আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় স্বাধীনতা, হায় খেতাব-- এ নিয়েও রাজনীতি, ২টি গেজেট

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ

১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক গেজেট নটিফিকেশনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ জনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৪ জনকে বীর উত্তম, ১৭৫ জনকে বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে এর আগে ১৮ মার্চ ১৯৭২ সালে আরো একবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছিল। তা' অবশ্য বাতিল করা হয়েছে পরবর্তী গেজেটে। প্রথম গেজেটের তথ্য তখন কোনো মিডিয়ায় আসেনি। দ্বিতীয় গেজেটের কথাই বা' কতজন জানে? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেকেই নব্বই দশকে এসে জেনেছেন তিনি রাষ্ট্রীয় খেতাব পেয়েছেন।

৭২-এর ১৮ মার্চ প্রকাশিত প্রথম গেজেট নোটিফিকেশনে মুন্সী আবদুর রব ছাড়া আর কারো নাম বীরশ্র্রেষ্ঠের তালিকায় ছিল না। ১ জনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৩ জনকে বীর উত্তম, ১৪ জনকে বীর বিক্রম এবং ২৫ জনকে বীর প্রতীক হিসেবে খেতাব দিয়ে প্রথম দফা এ গেজেটটি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম গেজেটটি সংশোধন করে দ্বিতীয় গেজেটটি প্রকাশিত হলেও এতে প্রথম তালিকা থেকে কারো নাম বাদ পড়েনি। শুধুই সংশোজন হয়েছে। উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের বা কাদের সিদ্দিকীর নামও প্রথম গেজেটে ছিল না।

প্রথম দফা গেজেটে গণবাহিনী থেকে কোনো সদস্যকে খেতাব না দেয়া হলেও পরবর্তী গেজেটে দেয়া হয়েছে। আমার ধারণা, সেনাবাহিনীর প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে পড়েই এই গেজেট সংস্কারে বাধ্য হয়েছিল সরকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।