দেখুন আর একটি কথা হল আওয়ামিলিগ মানেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল কিংবা রাজাকারহীন আর মুক্তিযুদ্ধায় ভরা দল এমনটি ভাবা আসলেই বোকার স্বর্গে অবস্থান করা ছাড়া আর কিছুই নয়। মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ অপরাধ এবং এই ট্রাইব্যুনাল ও দল হিসেবে আওয়ামীলীগের নিরাপদে অবস্থান করার বিষয়ে লিখার আগে এই আন্দোলনের বিষয়ে কিছু বলা প্রয়োজন এবং এরই সাথে বঙ্গবীর কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের উপর কথা বলবো।
আমাদের অগ্রজ ব্লগার এবং অনলাইন যেই এক্তিভিস্ট আছেন তাদের নিরলস চেষ্টার ফসল হল আজকের যুদ্ধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে যেই জনমত গড়ে উঠেছ শাহবাগ স্কয়ার এর প্রজন্ম স্কয়ার নামে খ্যাত এই জনবিক্ষভে।
এরকম একটি প্লেটফর্ম কিন্তু বারবার গড়ে উঠে না আমাদের উচিৎ এটিকে কাজে লাগানো। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ? আজকে স্বভাবতই একটি প্রস্ন উঠে গেছে সবার মনে যে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চাই ই চাই এতে কোন দ্বিমত নেই এবং যারা কিছুটা দ্বিধা দণ্ডে ভুগছিলেন তারাও আজ আমাদের সাথে ।
সুতরাং আমাদের শক্তি কিন্তু এখন সুবিশাল এবং যথেষ্ট সফল।
তাই আমাদের যুদ্ধ অপরাধীর যেই শাস্তির এজেন্ডা আমরা তৈরি করেছি তাতে অবশ্যই আরও যারা রাজাকার আছেন তাদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে তাহলে এই বিচার হবে পরিস্কার এবং প্রশ্নাতীত তবেই সাধারন জনতার আরও সমর্থন বাড়বে। পাশাপাশি বিএনপিরও আর এই নিয়ে রাজনীতির কোন অবকাশ থাকবে না ।
তাই সেই লক্ষেই আমাদের উচিৎ যেইভাবে আমরা আমাদের ইস্যু বাড়িয়ে নিয়ে যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির সাথে এখন জামাতের রাজনীতি এবং ইসলামী সংঘটনগুলির ডাক দিচ্ছি তেমনি আমাদের উচিৎ আরও যেই কিছু নরপিচাশ আর মুখোসধারি শয়তান আওয়ামী মুখোস মুখে দিয়ে যুদ্ধের পর থেকে প্রয়জনের খাতিরে এই দলে ঘাপটি মেরে বসে আছে তাদেরকে আটকানো।
আজ বঙ্গবীর কাদের চৌধুরী নিজে তার বক্তব্যে বলেছেন “আমি নিজে সাক্ষ্য দিব মখার নামে” (মখাঃ মহিউদ্দিন খান আলমগির) এই ভদ্রলোকের নামের সাথে আরেকটি নাম অনেক দিন যাবত উচ্চারিত হয়ে আসছে বহুদিন যাবত যে এদের বিরুদ্ধেও চার্জশীট দেয়া হোক নির্দিষ্ট প্রমাণাদির সাথে তিনি হলেন আমাদের শ্রম মন্ত্রী মোশারফ ইঞ্জিনিয়ার।
তাই আমার বঙ্গবীরের নিকট আবেদন থাকবে আপনি প্লিজ নিজে বাদী হয়ে মামলা উঠান কোর্টে ইনশাল্লাহ আমরা আপনার সাথে থাকবো।
আর একটি বিষয় এরকম সাকা আর মখা যদি বিএনপি আর আওয়ামীলীগ যদি দেশের তরে বিসর্জনও দেয় তাহলে এদের একটি চুল খসার মতন ক্ষতিও হবে না। বরং এতে তাদের ইমেজ আরও বাড়বে আমাদের কাছে ।
সুতরাং যেহেতু আমাদের আন্দোলন এর ইস্যুই একটিই যে যুদ্ধঅপরাধীর বিচার করা সেহেতু দল মত নির্বিশেষে এই দুইজনকেও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ এবং সেই দাবী উচ্চারিত হওয়া উচিৎ আমাদের এই “প্রজন্ম সংগ্রাম” থেকেই । তাই আমাদের রাজাকারের গানে এই দুই লাইন সংযুক্ত করা হোক।
“ম”তে মখা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
“ম”তে মোশারফ, তুই রাজাকার,তুই রাজাকার।
আমাদের জয় হবেই এই প্রজন্ম কেউর খায়ও না বা দালালিও করে, কোনও চামচামির ধার ধারি না। সব কয়টাকে ধইরা লটকানো হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।