আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লম্পট-কামুক, স্বঘোষিত গড-ফাদার আশারামের ফাঁসির দাবী।

ঈশ্বরই সেই মানুষের অবস্থার তখনই পরিবর্তন করেন যখন সে নিজে তাঁর অবস্থার পরিবর্তন করে।

এম বি ফয়েজ। । ৩রা সেপ্টেম্বর। ।

১১ দিনের বহু নাটক শেষে অবশেষে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হল আশারাম বাপু । নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অবশেষে ভারত পুন্য ভূমির এই স্বঘোষিত গড-ফাদার তার ইন্দোরের আশ্রম থেকে গ্রেফতার করে জোধপুর পুলিশ। এর আগে শনিবার সকালে ওই আশ্রমের সামনেই দুই সাংবাদিকের উপরে চড়াও হয় আশারামের কিছু মহিলা সমর্থক। সাংবাদিকদের মারধর করে তারা তাদের ক্যামেরাও ভেঙে দেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে আশারামকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল জোধপুর পুলিশ।

কিন্তু, নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছিল আশারাম। শনিবার বিকেলের দিকে ইন্দোরের আশ্রমে পৌঁছে যায় জোধপুর পুলিশের একটি দল। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পরে আশারামকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এরইমধ্যে আশারামের মেডিক্যাল রিপোর্টও পুলিশের হাতে আসে। যাতে বলা হয়, জেরা করার মতো সুস্থই আছে স্বঘোষিত-গড-ফাদার।

এর পর মাঝরাতে আশ্রমের ভিতর থেকে পুলিশের দুটি সাদা গাড়িকে পরপর বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আশপাশে ভিড় করা আশারাম-অনুগামীরা তখন পুলিশ-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। আশারামকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে ইন্দোরের এসপি কিছু বলতে চাননি। একটি সূত্রের দাবি, আশ্রম থেকে সোজা বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে তাকে। সেখান থেকে আশারামকে জোধপুরেই নিয়ে যাওয়ার কথা, যেহেতু যৌন নিগ্রহের দায়ে তার বিরুদ্ধে এফআইআর জোধপুরেই দায়ের করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। অভিযোগে মেয়েটি বলেছে, ধর্মগুরু আশারাম বাপু তাকে নগ্ন করে শরীরের উপর খামচি মারে। আর চিৎকার করায় সে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অভিযোগে মেয়েটি জানায়, আশারাম মেয়েটিকে ওরাল সেক্সের প্রস্তাব দিয়েছিল; কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখান করে। গত ১৫ আগস্ট রাত দশটায় যোধপুর শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে শ্লীলতাহানীর এই ঘটনা ঘটে।

মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্টে ও ধর্ষনের প্রমান রয়েছে বলে জানা গেছে। আসারামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিল মেয়েটি। মেয়েটির বাবা আশারাম গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদ শুনে অনশন ভঙ্গ করেছে বলে সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ। এবার ধর্ষিতার পরিবারের দাবী, ভণ্ড-কামুক ও ধর্ষক আশারামের ফাসি চাই। অন্যায় ভাবে অর্জিত আশারামের শত শত কোটি টাকার সম্পতি বাজেয়াপ্ত করে এসকল ধর্ষিতাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেবার দাবীও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

তাদের প্রশ্ন--ধর্মীয় দস্তাবেজে যৌন-লালসা মেটাতে ভণ্ড আশারাম পতিতা পল্লীর শরনাপন্ন হ'ল না কেন? আশারামের ক্রিত-কর্ম ১২০ কোটি ভারতবাসীকে দারুন ক্ষোভিত করেছে। তাই তার ফাসি চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।