মানুষ আমার সাধন গুরু. সেই মোকামে যাত্রা শুরু
দেহের মতো মানুষের মনেও হরেকরকম অসুখ হয়। এরকমই এক ভয়ংকর মনের অসুখ হলো সিজোফ্রেনিয়া। সববয়সই মানুষের মনেই এই ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে। তবে ১৫-২৫ বয়সীরা তুলনামূলক সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হয় বেশি। অবশ্য বয়স ৪০-এর ওপরে গেলেও সিজোফ্রেনিয়া হতে পারে।
এ মানসিক অসুস্থতা সব জাতিতে, সব কালচার বা সংস্কৃতিমনা মানুষের, সমাজের যে কোনো শ্রেণীর মানুষের বা নারী-পুরুষ সবার হতে পারে।
সিজোফ্রেনিয়া নামের তীব্র জটিল মানসিক অসুখটিতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত হয়, এতে রোগীর পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনে ও তাদের দৈনন্দিন ব্যক্তিজীবনে পর্যন্ত বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। এদের চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি, কাজকর্ম বাস্তবতার সাথে কেমন
যেন খাপছাড়া। সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা নিজস্ব মনোভুবন তৈরি করে নেয়, যার মাঝে বাস্তবতার লেশমাত্র নেই। বাস্তবতার সাথে তাদের চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি আর বোধশক্তির এত বেশি ফারাকের জন্য এটিকে অনেকেই সাইকোসিস বলে থাকে।
সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগীরা নিজেরাও বুঝতে পারে না যে, সে অসুস্থ । সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, সিজোফ্রেনিয়া অনেক সময় এত ধীরে ধীরে বিকশিত হয় যে, রোগীর মতো পরিবারের সদস্য বা কাছের মানুষরাও বেশির ভাগ সময় বুঝতে পারেন না যে, তার প্রিয়জন এক ভয়াবহ মানসিক ব্যাধিতে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে যাচ্ছে।
মনোবিজ্ঞানীরা নানা সমীক্ষা থেকে বলছেন, আমাদের দেশে দিন দিন সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের প্রায় ০.২৪% লোক সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। সেই হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় ১৩ লক্ষ লোক সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।
চলতি সময়ের অনিশ্চয়তা আর নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এই মনের অসুখের বিস্তার।
আমাদের দেশের মানুষেরা এখনো সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে সচেতন নয়। যার কারণে কাছের মানুষদের কাছেও সমস্যা গুরুতর আকার না হলে সিজোফ্রেনিয়া রোগী ধরা পড়ে না। এর উপর আছে কুসংস্কার আর অপচিকিৎসা। অন্যসব মানসিক ব্যাধির তুলনায় বেশি কুসংস্কার ও অপচিকিৎসার শিকার হয় সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা।
আপনি অথবা আপনার কোনো কাছের মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে কি-না, তা জানতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। সিজোফ্রেনিয়া রোগের প্রাথমিক লক্ষণ তিনটি-- অবাস্তব ও উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা, আচার-ব্যবহারে অসংলগ্নতা এবং প্রতিক্রিয়াশীল অনুভূতি।
১। অবাস্তব-উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা :
সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক ও অবাস্তব চিন্তা-ভাবনা বাসা বাঁধে। অহেতুক সে মানুষকে সন্দেহের চোখে দেখে।
রাস্তা দিয়ে মানুষ যাচ্ছে মনে হচ্ছে তার দিকে বিশেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তাকে দেখে হাসছে, সমালোচনা করছে। অনেক সিজোফ্রেনিয়া রোগীর মধ্যে দেখা যায়, ভ্রান্ত বিশ্বাস। এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রকাশভঙ্গি বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এটা রোগীর বয়স, ধর্মীয় চেতনারোধ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। যেমন-আশপাশের লোকজন তার ক্ষতি করছে, খাবারে ও পানিতে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে, তাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
রোগীর মনে হতে পারে, তার মনের গোপন কথা সে কাউকে না বললেও আশপাশের লোকজন সেগুলো জেনে যায়। রোগীর কাজকর্ম, চিন্তাচেতনা এগুলো তার নিজের না বাইরে থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত কোনো কোনো রোগী মনে করে, তার অলৌকিক বা অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা আছে। সে স্বপ্নের মধ্য দিয়ে ওপর থেকে বিশেষ ক্ষমতা লাভ করছে । অনেক রোগীই বলে থাকে আমার সঙ্গে জ্বীন-পরীর যোগাযোগ আছে।
২। আচার-ব্যবহারে অসংলগ্নতা :
সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দেয়। অনেক সাধারণ বিষয় সে সহজভাবে নিতে পারে না। হঠাৎ হঠাৎ সে প্রবল উত্তেজিত হয়ে উঠে। অকারণে উত্তেজিত হয়ে সে কাছের মারতে উদ্যত হয়।
বকাবকি ও গালিগালাজ করা হয়ে উঠে তার সারাক্ষণের সঙ্গী। কোনো রোগীকে দেখা যায়, এই হাসছে আবার কোন কারণ ছাড়াই কাঁদছে। অনেক সিজোফ্রেনিয়া রোগীকে দেখা যায়, সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করে নিতে। সে মানুষের সঙ্গে মিশতে চায় না। যে কোনো সামাজিকতায় নিজেকে জড়াতে তার থাকে ঘোর আপত্তি।
একা ঘরের মধ্যে সীমাবন্ধ জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। কেউ আবার পরিবার-পরিজন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য দিনের পর দিন একা একা বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। কেউ ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। নিজের খাওয়া-দাওয়া, ঘুম আর শরীরের প্রতি খেয়াল থাকে না। জীবন সম্পর্কে কোনো উৎসাহবোধ তাদের থাকে না।
জামা-কাপড় বা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি রোগী হয়ে উঠে সম্পূর্ণ উদাসিন। জিনিষপত্র ভাঙচুর করে। কাগজপত্র বা কাপড়-চোপড় কেটে কুটি কুটি করে। হঠাৎ করে কাপড় বা অন্য দিছুতে আগুন ধরিয়ে দেয়া অবস্থা গুরতর হলে রোগীর লজ্জা-শরম লোপ পায়। গায়ের কাপড় চোপড় সবার সামনে খুলে ফেলতে সে দ্বিধা করে না।
যেখানে সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করে এবং তা ঘাটাঘাটি করে। আত্মহত্যার কথা ভাবে ও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
৩। প্রতিক্রিয়াশীল অদ্ভুত অনুভূতি :
সিজোফ্রেনিয়া রোগীর মধ্যে বিচিত্র সব অনুভূতি দেখা যায়। সে কখনো মনে করে, পৃখিবীতে সে-ই সবচেয়ে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান।
তাই কেউ কোনো পরামর্শ বা উপদেশ দিতে গেলে সে মারমুখি হয়ে উঠে। এদের আবেগজনিত প্রকাশ ও সত্যিকার পরিস্থিতি অনেকাংশে খাপ খায় না। যেমন যেখানে হাসা দরকার সেখানে এরা কেঁদে ফেলে এবং উল্টোটাও ঠিক। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আবেগ এতটাই অবদমিত থাকে যে, বিশেষ পরিস্থিতিতে পর্যন্ত তারা আবেগশূন্যতায় ভোগে। সিজোফ্রেনিয়ার প্রাবল্য যত বাড়ে আবেগহীনতাও তত সামনের দিকে অগ্রসর হয়।
অনেক সময় সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা ভেতরে ভেতরে তীব্র আবেগ অনুভব করে। কিন্তু তা বাইরে প্রকাশ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। অনেক সিজোফ্রেনিয়া রোগীই দাবী করে, সে গায়েবী আওয়াজ শুনতে পায়। আশপাশে কোন লোকজন নেই, অথচ রোগীরা কথা শুনতে পায়। কখনো ফিসফিস আওয়াজ বা পাখির ডাকের মতো শব্দও শুনতে পায়।
এসব শোনা থেকে রক্ষা পেতে অনেকে কানে তুলে বা আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকে। কখনো কখনো রোগীকে একা একাই কথা বলতে দেখা যায়। কেউ কেউ নাকে বিশেষ কিছুর গন্ধ পায়। ঘুমের মধ্যে অনেক রোগী হাঁটিহাটি করে, তার স্মরণ শক্তি লোপ পায়। একটু আগে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা সে মনে করতে পারে না।
আকাশ-কুসুম কল্পনাকে অনেক রোগী বাস্তবের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। সামান্য অনেক বিষয় তার মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়াশীল অনুভূতি তৈরি করে।
দ্রষ্টব্য :
অবশ্য উপরের কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই কেউ সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত হয়েছে তা মনে করা ঠিক নয়। উপরের লক্ষণগুলোর বেশিরভাগই যদি কারো মধ্যে দেখা যায়, যার কারণে শিক্ষাজীবন, পারিবারিক জীবন, কর্মজীবন ও সামাজিক জীবনের ব্যাঘাত ঘটে এবং লক্ষণগুলো ৬ মাসের অধিক সময় থাকে, তখনই তাকে সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে। তবে মনে রাখতে হবে সিজোফ্রেনিয়া গুরুতর মনোব্যধি হলেও তা মোটেও দূরারোগ্য ব্যাধি নয়।
সঠিক চিকিৎসা ও পরিবারের আন্তরিকতার মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়া রোগী ফিরে পেতে পারেন তার স্বাভাবিক জীবন ও মানসিক সুস্থতা।
সিজোফ্রেনিয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য না হলেও অ্যান্টিসাইকোটিক ড্রাগ বা সাইকোসিসবিরোধী ওষুধ সেবনে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অনেকাংশে কমে যায়। তাই সিজোফ্রেনিকরা ঠিকমতো ওষুধ সেবন করে ও সাথে সাইকোথেরাপি নিয়ে বেশ সুস্থ থেকে সমাজের আর ১০টা মানুষের মতো সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।
সামাজিক অপবাদ ও সিজোফ্রেনিয়া :
সব দেশে সব সমাজে সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের অপবাদ বা মিথ্যা নিন্দা করা হয়ে থাকে। এদের অনেকে বলে ‘পাগল’।
অথচ কাউকে পাগল বলা আসলে একধরণের সামাজিক অপরাধ। এতে করে আপনি একজন মানসিক রোগীকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করে আরো পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আপনার এ অপরাধের দায়ভার কে নেবে? আশপাশে একটু নজর দিন-রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঘুরে রাস্তাতেই থাকে। কখনো উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ তাকে দেখতে পাওয়া যায়। এদের আপনারা অনেকে বলছেন ‘পাগল’।
অথচ বলা উচিত ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ। সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি- রাস্তার যে লোকটিকে আপনি পাগল বলে গাল দিচ্ছেন, সে হয়তো কয়েক মাস আগেও ঠিক আপনার মতো স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ ছিল। আমি বা আপনি যে কখনো এ জটিল মানসিক ব্যাধিতে ভুগব না বা কখনোই আক্রান্ত হব না এমনটি ভাবলে বুঝবেন আপনার মানসিক অসুখ নিয়ে পূর্ব ধারণা নেই। তাই তাকে অপরাধ বা নিন্দা না করে বরং আদর, সোহাগ, ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করুন। যেসব পরিবারে সিজোফ্রেনিয়ার রোগী থাকে, আমাদের সমাজে সেসব পরিবারের ভোগান্তির সীমা থাকে না।
সিজোফ্রেনিয়া রোগটি সম্পর্কে লোকজনের মাঝে হাজারো ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি মানসিক ব্যাধি যাকে ঠিক পুরোপুরি বোঝা যায় না এবং অনেকেই এটি নিয়ে বেশ ভীতিতে ভোগেন। বেশির ভাগ লোক সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যে চিন্তা বা ধারণা করে তা আসলে অন্ধকারাচ্ছন্ন। অনেক লোক রয়েছেন যাদের ব্যক্তিত্ব ভাঙা বা দ্বিধাবিভক্ত। অনেকে আবার বহুমুখী পার্সোনালিটি বহন করে।
সাধারণ লোকজন প্রায়শ সিজোফ্রেনিয়াকে আগের ভিন্ন দুটি অবস্থার সাথে গুলিয়ে ফেলেন। অনেকের আবার এ রকম বিশ্বাস আছে যে, সিজোফ্রেনিয়ার রোগীরা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ও মারাত্মক হিংস্র। অনেক সময় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তীব্র মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে এ রকম রোগী অন্যকে ধরে মারধর করে। আমরা এ ধরনের ভ্রান্ত প্রচারণা বন্ধ রাখার জোর দাবি জানাই। এ ধরনের প্রচারণায় সাধারণ জনমনে মানসিক রোগ বা অসুস্থতা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা জন্মে যে, মানসিক রোগ মানেই হচ্ছে ‘পাগলামি’।
অথচ এ ধারণাটা কতটা যে অমূলক তা এ প্রবন্ধ পাঠে আশা করি বুঝতে পারবেন। হাতে গোনা কিছু সিজোফ্রেনিয়া রোগী আক্রমণাত্মক বা মারমুখী হতে পারে, যে সংখ্যাকে বাদ দেয়া চলে।
সিজোফ্রেনিয়া অসুখটি একেকজন রোগীর জীবনে অনেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এগুলো অত্যন্ত ব্যাপক এবং সাইকোটিক অবস্থায় রোগী এত বেশি দ্বিধান্বিত থাকেন যে সাধারণ লোকজন ভেবেই বসেন যে, এ রোগ কখনো ভালো হবে না। কতক লোকের আবার ধারণা, সিজোফ্রেনিকরা দুর্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং তারা ভান করে বা লোক দেখানো পাগলামি করে থাকে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য।
এসব ভ্রান্ত ধারণা। অনেকে আবার ভেবে বসেন যে, এটি পূর্বপুরুষের পাপের ফসল। অনেকে ধারণা করেন যে, সিজোফ্রেনিয়া রোগটি অপশক্তির প্রভাবে হয়ে থাকে, আল্লাহর এক ধরনের শাস্তি হিসেবে চিন্তা করে থাকে। অনেকে আবার মনে করেন যে, সিজোফ্রেনিয়া একটি জেনেটিক অর্থাৎ বংশগত রোগ। আসলে এসব ধারণার কোনোটাই সঠিক নয়।
জেনেটিক কারণের চেয়েও পারিপাশ্বিকতায় সিজোফ্রেনিয়ার প্রধান কারণ।
আপনার বা আপনার কাছেল কোনো মানুষের আগের আচরণগত ও বর্তমান আচরণ জগতের মাঝে অনেক বেশি পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে কি না? একটু ভাবুন তো যদি বুঝতে পারেন যে বর্তমান ও অতীত আচরণে বিশাল ফারাক, তবে বিলম্ব না করে মনোচিকিৎসক বা সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।