আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসৎ মন্ত্রীদের আল্লাহ গজব দিক



স্বাধীনতা অনেক আপেক্ষিক ব্যাপার। বি.এন.পি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবার পর স্বাধীনতা ব্যাপারটাকে নিজস্ব বাবাতি সম্পদ মনে করে। দুটো দলেরই অসৎ মন্ত্রীরা দেশটাকে নিজেদের কুৎসিত ভোগের বিষয় মনে করে। এখন মন্ত্রীরা গত সরকারের স্পীকার, মহাসচিবের দুর্নীতি নিয়ে হাস্যকর গবেষনা করতেছে; যদি আবার কখনো বি.এন.পি ক্ষমতায় আসে, ওরাও ঠিক এভাবেই ফালতু কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। অথচ প্রতিদিনই সাধারন নাগরিকেরা কত মারাত্নক সমস্যা মোকাবেলা করছে!! যেমন- ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পানি সংকট, দুর্বিষহ গরম, জবর দখল, সরকারী ছাত্র সংগঠনের দখল-চাদাঁবাজি, খুন-জখম (তাও নিজেরা নিজেরা!!), দ্রব্যমুল্যের ক্রম চড়াগতি---- আর কতো বলব!! এসব নিয়ে গত সরকার কিংবা বর্তমান সরকার কখনোই মাথা ঘামায় না বা আন্তরিক না।

দুর্যোগ দুইভাবে আসে। - দৈবাৎ ও মনুষ্য-সৃষ্ট। বাংলাদেশের দুর্যোগের জন্য প্রকৃতির দায় নেই বললেই চলে; ৯৯% দায়ী সরকারের অজ্ঞানতা, প্রজেক্ট পাশ করে ওটা হতে সিংহভাগ টাকা মারার ধান্ধা। খালেদা জিয়াও জনগনের কথা না ভেবে সন্তান এবং কয়েকজন তোষামুদের ভাবনাতেই আটকে ছিল। প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে- র্পূববর্তীর তুলনায় পরবর্তীর অপরাধে শাস্তি বেশি পেতে হয়।

বর্তমানে শেখ হাসিনার অন্ধতা খালেদার চেয়ে অনেক বেশি। দুই নেত্রীই ভুলে যায়-- এদের চেয়ে অনেক ভাল শাসক হওয়া সত্ত্বেও বুলেটে প্রান দিয়েছে শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান!! সেই হিসাবে আমার তো মনে হয়- বর্তমানে যারা গুলি করবে, তারা হয়ত ভাবে- না থাক, ছুচোঁ মেরে হাত গন্ধ করব না!!! ছুচোঁও অনেক ভাল এসব লোভী নেত্রীর চেয়ে! মুজিব এবং জিয়া গুলিতে মরে বেচেঁ গেছেন, জনগন এখনো তাদের শ্রদ্ধা করে; কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া হাসিনা-খালেদা ভবিষ্যতে বুড়ি-ধুড়ি হবে, কানাখুড়া হবে, গায়ে-পায়ে বল থাকবে না; একদিন ক্ষমতাও ছাড়বে; বাংলাদেশের রাস্তায় যখন বুড়ো হয়ে হেটেঁ বেড়াবে; হয়ত কঠিন কোন পুষে রাখা ঘৃনায় পথচারী আরেক বুড়ো এদের দিকে সত্যি সত্যি থুথু ছিটাবে; তখন ঐ বুড়োর নাতি ছেলেমেয়েরা বলবে- থাক দাদাভাই, এই বুড়ির গায়ে থুথু ফেলে মাটি নষ্ট করো না; এই মাটির উপর দিয়ে কত খেটে খাওয়া মানুষ হেটেঁ যাচ্ছে, সেই মেহনতি মানুষের আরেকটু সুস্থ থাকতে দাও!! জনতার মোলিক অভাবগুলো, পিলখানা হত্যাকান্ড, দশ ট্রাক অস্ত্র, রাজাকার বিচার,আবারো ম্যাজিস্ট্রেটদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা অর্পন, দুদক নিয়ে তামাশা, বিশ্বমন্দা নিয়ে অজ্ঞনতা, বড় বড় সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ২৭তম বিসিএসের নিয়োগ ঘাপলা, প্রবি=াসী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো রোধ, ছাত্রলীগের শাসনহীন দৌরাত্ন, এমপিদের সাথে নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতার বন্টন নিয়ে বিরোধ--- সরকারকে হাজারো সমস্যা নিয়ে আন্তরিকভাবে এগুতে হবে। প্রতিটি সমস্যাই ১ নম্বর সমস্যা। একটা থেকে আরেকটা ছোট নয়। সরকারী দলের এখনো উচিত- ফালতু গলাবাজি বাদ দিয়ে প্রতিটা সেক্টরের সত্যিকার অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জনগনের সামনে সব আলাপ-আলোচনা করে, বিরোধী দলের যোগ্যদের সাথে শেয়ার করে সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা।

গোপন কিছু চলবে না। দমন-নিপীড়ন বাদ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্টতার মহানুভবতা দিয়ে দেশের সেবা করা। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার দরকার নেই। দিন যাচ্ছে যত,মানুষ তত বেশি সচেতন, তত বেশি আঘাত ফিরিয়ে দেবার সাহসও দেখাচ্ছে- ইতিহাস তাই বলে! মুখ বুজে সব সহ্য করার দাস-মনোবৃত্তি অনেকাংশেই কমে গেছে। মৃতু্য একদিন তো হবেই, অতএব দোষীকে মেরেই মরা ভাল- এই বোধ জাগছে বেশি!! অতএব, সাধু সাবধান!! আল্লাহ সকল বিচারকের বড় বিচারক!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।