যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
প্রতিভা যখন বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে চারদিক থেকে বাইয়া-ছাইয়া পড়তে শুরু করে তখন "রক-অন" এর মত বালছাল বানাবার জন্য কেউ উইঠা পইড়া লাগে। ফারহান আকতারের বাপ ভারতের নাম্বার ওয়ান কবি, সৎমা অভিজাত নায়িকা, বড় হইছে ক্যামেরার লেন্সের মধ্যে, যাবতীয় সব কলা-ব্যানানা শারিরীক মানসিক সকল গ্রহণযন্ত্রের মধ্যে থেকে প্রবিষ্ট হইছে অবারিত ও উদাত্ত। তিনি পরিচালক, প্রযোজক, লেখক, নায়ক, গায়ক, কবি, সুরকার - মানে পিতামাতা, দাদা-নানাসহ পূর্বপুরুষদের সকল বীর্য তার ভেতরে আইসা ফাইট্টা গেছে। বেচারা এখন তাল সামলাইতে পারতেছে না। বেতালে পইড়া কিছু হাগুও উদগীরন কইরা দেয় - রকঅন হচ্ছে ঠিক তেমন একটা শিল্প, যাকে বা-ল-ছা-ল বলে আমরা বিশেষভাবে অলংকৃত করতে পারি।
এইখানে কিছু গ্লামারাস ভবন, অফিস ও বাসার ইন্টেরিয়র, কয়েকজন ডল আর কিছু অখাদ্য বা-ল-ছা-ল গান দেখা যায়। তবে শুরু হয় ফারহানের নিজের গীত, অভিনীত একটা গান প্রদর্শনের মাধ্যমে। প্রায় হাফ-লেডিস টাইপের গলায় সুর যে গত জঘন্যভাবে বেআব্রু হয়ে পড়েছিলো তা আমার মত গান থেকে মাইল খানেক দূরে থাকা মানুষের বুঝতেও অসুবিধা হয় নাই। কিন্তু তিনি গাইলেন, এবং স্টেজ, গ্যালারী সহ সবাইকে আবার হাত নাড়াইতে ও চিল্লাইতেও বললেন। বুঝলাম না, টিভি দেইখা যে গান শুইনা সাউন্ড বন্ধ কইরা রাখতে হয় সেই গান শুইনা স্টেজ অডিয়েন্সরা কেমনে এত উত্তাল হয়।
রাস্তার পাশে কোথাও গান শুরু করলে কুত্তারাও লওরানী দিতো নিশ্চিত।
তারপরে কই গল্পের কথা। খাটি বালের পেচানীতে একটা ব্যান্ডের ভাঙুনি আর তারপরে দশবৎসর আবালের মত সেই দুঃখে অতিবাহিত হবার পরে আদিত্য মানে ছবির ব্যান্ডের ভোকাল মানে নায়ক মানে ফারহানের চার বৎসর বিবাহিত জীবনের স্ত্রী স্বামীর অতীত জানার জন্য উদগ্রীব হইয়া পড়লো। তার মনে হইলো আদিত্যকে সে চেনে না, তার জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং এভাবে কেডি মানে ব্যান্ডের ড্রামারের সাথে তার কাকতালীয় সংযোগ। তারপরে মেলা কাহিনী - মানে বাল-ছাল কাহিনী।
৭৪ এর জাবেদ আখতার আর হানি ইরানীর প্রডাকশন ফারহান ৯১ থেকে সহকারী হিসাবে বিভিন্ন দশ-বারোটা ভালো মুভিতে কাম করছে। তার মধ্যে লগন এর গানও লিখেছে। লক্ষ্য বানাইছে, ডন বানাইছে, তারপরে হানিমুন বানাইয়া অবপতন শুরু। তবে দিল চাহতা হ্যায় দিয়া ফাডায়া ফেলছিলো। ১৯৯৯ সালে এইটা শ্রেষ্ঠ ছবি বইলা স্বীকৃতও হইছিল, প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম এর হাত থেকে পুরষ্কারও নিয়া ধইন্য করছিলো ভারতবাসীকে।
কিন্তু তারপরে তার প্রযোজনা সংস্থা এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট লিঃ থেকে কেবল মোকছেদীয় প্রতিভা বিকশিত হইতেছে। সামনে আইতেছে লাকি বাই চানস, সেইটাও সিনি নায়ক। যা করে করুক কিন্তু আমি যে ৮০ টাকা দিয়া এই বালছালটা কিনছিলাম সেইটার কি হবে? এইটার জন্য আবার অর্জুন রামপাল বেস্ট সাপোর্টি এওয়ার্ডও পাইছে। হাউ কাম! জুরিবোর্ডে কোন বাল-ছাল থাকে আল্লাহ মালুম! ঐ ফার্হানইন্না, আমার আশি টাকা ফেরত দে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।