কম্পিউটার বিশারদ পেশায়, নেশায় যুক্তিবাদী
গত কদিন ধরে বাংলাদেশের ব্লগারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখলাম মাশরাফির জায়গা না হওয়া নিয়ে। অনেকেই বলেছেন আগারকার বা দিন্ডার মত প্লেয়ারকে দলে রাখা হচ্ছে অথচ মাশরাফির কেন দলে জায়গা নেই। আসলে ব্যাপারটা অন্যরকম। মাশরাফির সাথে দিন্ডা বা আগারকারের কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আছে এনরিকের সাথে।
নিয়মানুসারে, প্লেয়িং ইলেভেন এ ৪ জন পর্যন্ত বিদেশী প্লেয়ার রাখার অনুমতি আছে আই-পি-এল এ।
এখন কোলকাতার টিমের বিদেশী প্লেয়ার অনেক - গেল (স্পিনার-অলরাউন্ডার), ম্যাককালাম (ক্যাপ্টেন), হজ (ব্যাটসম্যান), এনরিকে (ফাস্ট বোলার-অলরাউন্ডার), ডেভিড হাসি (ব্যাটসম্যান), অজন্তা মেন্ডিস (স্পিনার), মাশরাফি(ফাস্ট বোলার-অলরাউন্ডার) আর ল্যাঙ্গভেল্ট (ফাস্ট বোলার)। গেল-ম্যাককালাম খেলবেই। বাকি রইল পাঁচ জন। এদের মধ্যে অজন্তা মেন্ডিস মনে হয় নেই এখন আর বাকিদের মধ্যে বুকাননের পাল্লা ভারী অস্ট্রেলিয়দের দিকেই। টিম কেনার দায়িত্বে সৌরভ-শাহরুখ থাকলেও খেলানোর সময়ে সবই বুকানন।
তাই এই সিজনে অস্ট্রেলিয়ানরা থাকতে থাকতে মাশরাফির খেলার সম্ভাবনা কম।
তবে বাংলা মিডিয়া দুই ম্যাচের পরে মাশরাফির জন্য গলা ফাটাচ্ছে। এনরিকে-কে কাররই মনে ধরে নি। পর্তুগীজ বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয় অলরাউণ্ডারের ব্যাটে-বলে আহামরি কোনো পারফরমেন্স নেই। বরং প্র্যাকটিস ম্যাচে মাশরাফিই ভাল বল করেছে।
আনন্দবাজারের বক্তব্য আমার মতের সাথে মেলে -
"মোজেস হেনরিকে-কে ঘটা করে নিয়ে আসা হয়েছে দলে। অবশ্যই বুকাননের সুপারিশে। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স দেখে তো কপিল দেবের ফেভারিট উক্তিটাই মনে পেড় যাবে। জঙ্গলে নাকি ময়ূর নেচেছে। কিন্তু কে দেখেছে? মোজেস হেনরিকে নাকি দুর্ধর্ষ টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট অষ্ট্রলীয় ক্রিকেটে।
সমস্যা হল কে দেখেছে? অষ্ট্রলীয় বলে তিনি খেলবেন আর মাশরফি মর্তুজা বাইরে বসে থাকবেন?"
তবে চার-বিদেশীর নিয়মটা প্রায় সব দেশের ঘরোয়া লিগে আছে। আসলে এই যুগে ভুলেই গেছি যে আই-পি-এল আসলে ভারতের ঘরোয়া ২০-২০ টুর্নামেন্ট। সবই প্যাকেজিং আর অ্যাডভার্টাইসমেন্টের কল্যাণে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।