"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
“শতক প্রচেষ্টা”
“এক” দীর্ঘকাল একা একাই ছিল। একাই বেশ ছিল। “দুই” সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিলনা। হঠাৎ একদিন তার আশে পাশে "দুই" এর অবস্থান টের পেলো। "দুই" এর অমোঘ টানে সে একসময় বিচলিত হলো।
এতোকাল একের অনুভব প্রকোষ্ঠে নির্জীব এক একাকীত্বের বসবাস ছিল। দুইয়ের নীরব অথচ প্রবল ও প্রগাঢ় আধিপত্য একের সবকিছু এলোমেলো করে দিল। "এক" এর উপর "দুই" এর প্রভাব প্রচন্ডভাবে বাড়তে থাকলো, একদিন "এক" নিশ্চিতভাবেই তার একাকীত্ব হারালো। "দুই" অবলীলায় "এক" কে গ্রাস করলো। অবশেষে "এক" আর "দুই" মিলে অন্য এক এককে রূপন্তরিত হলো।
এভাবেই চলছিল। "এক" ও "দুই" এর মিলিত সত্ত্বা একদিন টের পেল তাদের মাঝে কোন এক “তিন” এসে উপস্থিত। "এক" ও "দুই" প্রথমে একটু চমকে গেল, ক্ষানিক বিচলিত হলো। অতঃপর নিজেদের অতীত অবস্থানের কথা স্মরণ করে এবং পরবর্তীতে একের প্রতি অপরের অমোঘ টানের কথা স্মরণ করে তৃতীয় একজনের অবস্থান মেনে নিলো। এভাবেই “তিন” একদিন সশরীরে তাদের মাঝে উপস্থিত হলো।
"এক" ও "দুই" তাকে দেখে অবাক হলো। “তিন” যে তাদের দুজনের মিলিত আদলের এক সুন্দর প্রতিকৃতি। তিনকে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি ভেবে নিজেদের মধ্যে জায়গা করে দিল। বিশেষ আদর যত্নে এবং এক ও দুইয়ের অকৃত্রিম মমত্বে আর ভালবাসায় "তিন" বিগলিত হলো।
ধূর্ত “চার” দূর থেকে সবকিছু দেখছিল আর মনে মনে হাসছিল।
একদিন সুযোগ বুঝে “চার” এক ভয়াবহ কালোছায়া হয়ে "এক", "দুই" ও "তিন" এর বলয়ে অবস্থান নিল। "চার" এর আসল উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে "এক", "দুই" ও "তিন" এর কোন ধারণা ছিলনা। অবশেষে “চার” তার ভয়াবহ রূপ নিয়ে হাজির হলো। তিনজনের মধ্যে অসহায়, দুর্বল ও ছোট বলে সে "তিন" এর মাঝে ক্যান্সার হয়ে বাসা বাঁধলো। এক ও দুইয়ের অতি প্রিয় ও আদরের “তিন” মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হলো।
সেই ক্যান্সার প্রতিহত করার আপ্রাণ চেষ্টায় এক ও দুই ক্রমশঃ ন্যুয়ে পড়লো। এক সম্ভবনাময় আশা মুখ থুবড়ে পড়লো। তাদের সকল সুখে ভাটা পড়লো। নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়লো। তাদের এই অবস্থায় “পাঁচ”, “ছয়”, “সাত” এভাবে “শতক” এসে “চার” নামের দুষ্টগ্রহ ক্যান্সারের পথ আগলে দাঁড়ালো।
“চার” সাময়িকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও সর্বদাই মরণ কামড় দেবার সুযোগ খুঁজতে থাকে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দৃঢ় প্রত্যয়ে “চার” আজ মানবতার কারাগারে বন্দী। "চার" নামের ভয়াবহ দুষ্টগ্রহকে প্রতিরোধ করতে প্রয়োজন একটু মনোবল, একটু সহযোগিতা ও একটু ভালবাসা। আমি, আপনি ও অন্যসবার সম্মিলিত শক্তিই হলো এই “শতক প্রচেষ্টা"। মানবতার সবায় আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।