.... তবুও আমি স্বপ্ন দেখি ... (স্বপ্ন, বাস্তব এবং ব্লগের সর্বস্বত্ব ব্লগার কতৃক সংরক্ষিত)
জায়ান্ট'স কজওয়ে যুক্তরাজ্যের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত একটা প্রসিদ্ধ টুরিস্ট স্পট। এ স্থানটা প্রায় ৪০ হাজার হেক্টাগোনাল পাথরের কলামে তৈরী। এ কলামগুলো শ্রমিকের শাবলের আঘাতে তৈরী হয়নি বরং অনেক অনেক বছর আগে অভ্যন্তরিন চাপে লাভার দ্বারা সৃষ্ট। এগুলোর উচ্চতা একেক স্থানে একেক রকম। কোথাও কোথাও বারো মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা যায় কলামগুলোকে।
আটলান্টিকের নীল পানি যখন ভেঙ্গে পড়ে কঠিন শিলায় গড়া কলামগুলোর উপর, তখন এক অদ্ভুত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সূচনা হয় জায়ান্ট'স কজওয়েতে।
জায়ান্ট'স কজওয়ে নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে। যদিও নিতান্তই গাল-গল্প কিন্তু শুনতে মন্দ লাগে না। কথিত আছে যে আইরিশ জায়ান্ট Finn McCool তার স্কটিশ শত্রু Benandonner এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য স্কটল্যান্ড যাবার পথে এ রাস্তা তৈরী করে। যাবার পথে সে বিশ্রাম নিতে নিতে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
এমন সময় স্কটল্যান্ড থেকে Benandonner তেড়ে আসতে থাকলে Finn McCool স্ত্রী Oonagh একটা কম্বল দিয়ে তাকে ঢেকে দেয় যাতে Benandonner মনে করে এটা আসলে ওদের বাচ্চা। Benandonner আয়ারল্যান্ড আসার পর যখন Finn McCool কে দেখে এবং ভাবে যে এটা ওর বাচ্চা, তখন ভীত হয়ে পড়ে। মনেমনে ভাবে যার বাচ্চা এত বড়, সে না জানি কত বড় হবে! এরপর Benandonner দৌড়ে স্কটল্যান্ড চলে যায় এবং যাবার পথে রাস্তার একাংশ ভেঙ্গে দিয়ে যায় যেখানে এখন অটলান্টিকের পানি বয়ে চলেছে দুই দেশের মাঝে।
২০০৮ সনের অগাস্ট মাসে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ভ্রমনের সময় প্রকৃতির এই বিচিত্র হেয়ালী দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন তুলে আনা স্থীর চিত্রের সমন্বয়ে একটা ভিডিও লগ তৈরী করেছি যা আমার ইউটিউব চ্যানেল – চ্যানেল অব নিয়াজ থেকে হোস্ট করা হয়েছে।
ব্লগের পাঠকদের সাথে শেয়ার করার জন্য এখানে সেই ভ্লগটি সংযুক্ত করলাম।
১১ এপ্রিল ২০০৯
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।