আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়- কল্প গল্প



বিল যে ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশনটা হাতে হাতে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, সেটা খুব উন্নতমানের কোন কম্পিউটার ছাড়া করা অসম্ভব। কিন্তু তার কাছে একটা সাধারণ ডেক্সটপ দূরের কথা একটা ক্যাল্কুলেটর পর্যন্ত ছিলনা! "ধ্যাত!" নিজ মনে বিড়বিড় করতে করতেই, কাজ করে যাচ্ছিল সে। কে যেন একবার, তাকে একটা বই পড়তে বলেছিল। বইটা বিল খুঁজে বের করে দেখে, সেটা ফ্রেঞ্চ এ লেখা। সে ফ্রেঞ্চ শেখা শুরু করলো সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতে।

একসময় বইটা পড়ে শেষও করলো। যদিও বইটা পুরোটাই ছিল রাবিশ। কিন্তু যারা বিলকে চেনে, তারা জানে, সে কোন সমস্যাতেই পিছু হটতে রাজি নয়। এক পর্যায়ে মনে হলো, ইকুয়েশনটার সমাধান পাওয়া গেছে। বিল একটু হাঁপ ছেড়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো।

যদিও তার চেহারায় তৃপ্তির কোন ছাঁপ নেই। বিলকে কোন কিছুই কখনো সন্তুষ্ট করতে পারেনা। বরাবরের মতোই সে বেশ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করলো, যদিও পরদিন খুব সকালেই তার খেলনা ফ্যাক্টরিতে যাবার কথা। বিল একলা থাকে। বাবা মারা যাবার পর, সে তার যা কিছু সম্বল পেয়েছিল; সব নিয়ে 'ক্রিজটাউন' ছেড়ে 'ফ্রেস্কো'তে চলে আসে।

'ফ্রেস্কো'তে তখন সবে নতুন করে কলকারখানার গোড়া পত্তন শুরু হচ্ছে। বিলের বাবা ছিলেন 'ভার্চুয়াল যুদ্ধ' শুরুর পুর্ব সময়কার কম্পিউটার ডিজাইনার; তখনকার সবচেয়ে লোভনিয় পেশা। তিনি কোন একটা যুগান্তকারী প্রকল্পে কাজ করছিলেন। 'বিপরীত কোয়ান্টাম সময়' সংক্রান্ত একটা গবেষণা। যার মাধ্যমে এমন একটা কম্পিউটার বানানো সম্ভব যেটা সময়ের ব্যারিয়ার ভেঙ্গে ডাটা অতীতে পাঠাতে সক্ষম! সে সময় অনেকেই এই ধরনের হুজুগ তৈরী করা জিনিষ নিয়ে কাজ করছিল।

কেউ কেউ সফল হলেও, আসলে সত্যি বলতে কি; যেসব জিনিষ আবিষ্কার হচ্ছিল - তার সবই ছিল আসল সম্ভাবনার তুলনায় নিছকই খেলনাতূল্য! হঠাৎ করেই তুচ্ছ কারণ থেকে 'ভার্চুয়াল যুদ্ধ' শুরু হয়ে গেল! সে রাতে বাবার সাথে তার কথা হচ্ছিল। বিলের বাবা- জন ও'হারা কখনোই তার কিশোর ছেলেকে ছেলেমানুষ ভাবতেন না। বিলকে বোঝার ক্ষমতা তার ছিল। সে রাতে তিনি খুব উত্তেজিত ছিলেন। "কিছু একটা হতে চলছে রে বাপ! খুব খারাপ কিছু!" "কী হবে বাবা?" "এক ধরণের যুদ্ধ!" "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো?" "নাহ! আরো অনেক অনেক ভয়াবহ!" "আচ্ছা।

আর একটু বুঝিয়ে বলতো?" "আমি নিজেও ঠিক জানিনা! হয়তো শুধু শুধুই তোমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছি। কিন্তু সাহসী হতে গিয়ে- মারা পড়ার চাইতে, ভয়ে ভয়ে সতর্ক থাকাটাই বরং ভালো। " জনের চেহারায় আতংকের ছাঁপ স্পষ্ট ধরা যাচ্ছিল; তার আচরণ বলছিল সে ভয়ানক কিছুর আশংকা করছে। " ওরা মানে ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দারা একটা মারাত্মক ভাইরাস বের করেছে, যেটা যেকোন ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তাদের দাবী দাওয়া হচ্ছে খাদ্য সরবরাহ, বিনামূল্যে চিকিৎসা; নয়তো তারা ভাইরাসটিকে সংক্রমিত করে দিবে!" "কিন্তু এটাতো পুরাই পাগলামি, বাবা!! সব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ধ্বংস হয়ে গেলে ওরাই তো সবার আগে নির্মুল হবে!!" কথাটা খুব সত্যি! ভার্চুয়াল জগতের লোকেরা হচ্ছে সেই গোষ্ঠি; যারা স্বেচ্ছায় , কম্পিউটারের ভেতরের পরাবাস্তব জগতকে আপন করে নিয়েছে; সেখানেই তাদের বসবাস।

তারা ঊপার্জনক্ষম নয়; কারণ, অবিচ্ছিন্নভাবেই তারা ডি-ওয়ার্ল্ড (ডিজিটাল পৃথিবী) এর সাথে সংযুক্ত থাকে। একটা রোবটিক সিস্টেমের মাধ্যমে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্য গ্রহন করে, যেটা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। সরকারের পক্ষে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা; কেননা খুব দ্রুতই বাড়ছে এমন লোকদের সংখ্যা। অনেক সরকারই, নতুন ভার্চুয়াল অধিবাসীদের, দিনে ৫ ঘন্টার বেশী লগিন থাকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারা এটা মেনে নিতে রাজী না! তাই সরকারকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দেয়া শুরু করেছে।

পরদিন দুঃস্বপ্ন দেখে বিলের ঘুমটা ভাঙলো। প্রথমে সে বুঝে উঠতে পারেনি; স্বপ্নবীক্ষণ যন্ত্র কেন সুরলিত কোন কিছু বাজাচ্ছিল না! তখন সে নিজেকে আবিষ্কার করলো- অন্ধকার একটি কক্ষে। ভূগর্ভস্থ, দম বন্ধ করা! তার চারদিকের সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলি; যা তার এই কুঠুরীতে জীবণীশক্তি যোগাতো প্রতিনিয়ত একটাও নেই; সব উধাও। সম্ভবত চিরতরের জন্য! সেটা ছিল এক দুঃস্বপ্নের শুরু; যা ইতিহাসে "ই-ওয়ার" নামে পরিচিতি পেয়েছিল। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এর সমাপ্তিটাও তখনই হয়ে গিয়েছিল।

কারণ; পুরো পৃথিবী নির্ভর করতো যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিভাইসগুলির উপর, তাদের ধ্বংসে, মানুষ ফিরে গেছে আবার সেই কৃষি নির্ভর যুগে। কিন্তু তারা এখন অনেক অনেক বেশী অসহায়। কেননা, যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া কিভাবে চলতে হয়, দ্বাবিংশ শতাব্দির মানুষ সেটা বিস্মৃত হয়ে গেছে অনেক আগেই। অনেকেই মারা পড়লো। প্রথমে অধিকাংশই ছিল দেহোপজীবিণীরা; তারপর বৃদ্ধরা।

তারওপর .......অগনিত! ডিভাইসগুলি আবার চালু করার কোন সুযোগ ছিল না; জীবন বয়ে চললো তার নিজের ধারায়। তারা এক শহর থেকে অন্য শহরে, হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে কাজের আশায়; যা ছিল খুব দূর্লভ। জন সবসময়ই তার 'বিপরীত কোয়ান্টাম সময়' সংক্রান্ত গবেষণার কাগজ পত্র সঙ্গে রাখতো। আশা ছিল, কোন একদিন হয়তো সে তার স্বপ্নের যন্ত্রটা বানিয়েই ফেলবে! তিনি বিলকে তার যন্ত্রের সব কিছুই বুঝিয়েছিল। কিভাবে সেটা কাজ করবে; কিভাবে বানাতে হবে।

কিন্তু সেটা ছিল খুবই বিপদজনক। কারণ বিশ্ব সরকার সংস্থা- যা এখন একক প্রশাসণিক ক্ষমতার অধিকারী; সব ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তৈরী বা গবেষণার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল। কারণ কেউ চায়না আর আগের সেই বিপর্যয়ে ফিরে যেতে। ........কিন্তু বিল শিখ্‌ছিল। (এনামুল আজিম রানা'র মূল ইংরেজী গল্প থেকে অনুদিত) TIME Bill was trying to solve a differential equation by hand which required a sophisticated computer ,but let alone a computer , he didn't had a calculator to work with . "Damn ", muttered Bill ,and kept working on the problem .Once somebody told Bill to read a book ,Bill later found out the book was in French , he started learning French , learned French without any help from whatsoever , and read the book ,the book was pure crap ,but those who knew Bill ,knew that he did not consider any problem unsolvable. Finally the equation seemed to be solved , Bill leaned on his chair , taking a deep breath , and it was not of satisfiction ,for Bill never was satisfied. He worked late at that night ,like all the nights ,but had to get up early to work on the toy factory .Bill lived alone ,after his father died he took the little possessons his father left him and left Kriztown, he moved to Fresko ,one of the few towns in which the industrilazion had started again . Bill's father was a computer designer in the pre e-war era ,one of then hottest jobs,he aws working on a advanced project in which breakthrough technology was happening ,some type of Quantum time reversing , it would have produced computer which can send data back in time .That was the time people working fervently to produce products utilizing Many world phenomenon ,and some even succeeded ,but in truth all of them were toys compared to what could have been possible. Suddenly e-war broke from a simple event.Before that night Bill was talking with his father . John O'Hara ,bill's father never took his little son to be a little son ,he understood Bill . John was agitated that night . "Something gonna happen ,son ,something bad ." "What ,daddy?" "Some kind of war." "like second world war?" "No ,much,much bad." "Tell me about it." "I dont know ,maybe iI am scaring you for nothing ,but it's better to be scared and live then to be brave and die." John's face was loose ,and his manner told he really feared something . "They ,the Virtual wordeler's have discovered a nasty virus that can destroy all electronix devices ,they are demanding food ,free care , otherwise they would unleash it ." "but ,taht woud be crazy ,dad.If the e-tronix are dead they would be the first to die." That was true .The virtual worlders were the people who had forsaken reality to live in computer created virtual worlds ,they did not earn ,for all the times they were hooked on the d-worlds (digital worlds) ,but still they needed food automatically fed to them by robotic system which were expansive ,the Governments were facing increasing troubles to sustain them for there number were increasing, and many Government had restricted new people to hook on the d-worlds more than five hours. But they did not like that ,so they were terrorizing the Government's now . Next day Bill woke up from a bad dream , at first he did not understood why the dream monitor device hadn't put soothing musics , and then he found out himself in a lightless room ,underground ,suffocating , the life blood of his environment ,the devices ,pervaded all the niches of his life ,were gone .And maybe for ever . That was the begining of the nightmare called e-war ,and interestingly also the end ,for whole earth depended on those intelligent devices , and without those the world had gone back to pre -industrial age , but worese then that time ,for people in twenty second century did not knew how to live without devices . People died ,most of them were the permanent hookers , then the old mans, then many .No way to restore the devices ,the power ,but life continue. They had gone to city from city seeking job's that were hard to find, John always took with him the few pieces of doucument of Time reversal with him, hoping someday he would find a way to make his dream machine. He told Bill whatever he knew of the devices ,how they worked , how to make them .But it was dangerous ,for the world Government , now a single giant Government ,banned all sort of e-devices and the arcane knowledge for they had become synonim with devil to people who suffered the catastrophy . But Bill learned .


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।