অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সাংগঠনিক নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ছাত্রলীগে ফিরে না এলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা। দেশব্যাপী ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও গ্রুপিংয়ের জন্যে তারা দায়ী করেছেন শীর্ষ নেতাদের। "শীর্ষ নেতা" বলতে তারা কাদের বোঝাতে চেয়েছেন সেটি যদিও অস্পষ্ট, তবে আশার ব্যাপার এই যে, অন্তত ছাত্রলীগ এবার বুঝতে পেরেছে যে, সন্ত্রাস আর গ্রুপিংয়ে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এ ক'দিনে। কিছুদিন আগে তো তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডগুলোকে "বিচ্ছিন্ন ঘটনা" বলে উড়িয়ে দিতে চাইতেন এবং দাবি করতেন যে, দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ (!) বজায় রেখেছে ছাত্রলীগ।
সাংগঠনিক নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার চলে যাওয়া কিংবা ফিরে আসা এসব মান-অভিমানের খেলায় কি ছাত্রলীগের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যগত চরিত্রের রাতারাতি পরিবর্তন আসবে? মনে হয় না। কারণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডই স্থগিত ছিল। তবুও তো সেখানে নৈরাজ্য থেমে নেই!
ঢাবির ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ আজ যতই কমিটমেন্ট করুক ছাত্রলীগকে সঠিক পথে আনবার, তারা কি আসলেই পারবেন তা করতে? ঢাবির প্রতিটি হলে ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের যে হাল হকিকত, তা তো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতাদেরই সৃষ্টি! এর পেছনেও কি কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের দায়ী করবেন তারা?
আসল কথা হলো, যাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো "কিছু পাওয়া", তাদের যতই নীতিকথা শোনানো হোক না কেন, তার কোনো দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া সম্ভব নয়।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এসব ছাত্রলীগের ঐতিহ্য। কার্যক্রম স্থগিত করা কিংবা মান-অভিমানের খেলা কোনোটাই তাদের সেই ঐতিহ্য থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।