আমাদের ছড়া গুলো সমাজের আয়না,যার কাছে কোন কিছু ঢেকে রাখা যায়না!
কামরুল সাহেব ভিষন ব্যাস্ত মানুষ, তার অগাদ সম্পদ তাকে সামলে রাখতে হয় এসবের বেশির
ভাগই পৈতৃক সুত্রে পাওয়া বাকিটা ব্যাবসা করে অর্জন ।
কামরুল সাহেবের আর এ ভাই নেয়ামত, আল্লাহ তাকে নেয়ামত একটু বেশিই দিয়েছেন,
শহরে একাধিক বাড়ি, কারখানা, গাড়ী কোন কিছুতেই কমতি নেই ।
দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন রোমেলা,
ইটালি প্রবাশি স্বামি, সেই সুবাদে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চরম সুখি ।
ওদের কারোর কোন অভাব নেই
অভাবি একমাত্র ওদের বৃদ্ধা মা,
বাবা মড়েছে অনেক দিন, তিন সন্তানের সংসার গুছিয়ে দিতে মাকে কম কষ্ট করতে হয়নি
এখন নিজেদের সংসার নিয়ে তারা ভিষন ব্যাস্ত, মাকে দেখার সময় তাদের কই ?
তবু বড় ছেলে কামরুল দয়া করে চোট একটা টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছিলো
এরপর খাওয়া পরা অথবা মায়ের কোন প্রয়োজনই দেখার সুযোগ কারো নাই
গতম কয়েকদিন আগে একা চলতে গিয়ে হোচট খেয়ে পা ভেঙেচে, তারপর
বিছানায় পরে ছিলো
অনেক দিন , মেঝ ছেলে নেয়ামত যদিও কাজের লোক পাঠিয়ে একবার খোজ নিয়েছিলো
কিন্তু দেখাণো হয়নি ভালো কোন ডাক্তার যে কারনে পা দুটো স্থাই ভাবে অচল হয়ে গেছে ।
এই অচল হওয়া পা নিয়েই বেঁচে থাকার জন্য তার সব কাজ নিজেকেই করতে হয়
এখন তার দুই হাতে ভর দিয়ে চলার মতো দুইটা শক্ত লাঠি ছাড়া আর কিছুই নাই
বড় ছেলের বাসা থেকে অনিয়মিত খাবার পাঠানো হয়,
তবে সে খাবার বৃদ্ধার গলা দিয়ে যেতে চায়না, আজকাল তার খুব অভাব বোধ হয়
অভাবটা খাবার কিনবা সম্পদের না
অভাবটা তার সন্তানদের কাছে পাওয়ার ।
যখন তার স্বামি বেচেঁ ছিলেন কি সুন্দর সময়টাই না কেটেছে তখন,
এখন যেমন কাটছে তার সন্তানদের
এখন সারাক্ষন একা থাকেত হয় তাকে, সঙ্গ দেয়ার কেউ নেই অনাগত ভবিস্যৎের কথা
ভাবতে তার খুব কষ্ট হয়, তার নিজের সন্তান তার সাথে যে আচরন করেছে
তারাও যদি তাদের সন্তান দ্বারা সে আচরন পায়,
তাকে দেয়া এ কষ্ট গুলো যদি বুমেরাং হয়ে তার সন্তানদের কাছে ফিরে আসে,
বৃদ্ধা আর ভাবতে পারেনা ভিষন ক্লান্তি বোধ করে সে
কারন সে খুব ভালো করেই জানে যে, যে দিন চলে গেল তা ভালো ছিলো
আগামি টা মন্দ বৈ ভালো আসবেনা ।।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।