জীবন যেখানে থমকে দাঁড়ায় কবিতারা সেখানে উপছে পড়ে বাঁধ ভাঙা জোয়ারে....
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালী জাতির আত্মশুদ্ধির দিন। নতুন চেতনায় নিজেকে রাঙানোর দিন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আবৃত্তি আবৃত্তি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাল্যদানের জন্য সকাল সাড়ে ৭ টার গাড়িতে ক্যাম্পাসে রওনা হলাম। গাড়ি থেকে নামতে আবিস্কার করলাম রিমুকে।
তার সাথে সোমাকেও। আমরা তিনজন হলাম। তারপর আমাদের মালা এসে পৌছালো অন্যকারো হাত ধরে। মালাটাকে তো রীতিমত মনে হচ্ছিল ২১ ফেব্রুয়ারির মালা শুধু নাম বদল করে আজ দিতে এসেছি। এমতাবস্থায় ঝাউ গাছের পাতা কেটে সজিবতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করলাম।
সাড়ে ৮টার দিকে ফরহাদ, বৃষ্টি, সনিয়া, নিশি সহ বেশ কয়েকজন। মালা দিয়ে নিরবতা পালনের পর সিদ্ধানত্ম হলো কুষ্টিয়া যেতে হবে। তো রাসত্মায় দাড়িয়ে নিশি বললো ট্রাকে যাবে। আমি ভাবলাম রসিকতা করছে। তাই আমিও সাই দিলাম।
তো কিছুক্ষন পরে ট্রাক এসে থামলো। বড় ট্রাক, ভ্যান ডেকে এনে এক এক করে সকলকে হাত ধরে টেনে তুললাম। ট্রাক টানতে শুরু করলো এতটাই দ্রুত যে পরিবহন পর্যনত্ম পানি পাচ্ছিল না। ট্রাকে উঠলাম আমরা ৬ জন সাথে রিমুর দুই বন্ধু । আমি, সোমা, নিশি, সাম্য, রিমু, সুমন সহ সেই দুইজন।
ভিষণ ভয় পেতে লাগলো রিমু। অন্যরা বেশ স্বাধীনতা প্রচন্ড বাতাসে যেন নিজেকে সামলাতেই ব্যসত্ম। একপ্রকার যুদ্ধ চললো ট্রাকের টানা ধরে। অবশেষে রিমুর দোয়া দরুদ পড়া দেখে সুমন ট্রাক ড্রাইভারকে একটু আসেত্ম চালাতে বললো। গতি কমলো, পিছনের বাসের ড্রাইভার দেখছিলেন আমাদের সাথে যাত্রিরাও।
রাসত্মার লোকগুলোও যেন হা করে তাকিয়ে ছিল আমাদের দিকে। তারা যেন চাক্ষুস ভুত দেখছে। হয়তো কেউ ্েকউ মনে করছিল... না থাক। তাদের কথা আজ আর না হয় নাই বললাম। ¯ স্বাধীনতা দিবসে যেন আমাদের স্বাধীনতা অনেকটা বলাকার মত।
এই স্বাধীনতা প্রিয় দলটাকে সোমা নাম দিল হাউস গ্রুপ। অর্থাৎ শখ করলো আর ট্রাকে চড়ে রওনা দিলাম এটা হাউস বৈকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।