত্র। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশে বারকোডের ব্যবহার অনেকটা ধোঁকায় পরিণত হয়েছে। বাজারের প্রতিটি পণ্যের গায়েই এখন শোভা পায় বারকোডের সিল। অথচ এর মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান যাচাইয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। আন্তর্জাতিক মানের পণ্যগুলোর গায়ে সাধারণত বারকোড ব্যবহার করা হয়।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের পণ্যের গায়ে বারকোডের সিল মেরে সেটাকে উন্নতমানের পণ্য হিসাবে ক্রেতাকে বোঝাতে চায়। কিন্তু অনেকেই জানে না বারকোডের ব্যবহার কি এবং সেটা কোথায় ব্যবহার করতে হয়। বারকোডকে কার্যোপযোগী করতে হলে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি পণ্যের মানের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বারকোডের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।