আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
বাইরে মেলা গরম। আসলে গরম বেশী না, কিন্তু কেন জানি হাসফাস করে। এক ডাক্তার দুস্তরে জিগাইলাম," দুস্ত, গরম লাগে কেন এত, প্রেসার বাড়ছে নাকি?"
- না মামা, তুমার প্রেসার বাড়ে নাই, শরীরের চর্বি কেজি খানেক কমাও!
আমি গাও গতরে হাত দিয়া দেখলাম দুস্ত মন্দ বলে নাই। যাই হোউক, আউল ফাউল চিন্তা মাথায় নিয়া রুমে ঢুইকাই মনে হইলো বেহেশতে আইসা পড়লাম।
এসির হাওয়া খান মনে হইলো শরীরে কেজানি মিস্টি কুলফিমালাই মাইরা দিছে। রুমের ভিতর ঢুইকা বসতেই দেখি একখান সুন্দরী আগাইয়া আইলো। তারে দেইখা আসলেই মনে হইলো এইডা একটা বেহেশত খানা। আমি তারে কইলাম,"বসেরে আমার নাম কও!"
আমার কথা শুইনা মাইয়াডা একটা ভেচকি মারলো। মনে মনে চিন্তা করলাম, কই মাইয়াডার সামনে একটা ভাব নিয়া কথা কমু, তানা শালার পুরান ঢাকার ডায়লগ সব জায়গায়।
বোচনিস্ট দুনিয়ার হগামিস্ট ভাব!
মাইয়াডা বসের রুমে ঢুকতেই বাত্তি বন্ধ লাগে এসি খান। মনে দড়াম কইরা একটা হাতুড়া পড়লো। কারেন্ট ফুটছে। শালার কি একখান দেশ, ইলিশ মাছের জানের মতো কারেন্ট খালি যায় আর আহে না! মাইনষের জান লইয়া টানাটানি না হইলেও আমার মনে হইলো শালার বন্ধ ঘরে এসি না থাকলে ৪-৫ নম্বরের জাহান্নামের কস্ট নগদে পাওন যাইবো!
অবশ্য বেশীক্ষণ বহন লাগলো না, মাইয়াডা রুমের দরজা ঠেইলা আমারে আইতে কইলো। কিন্তু একখান জিনিস বুঝলাম না, মাইয়াডারে মেক আপ ছাড়া রহিমার মার মতন লাগতাছে!
: আরে বস, কহন আইছেন? আর বইলেন না, জনগন কস্ট কইরা ভোট দিয়া আ.লীগ আনলো মাগার দেশ থিকা শান্তি ফুটলো।
আমি আমার ৩ টা কম ৩২ টা দাত বাইর কইরা কইলাম," কথা জব্বর কইছেন! তা আমার কামডা কি হইছে?"
: হইছে না মাইনে, কি কন? আপনের কামডাই অহন আসল কাম। দেখেন কতগুলান মাইয়ার ফটুক সহ বায়োডাটা আইনা রাখছি। এইহানে ফুন নম্বরও আছে। এরা সবাই খুব ভালো পরিবারের আর বাবা-মা খুবই সুশীল।
: কি হাবিজাবী কন, বিয়া কি বাপ মায় করবো?
: আরে ধুর, আল্লায় ঠাডা মারুক! আপনি ফটুক আর সিভি খান দেখেন, যেইডা যেইডা পছন্দ হয়, লিয়া যান।
পরে আমি মুরুব্বিগো লগে বাতচিত কইরা লমুনে!
আমি দেখবার থাকলাম, বাহ কি বাহারী মাইয়া। একেকটা যেনো মৌসুমী শাবনুরের মতন। আবার কিছু দেইখা মনে হইলো শ্যারন স্টোনের মাইয়া। মনে হয় এইবার কপাল না খুইলা যাইবো কই!
এমুন সময় সেই রিসেপশনিস্ট মাইয়া এক কাপ র চা আইনা আমার কাছে রাখলো। আমি তারে দেইখা চইমকা উঠলাম।
সময় যায় আর হের আসল চেহারা ফরকাইতাছে। অহন হেরে কামের বেডী সখিনা লাগতাছে! প্রথমে কি সুন্দরই না লাগছে। মনে হইতাছিলো এই মাইয়াডাই বা কি খারাপ। অহন দেহি আসল চেহারা। যাউকগা মাইনষের রূপ নিয়া প্যাচাল পারন বাদ দিলাম, নিজের রূপের যেই শ্রী, আয়না দেখলে ভাঙ্গে ফিড়ি!
আমি ১০ খান লইলাম আর বাকী গুলানের ফুন নম্বর গুপনে টুইকা নিলাম।
ঘটকা মিয়া আড় চোখে ঠিকই দেখছে!
আমি কইলাম," আন্কল, কালেশন তো ভালোই মাগার একটার না একটার খুত আছেই। কেউ সুন্দর হইলে বকলম, আর কেউ শিক্ষার পাহাড় হইলেও মুখের দিকে চাওন যায় না। "
:আরে কি যে কন, আসলে ফটুতে অতো সুন্দর আহে না, বাস্তবে দেখনেই হইলো আসল কথা।
: তা ঠিক, তয় আপনের রিসেপশনিস্টরে কবে রাখছেন?
: হায় হায় কন কি? ও আমার রিসেপশনিস্ট কে কইলো, ও তো আপনের ভাবী! অবশ্য আপনি জানবেন কেমনে? দাওয়াতে তো আইলেন না, বাড়িত যহনই যাই তহনই খাটের উপর শুইয়া থাকেন, আপন আত্নীয় স্বজন চিনবেন কেমনে?
ঢুক গিলতে গিলতে বাইর হইলাম। বাইর হইয়াই দিলাম চাচাতোরে ফুন!
: কিরে, তুই অহন কই?
: বান্দরবন আইছি!
: বান্দরবনে তুমি বান্দর ঝুলাইতাছো আর আমি তুমার বিয়ার লিগা চিভি কালেক্ট করতাছি।
আরেকটু হইলে তো ঘটকা মিয়া আমারে লটকাই দিতো।
: কি যে কও না, বান্দররে মুক্তার মালা সবাই দেহাই, মাগার মুক্তার মালা কেউ পড়ায় না!
কথাডা শুইনা আমি একটু টাস্কি খাইলাম।
মাঝে মইধ্যে কোটা ছাড়া টাস্কি খাওন ভালো। টাস্খি খান কাচা হইলেও কস্ট কইরা খাওনে ঐডার স্বাদ বাড়ে!
শালার একখানরে মনে ধরছিলো। হের মনে আবার আরেক শালার বাস।
সেই শালা নাকি অহন উড়াল দিছে, মাগার আমার মনের পক্ষী আমারে ব্লক করছে!
কথাডা চাচতো ঠিকই কইছে, বান্দরের গলায় মানায় না মুক্তার হার!
গুষ্ঠি কিলাই বিয়া সাদীর!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।