আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
রাইত ২ টা পর্যন্ত চ্যাটিং আর মাগনা এসএমএস খরচায় জানান দেয়া," দুস্তরা, তুমরা থাইকো কিন্তু জায়গা মতো নাইলে হারায় যামু!" এই কাজ সম্পন্ন করিয়া বয়ফ্রেন্ড বা সুইট হার্টের লগে মন কষাকষিতে একটু দেরীতে ঘুম, তবে ঘুমের আগে অবশ্যই এ্যালার্মে বাদ্যটা ফাটাফাটি সেট করা!
ভুর বেলা ঘুম থিকা উইঠাই গুসল দ্যান নতুন কিনিয়া আনা পান্জ্ঞাবী বা শোকের একখান প্রাইড শাড়ী। এই বাবদ খরচার টাকা মেলা আগেই হাজার খানেক সরায় রাখা হইছিলো। দ্যান ঘন্টা খানেক রূপ চর্চা কারন কত সুন্দর-সুন্দরীরা আইবো, নিজের ফুটায় তুলবার না পারলে কেমতে কি!
সাজন গুজন শেষে না খাইয়াই পড়িমড়ি কইরা স্মৃতি সৌধ আর ঐখানে গিয়া আগেই এখখান গাড়ির সামনে আয়না বাছিয়া নিয়া। কারন আদম সুরত চৈত্র মাসে ঘাইমা যায়! যাই হোউক ডাইনে বায়ে পরিচিত না পাইয়া ফুন করিতে গিয়া বিস্তর আলাপ যার একটাই মর্ম," আমি স্মৃতি সৌধে আইছি, তুই কৈ? তুই আজকা কি দিবস এইডাও জানস না? আইজকা তো বিজয় দিবস (?)!"
যাই হোউক, তাড়াতাড়ি ফুল টুল দিয়া শেষ কইরা দুই তিনটা ফটুজিনিক ছবি তুলিয়া দৌড়াও টিএসসি।
কারন মানববন্ধন। উহাতে নাকি রাজাকার নিপাতের নামে খাড়ায় থাকা হইবে। দে দৌড় মামা টিএসসি!
টিএসসি পৌছাইয়াই দেখি কম্ম সাবাড়, ছায়ারা জায়গা দখল। সমস্যা নাই, সুন্দরী হইলে পুলাপান ছায়া ছাড়িয়া তাহারে খাড়াইবে অথবা সুন্দর হইলে মামা যেইখানে জায়গা পাও তবে তার আগে একটা ছাতির ব্যাবস্হা লও। খাড়াইয়া ফটুক তুলা, জ্ঞান গুণের বাতচিত করা, হঠাৎ এক বুর্বক বলিয়া উঠিলো," ভাই খাড়াই থাকিলে কি হয়? সরকার নাকি বিচার শুরু করিয়াছে? তাইলে খাড়াইয়া থাকিয়া কি লাভ?"
- ইহাতে জনসচেতনতা বাড়ে!
- তাহাতে কি হয়? শুনিলাম অনেক তথ্যপ্রমান নাকি লাগে যা কামের সময় নাকি পাওয়া যায় না।
এভাবেই নাকি জাহানারা ইমাম ৯২ তে কেস হারিয়া যায় আর সরকারের মদদে গো.আ নাগরিকত্ব পায়!
- ব্যাটা বেশী বুঝো। সব জায়গায় কিন্তু খুজো! আগে কেস হোউক, তথ্য প্রমাণ এমনিতেই আসিবে।
যেই খোনকার ব্যাটা কথা বলিতেছিলো সে মানে মানে ভাগিলো! কারন সে জানে এই বাংলায় কাজের লোকের চাইতে আকাজের লোক বহুত বেশী!
তাই তো দেখা যায় ময়মনসিংহের এক রাজাকার সহকারী হেডমাস্টার কিন্তু তাহার বিরুদ্ধে প্রমান থাকা সত্বেও কোনো সেক্টর কমান্ডার বা কোনো প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা আজও কেস করে নাই। অথবা বর্তমান সরকারে থাকা এক মন্ত্রি প্রধান মন্ত্রির ঘনিস্ঠ আত্নীয় থাকার সুবাদে শান্তিবাহিনীতে নাম থাকা সত্বেও তার গায়ে কেউ একটা টোকা পর্যন্ত দিতে পারে না!
আমার কি, কালকে আমার কর্পোরেট দিবস পালন হবে। আমি গায়ে বাহারী গন্ধে মেখে ফুলে ফুলে মধু শুকে বেড়াবো।
সবাই নির্লজ্জ লজ্জাহীন বলে আমি বেহায়া হবো না কেন?
আমার আদর্শ তো শুকিয়ে গেছে পদ্মার শুকনো চরে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।